আদ্যাশক্তির অংশরূপিণী গঙ্গা মর্ত্ত্যে কেন এলেন? এবং এলেনই বা কিভাবে? কি কারনে তাঁকে এত পবিত্র মানা হয়? কেন গঙ্গার জল এত ব্যাপকভাবে ব্যাবহৃত হয় সনাতনী মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে? গঙ্গার জলে স্নান করে কি কি ফল পাওয়া যায়? গঙ্গার জলে স্নান করলেই কি সব পাপ ধুয়ে যায়? কিরূপে বা কোন মন্ত্র উচ্চারনে দেবী গঙ্গাকে সন্তুষ্ট করা যায়?
এই প্রশ্নগুলোই এখন উঁকি দিচ্ছে আপনার আমার মনের কোনে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সকলেরই জানার দরকার এই সকল প্রশ্নের উত্তর। আসুন সনাতনের রত্নগর্ভ থেকে জ্ঞান আহরন করি এবং অন্যদেরকেও এই অমৃতসুলভ জ্ঞান বিতরন করি।
মহাভারত বলছে
“সত্যযুগে সকল স্থানই তীর্থ,
ত্রেতায় পুষ্করের শ্রেষ্ঠত্ব,
দ্বাপরের শ্রেষ্ঠ তীর্থ কুরুক্ষেত্র ,
আর কলিযুগের শ্রেষ্ঠতীর্থ হলো গঙ্গা।”
তাই সনাতন বিশ্বাসমতে কল্লোলিনী গঙ্গাকে বলা হয় পতিতপাবনী বা পতিতোদ্ধারিনী। অর্থাৎ তিনি পাপীদের উদ্ধারকারিণী। যুগ যুগ ধরে এই উপমহাদেশে গঙ্গাজল পান করা হয় অতি পবিত্র জ্ঞানে। সনাতন ধর্মীয় সকল প্রকার মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান গঙ্গার জল ছাড়া কখনোই সম্পূর্ণ হয় না। বলা হয় গঙ্গায় স্নান করলে সকল পাপ নাশ হয়।
একবার দেবী পার্বতীর সখী জয়া ও বিজয়া তাঁর কাছে প্রার্থনা করেন সকল তীর্থ দর্শন ও তীর্থস্নান করাতে। দেবী তাঁদের অভিলাশপূর্তির আশ্বাসন প্রদান করেন। এরপর তাঁদেরকে গঙ্গাতটে নিয়ে যান এবং সেখানে গঙ্গা দর্শন করিয়ে গৃহে প্রত্যাবর্তন করেন। সখীদ্বয় বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করেন “হে দেবী আমাদেরকে একটিমাত্র তীর্থ দর্শন কেন করালেন?” দেবী পার্বতী উত্তর দিলেন “ গঙ্গা সর্বতীর্থজননী ও সর্বধর্মের প্রসবিত্রী। তাই গঙ্গাদর্শনে সকল তীর্থ পরিভ্রমন ও দর্শন সুসম্পন্ন হয়।”
তাই বেগবতী গঙ্গা নদী হয়েও বহুযুগ ধরেই পূজিতা হয়ে আসছেন মাতৃদেবী রূপে। রামায়ন , মহাভারতসহ বিভিন্ন পুরাণে বহুভাবে তাঁকে মণ্ডিত করা হয়েছে দেবীত্ত্বে ও মহাদেবীত্ত্বে । পদ্মপুরাণ বলছে প্রজাপতি ব্রহ্মার আহ্বানে উদ্বুদ্ধা হয়ে আদ্যাশক্তি থেকে উৎপন্না হন সাতজন শক্তি। তাঁরা হলেন সাবিত্রী, সরস্বতী, লক্ষ্মী, উমা, শক্তিবীজা, তপস্বিনী ও গঙ্গা। ব্রহ্মবৈবর্তপুরান মতে দেবী গঙ্গা মূলপ্রকৃতির প্রধানাংশদের অন্যতমা। আবার মহাভাগবত পুরাণ মতে মূলপ্রকৃতির বিদ্যারূপা শক্তি গঙ্গা, দুর্গা, সাবিত্রী, লক্ষ্মী ও সরস্বতী এই পঞ্চ অংশে বিভক্ত হন। গঙ্গা আকাশ গঙ্গা 'মন্দাকিনী' রূপে স্বর্গেও প্রবাহিত । কোন কোন মতে জগতের কল্যানার্থে দেবী গঙ্গা মর্ত্যলোকেও জন্মগ্রহণ করেন গিরিরাজ হিমালয় ও মেনকার কন্যা রূপে। ইনি দেবী পার্বতীর অগ্রজা ভগিনী।
ভূমিকাঃ 00:00
দেবী পার্বতী কর্তৃক সখী জয়া-বিজয়াকে সর্বতীর্থ দর্শনঃ 00:38
বৃত্তাসুর ও কালকেয় অসুরগণঃ 04:00
অগস্ত্য মুনি কর্তৃক সমুদ্রের সব জল পানঃ 05:04
কপিল মুনি কর্তৃক সগর রাজার ষাট হাজার পুত্রের ভস্মীভূত করাঃ 05:57
অংশুমান ও কপিল মুনিঃ 07:46
ভগীরথ কর্তৃক শ্রীবিষ্ণুর তপস্যাঃ 09:12
ভগীরথ কর্তৃক গঙ্গাদেবীর তপস্যাঃ 10:50
ভগীরথ কর্তৃক মহাদেবের তপস্যাঃ 12:19
গঙ্গার মর্ত্যে আগমনঃ 14:05
জহ্নু মুনি ও দেবী গঙ্গাঃ 15:20
গঙ্গা ও গঙ্গাসাগরের মিলনঃ 16:46
গঙ্গা কর্তৃক ভগীরথের পিতৃপুরুষগণের উদ্ধারঃ 18:26
গঙ্গাস্নান করলেই কি সর্বপাপ নাশ হয়? 19:40
কোন কোন তিথিতে গঙ্গা স্নান করলে কি কি ফল লাভ হয়? 22:20
গঙ্গাদেবীর প্রণাম মন্ত্রঃ 24:03
#Ganga #Gangasnan #gangasagar
Please LIKE | COMMENT | SHARE | SUBSCRIBE the channel
And press the bell Icon.
Connect with us through:
Facebook ➤ https://www.facebook.com/sanatanexpressFB/
Pinterest ➤ https://pinterest.com/sanatanexpress/
Instagram ➤ https://www.instagram.com/sanatanexpress/
Twitter ➤ https://twitter.com/SanatanExpress
Website ➤ https://www.sanatanexpress.com/
© Sanatan Express