"বৃষ্টি হয়ে এসো"♥️(গল্পের শেষ অংশ)ডিভোর্সের পর থেকেই প্রায়েই ফোন করে সে কাঁদে, ক্ষমা চায়।
সুখন রেগে অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়ে,
- তোর কোনে অধিকার নেই আমার থেকে আমার ছেলেকে দুরে রাখার। আমি ভুল করেছি তা স্বীকার করছি। এই শেষবার আর কোনোদিন বলবো না। , 🤎♥️
এবার ওপাশ থেকে কান্নার আওয়াজ শুনা যায়। সুখন কাঁদছে, এটা নতুন নয়। ডিভোর্সের পর থেকেই প্রায়েই ফোন করে সে কাঁদে, ক্ষমা চায়। লিখনকে দেখতে চায়। একবার এসবে বেলির মন গলে সে লিখনকে পাঠায় সুখনের কাছে। তখন সুখন লিখনকে আটকে বলে বেলি না গেলে লিখনকে দিবে না।
তারপর বেশ ঝামেলা করে সে আনতে পেরেছে লিখনকে। তাই বেলি ওর কান্নার আওয়াজে না গলে বলে,
- না সম্ভব নয়।
বেলি কেটে দিবে ঐ সময় ওপাশ থেকে ভেসে আসে,
- বেলি আমি কি একটাবার তোমার সাথে দেখা করতে পারি!
বেলি হাঁটা থামিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। উত্তর দেয় না কোনো। ওপাশ থেকে আবার বলে,
- থাক। বেলি শুনো! ( কিছুক্ষণ নিরব থেকে আবার বলে) ক্ষমা করে দিয়ো আমায়। হয়তো আর কোনোদিন দেখা হবে না।
ওপাশ থেকে কল কেটে দেওয়ার আওয়াজ আসে। বেলি মোবাইল খানিকক্ষণ কানের সাথে চেপে ধরে রাখে। ভাবে আজ সুখনের গলার আওয়াজ অন্যরকম লাগলো।
সুখন বুক ভরে নিশ্বাস নেই। চারদিক ভালো করে দেখে। এই পৃথিবীতে তো সে আর মাত্র কিছুক্ষণ। যদি এখন সে তার করা পাপের গ্লাণি থেকে মুক্তি পায়।
বেলি ঘুম ঘুম চোখে মোবাইলটা রিসিভ করে বললো
-হ্যালো
ওপাশ থেকে কথাটা শুনে বেলির ঘুম উড়ে গেলো। সে হতবিহ্বল হয়ে বসে রইলো। বারবার কালকের কথাগুলো মনে হতে লাগলো