রসুলুল্লাহু সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
যদি তোমাদের মাঝে কেউ কোনো লোককে (শিক্ষা বা শাস্তি দেয়ার জন্য) প্রহার করে; তবে যেন চেহারায় আঘাত না করে। কেননা মহান আল্লাহ আদম (আ.) কে তার আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন।(বুখারি ও মুসলিম)
শিশুদের শাসন করার সময়ও চেহারায় আঘাত করা নিষিদ্ধ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ অন্য কাউকে শাস্তি প্রদান করে, তখন সে যেন তার চেহারায় আঘাত না করে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৪৯৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ যখন যুদ্ধ করবে, তখন সে যেন মুখমণ্ডলে আঘাত করা থেকে বিরত থাকে।’
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৫৫৯)
হিল্লা ইসলাম-পূর্ব যুগের একটি জাহেলী প্রথা। এর সাথে ইসলামী শরী‘আতের কোন সম্পর্ক নেই। আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) হিল্লাকারী ও যার জন্য হিল্লা করা হয়, উভয়কে লা‘নত করেছেন (আবুদাঊদ হা/২০৭৬; ইবনু মাজাহ হা/১৯৩৫ উক্ববা বিন ‘আমের (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, আমি কি তোমাদেরকে ভাড়াটে ষাঁড় সম্পর্কে খবর দিব না? ছাহাবীগণ বললেন, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, সে হ’ল ঐ হালালকারী ব্যক্তি। আল্লাহ লা‘নত করেছেন হালালকারী ও যার জন্য হালাল করা হয় উভয়কে’ (ইবনু মাজাহ হা/১৯৩৬
এক বৈঠকে তিন তালাক এক তালাক গণ্য হয় (মুসলিম হা/১৪৭২; আহমাদ হা/২৮৭৭; হাকেম হা/২৭৯৩)। কাজেই কেউ তার স্ত্রীকে এক বৈঠকে তিন তালাক দিলে সে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারে।
ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু রুকানা তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর দারুণভাবে মর্মাহত হন। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কিভাবে তালাক দিয়েছ? তিনি বললেন, এক মজলিসে তিন তালাক দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে বললেন, আমি জানি ওটা এক তালাকই হয়েছে। তুমি স্ত্রীকে ফেরত নাও। অতঃপর তিনি সূরা তালাকের ১ম আয়াতটি পাঠ করে শুনান (আবুদাঊদ হা/২১৯৬; বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/১৪৯৮৬, সনদ হাসান)