রমজান মাসের জন্য এই ৮টি আমল নিশ্চিত করুন || রমজান মাসের আমল। রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল || রমজান মাসে ইবাদতের গুরুত্ব || আল্লামা মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী Mustakunnabi Kasemi waz new waz 2025
রমজান মাসের মহাগুরুত্বপূর্ণ যে ৩০ আমল
রমজান মাস আল্লাহ প্রদত্ত এক বিশেষ ফজিলতের মাস। এই মাস সাওয়াব অর্জনের মাস। এ মাসেই কোরআন অবতীর্ণ হয়। রমজান মাসকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। রহমত, বরকত ও নাজাত।
এ মাসে প্রতিটা আমলে আল্লাহ ৭০ গুণ বেশি সাওয়াব দেন। এজন্য বিশেষ এই মাসে বেশি বেশি আমল করতে হয়। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল আছে, যেগুলো পালনের মাধ্যমে আমরা জান্নাতে যেতে পারি, জাহান্নামের কঠিন আজাব থেকে মুক্তি পেতে পারি।
১. সিয়াম পালন করা। ‘সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে।’ সুরা আল-বাকারাহ : ১৮৫
২. সময়মতো নামাজ আদায় করা। ‘নিশ্চয় সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ সুরা নিসা : ১০৩
৩. সহিহভাবে কোরআন শেখা। ‘পড়ুন আপনার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।’ সুরা আলাক : ১
৪. অপরকে কোরআন তিলাওয়াত শেখানো। ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি তিনিই, যিনি নিজে কোরআন শিক্ষা করেন এবং অপরকে শিক্ষা দেন।’ সহিহ আল-বুখারী : ৫০২৭
৫. সেহরি খাওয়া। ‘তোমরা সেহরি খাও। কেননা, সেহরিতে বরকত রয়েছে।’ সহিহ মুসলিম: ১/৩৫০
৬. সালাতুত তারাবিহতে অংশগ্রহণ করা। ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সাওয়াব হাসিলের আশায় রমজানে কিয়ামু রমাদান (সালাতুত তারাবিহ) আদায় করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। ’ সহিহ আল-বুখারী : ২০০৯
৭. বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা। “রোজা আমারই জন্য। এর পুরস্কার আমি নিজেই দেব। আর প্রত্যেক নেক কাজের বিনিময়ে দশগুণ বৃদ্ধি করব।” (বুখারী শরীফ, ইফা, হাদিস নং ১৭৭৩)
৮. বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করা। ‘আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর।’ [সুরা আলবাকারাহ : ১৮৫]
৯. কল্যাণকর কাজে বেশি অংশগ্রহণ করা। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, এ মাসের প্রত্যেক রাতে একজন ঘোষণাকারী আহ্বান করতে থাকে যে, হে কল্যাণের অনুসন্ধানকারী তুমি আরও অগ্রসর হও! হে অসৎ কাজের পথিক, তোমরা অন্যায় পথে চলা বন্ধ করো। তুমি কি জান? এ মাসের প্রতি রাতে আল্লাহ তাআলা কত লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন।’ (সুনান তিরমিজি, হাদিস : ৬৮৪
১০. নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা। ‘ফরজ সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হলো রাতের সালাত অর্থাৎ তাহাজ্জুদের সালাত। ’ সহিহ মুসলিম : ২৮১২
১১. অধিক পরিমানে দান-সদাকাহ করা। ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল আর রমজানে তাঁর এ দানশীলতা আরও বেড়ে যেত। ’ সহিহ আল-বুখারী : ১৯০২
১২. উত্তম চরিত্র গঠনের অনুশীলন করা। ‘তোমাদের মধ্যে কেউ যদি রোজা রাখে, সে যেন তখন অশ্লীল কাজ ও শোরগোল থেকে বিরত থাকে। রোযা রাখা অবস্থায় কেউ যদি তার সঙ্গে গালাগালি ও মারামারি করতে আসে, সে যেন বলে, আমি রোযাদার।’ সহিহ মুসলিম : ১১৫১
১৩. ইতিকাফ। ‘প্রত্যেক রমজানেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ দশ দিন ইতিকাফ করতেন। কিন্তু জীবনের শেষ রমজানে তিনি ইতিকাফ করেছিলেন বিশ দিন। দশ দিন ইতিকাফ করা সুন্নাত।’ সহিহ আল-বুখারী : ২০৪৪
১৪. দাওয়াতে দ্বীনের কাজে অংশগ্রহণ করা। ‘ওই ব্যক্তির চাইতে উত্তম কথা আর কার হতে পারে যে আল্লাহ তাআলার দিকে ডাকল, নেক আমল করল এবং ঘোষণা করল, আমি একজন মুসলিম।’ সুরা হা-মীম সাজদাহ : ৩৩
১৫. ওমরাহ পালন করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : ‘রমজান মাসে ওমরাহ করা আমার সঙ্গে হজ আদায় করার সমতুল্য। ’ সহিহ আল-বুখারী : ১৮৬৩
১৬. শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের সন্ধান করা। ‘রাসূলে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য সময়ের তুলনায় রমজানের শেষ দশ দিনে অধিক হারে পরিশ্রম করতেন।’ সহিহ মুসলিম : ১১৭৫
১৭. বেশি বেশি দুআ করা এবং আল্লাহর রহমত প্রার্থনা করা। ‘ইফতারের মুহূর্তে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বহু লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। মুক্তির এ প্রক্রিয়া রমজানের প্রতি রাতেই চলতে থাকে।’ আল জামিউস সাগীর : ৩৯৩৩
১৮. ইফতার করা। ‘যে ব্যক্তি সিয়াম পালন করবে, সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে, খেজুর না পেলে পানি দিয়ে ইফতার করবে। কেননা পানি হলো অধিক পবিত্র। ’ সুনান আবু দাউদ : ২৩৫৭, সহিহ
১৯. রোজাদারদের ইফতার করানো। ‘যে ব্যক্তি কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে, সে তার সমপরিমাণ সাওয়াব লাভ করবে, তাদের উভয়ের সাওয়াব হতে বিন্দুমাত্র কমানো হবে না।’ সুনান ইবন মাজাহ : ১৭৪৬, সহিহ
২০. তওবা ও ইস্তেগফার করা।
২১. তাকওয়া অর্জন করা।
২২. ফজরের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত মাসজিদে অবস্থান করা।
২৩. ফিতরাহ দেওয়া।
২৪. অপরকে খাদ্য খাওয়ানো।
২৫. আত্মীয়তার সম্পর্ক উন্নীত করা।
২৬. কোরআন মুখস্থ বা হিফজ করা।
২৭. বেশি বেশি জিকির করা।
২৮. মেসওয়াক করা।
২৯. কোরআন শুনানো।
৩০. কোরআন বোঝা ও আমল করা।
#মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী
#Mufti_Mustakunnabi_Kasemi
#মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_নতুন_বয়ান
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_ওয়াজ
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_সাহেবের_ওয়াজ
#mustakunnabi_new_waz
#new_waz_2022
#bangla_waz_2022
#Bangla_Waz_2021
#New_Waz_2021
#New_Mahfil
#New_Tafsir
#Allamah
#Mufti
#Shiekh
#নতুন_ওয়াজ
#বাংলা_ওয়াজ
#মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_2022
#মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী
#bangla_waz_2023
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_২০২৩
#বাংলা_ওয়াজ
#allamah
#মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_2023
#২০২৪
#Waz 2024
#new waz 2024
#mustakunnabi2024
#allama_mufti_mustakunnabi_kasemi2024
#২০২৫
#Waz 2025
#new waz 2025
#mustakunnabi2025
#allama_mufti_Mustakunnabi_kasemi2025