MENU

Fun & Interesting

মাইকেল মধুসূদন দত্তের শেষ জীবন এর করুণ কাহিনী | Michael Madhusudan dutta | বাংলা

Ami Avijit Bolchi 355,835 lượt xem 1 year ago
Video Not Working? Fix It Now

১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে এক জমিদার বংশে তাঁর জন্ম। বাবা রাজনারায়ণ দত্ত ছিলেন কলকাতার একজন প্রতিষ্ঠিত উকিল। মা জাহ্নবী দেবী ছিলেন একাধারে স্নেহশীলা, অন্যদিকে অত্যন্ত কড়া প্রকৃতির মানুষ। তাঁরই তত্ত্বাবধানে শিশু মধুসূদনের পড়াশোনা শুরু হয়। প্রথমে তাঁকে ভর্তি করা হয় সাগরদাঁড়ির পাঠশালায়। পরে সাত বছর বয়সে কলকাতার খিদিরপুর স্কুলে ভর্তি হন মধুসূদন (Michael Madhusudan Dutt)। সেখানে বছর দুয়েক পড়ার পর ১৮৩৩ সালে তৎকালীন বিখ্যাত হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি বাংলা, সংস্কৃত ও ফারসি ভাষা শেখেন। মধুসূদনের জীবনের পট পরিবর্তনের ক্ষেত্রে হিন্দু কলেজ ও সেই কলেজকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ইয়ং বেঙ্গল গোষ্ঠীর একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।

ছেলেবেলা থেকেই মেধাবী আর উদ্ধত ছিলেন মধুসূদন। কিন্তু তাঁর প্রতিভার যথার্থ বিকাশ ঘটেছিল হিন্দু কলেজেই। এখানে তাঁর সহপাঠী ছিলেন ভূদেব মুখোপাধ্যায়, রাজেন্দ্রলাল মিত্র, রাজনারায়ণ বসু, গৌরদাস বসাক প্রমুখ, যাঁরা পরবর্তী জীবনে নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। এঁদের মধ্যে গৌরদাস বসাক ছিলেন মধুসূদনের ঘনিষ্ঠতম বন্ধু।
মৃত্যুর বহু আগেই তিনি (Michael Madhusudan Dutt) লিখে গিয়েছিলেন নিজের সমাধিলিপি। মৃত্যুর পনেরো বছর পরে তাঁর সমাধিক্ষেত্রে উৎকীর্ণ করা হয় সেই কবিতা। চরম দারিদ্র্য, অনাহার, অনটন এবং চিকিৎসার অভাবে এমনই এক বর্ষার দিনে একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়েছিলেন উনবিংশ শতাব্দীর বাংলার প্রথম মহাকবি, নবজাগরণের পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তাঁর মৃত্যু আজও লজ্জা দেয় আমাদের। মাথা নীচু হয়ে আসে লোয়ার সার্কুলার রোডে তাঁর ঘুমন্ত শেষ শয্যার পাশে দাঁড়িয়ে। যেখানে কবির আবক্ষ মূর্তির ঠিক নীচেই লেখা আছে তাঁরই স্বরচিত এপিটাফ-

"দাঁড়াও, পথিক-বর, জন্ম যদি তব
বঙ্গে! তিষ্ঠ ক্ষণকাল! এ সমাধিস্থলে
( জননীর কোলে শিশু লভয়ে যেমতি
বিরাম ) মহীর পদে মহানিদ্রাবৃত
দত্তকুলোদ্ভব কবি শ্রীমধুসূদন!..."
#biography
#viralvideo
#bangla
#information

Comment