প্রায় দুইশো বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত করটিয়ার হাট দুইশো বছরের পুরনো বলে দাবি করা হলেও অনেকেই বলছেন, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের আগে টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির মূল বাজার বসতো কলকাতায়। টাঙ্গাইলের তাঁতিরা চারাবাড়ি, পোড়াবাড়ি, নলছিয়া ঘাট ও সুবর্ণখালী বন্দর থেকে স্টিমার, লঞ্চ ও জাহাজে চড়ে কলকাতায় শাড়ি নিয়ে যেতেন। দেশ ভাগের পর টাঙ্গাইল তাঁতের প্রধান হাট ছিল জেলার বাজিতপুরে। শুধু দেশি পাইকাররাই নন, ভারত ও ইংল্যান্ড থেকেও শাড়ি কিনতে আসতেন ক্রেতারা। টাঙ্গাইল শাড়ির এমন চাহিদা আর দেশ-বিদেশের ক্রেতাদের আগমন দেখে টাঙ্গাইলের বিখ্যাত করটিয়া জমিদার পরিবার একটি হাটের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। পন্নী পরিবারের সদস্য ওয়াজেদ আলী খান পন্নী ওরফে চাঁদ মিয়া করটিয়ার বিশাল এলাকাজুড়ে একটি হাট নির্মাণ করেন। সে সময় করটিয়া ছিল একটি নদীবন্দর। সেখানে সপ্তাহজুড়ে হাট বসতো। শাড়ির পাশাপাশি গবাদিপশু, হাতে তৈরি তৈজসপত্রসহ নানা সামগ্রী বিক্রি হতো। প্রতিষ্ঠার পর পাট ও গবাদিপশুর জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠে এ হাট। পরবর্তী সময়ে টাঙ্গাইল শাড়ির জন্য জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সে সময়ের জনপ্রিয় যাতায়াত মাধ্যম ছিল নদীপথ।
লৌহজং নদী শীর্ণ হয়ে গেছে, বিলিন হয়ে গেছে নদী বন্দর। তবু কালের সাক্ষী হয়ে আজো টিকে রয়েছে করটিয়ার কাপড়ের হাট। এতোদিনেও এই হাটের প্রয়োজনীয়তা ফুরোয়নি।
Contact email address for sponsorship, affiliate or other business purpose: [email protected]
#করটিয়া_হাট #টাঙ্গাইল_শাড়ি #karatia_haat #tangail_saree