ধারনা করা হয় ব্রোঞ্জ যুগের শুরুতে ভারতবর্ষের দ্রাবীড়রা খ্রিষ্টের জন্মেরও অন্তত দুই হাজার বছর আগে এমন এক উজ্জল রত্নপাথর খুঁজে পেয়েছিল যা মানুষের অঙ্গে নিয়ে এসেছিল পূর্ণ চাঁদের আভা। যা এখনও পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান রত্ন পাথর হিসেবে বিবেচিত এবং আমরা যাকে চিনি ডায়মন্ড বা হীরা নামে।
একটা সময় পর্যন্ত পৃথিবীর মানুষ ভাবত এই মহামূল্যবান পাথর বুঝি শুধুমাত্র ভূ-ভারতেই পাওয়া যায়। তৎকালীন সিল্ক রূট ধরে ভারতবর্ষ থেকেই এই রত্নপাথর পৌছে গিয়েছিল প্রচীন গ্রীস এবং রোমে। প্রাচীন গ্রীকরা এই রত্ন পাথরের নাম রেখেছিল অ্যাডামাস । যার অর্থ অজেয়, অবিনাশী অথবা অপ্রতিরোধ্য।
পারস্যের বিখ্যাত কবি হাফিজ বলেছিলেন, "আকাশের রামধনু চিরকাল একটা ছোট্ট হীরা মধ্যেই আবদ্ধ থাকে।’’ হীরের ঐজ্জল্য এতটাই যে, প্রথম যুগে হীরাকে আরাধ্য বস্তু বলে মনে করা হতো। তাই আবিষ্কারের দীর্ঘকাল অতিবাহিত হওয়ার পর হীরাকে অলংকার হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে মানুষ।
প্রাচীনকালে হীরক খন্ডকে দেবতাদের কাছ থেকে পাওয়া দান বলে মনে করা হত। প্রাচীন ভারতের দেবতাদের চোখে হীরাকে স্থাপন করা হতো তাদের সূক্ষ্ম এবং নিরোপেক্ষ দৃষ্টিরশক্তির প্রতীক হিসেবে। বৌদ্ধধর্মে, বুদ্ধের সিংহাসন বজ্রাসনেও ছিলো হীরার উপস্থিতি, কারণ মূল্যবান এই পাথরটিকে জ্ঞান, পরিপূর্ণতা এবং সচ্ছতার প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়।
প্রাচীন গ্রীকরা হীরাকে তাদের দেবতাদের অশ্রু হিসেবে বিবেচনা করত। গ্রিসের যোদ্ধারা সে সময় হীরা পরতেন কারণ তাঁরা মনে করতেন এই পাথর তাদের পেশীকে আরও শক্তিশালী এবং দৃঢ় করে তুলবে। প্রাচীন রোমানরা মনে করত হীরা পৃথিবীর বাইরের কোন তারার বলয় থেকে ছিটকে পৃথিবীতে এসে পড়েছিল।
দেবতার চোখে কিংবা বাদশাহ’র মাথার মুকুটে কিংবা চিরন্তন প্রেমে আবদ্ধ যুবক যুবতির আংটিতে অথবা নেকলেসে, ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে যেভাবেই হোক হীরার অবস্থান ছিল সব সময়-ই জৌলুসের।
সুপ্রিয় দর্শক, আদ্যোপান্তের আজকের এই পর্বটি আমরা সাজিয়েছি বিশুদ্ধ, পরিপূর্ণ, অদম্য রহস্যময় সৌন্দর্য, অঙ্গীকার এবং বিশ্বস্ততার প্রতীক ডায়মন্ড বা হীরাকে নিয়ে।
📌 সাবস্ক্রাইব করুন : https://www.youtube.com/ADYOPANTO
নতুন ভিডিওর নোটিফিকেশন পেতে অবশ্যই "🔔" বেল আইকনে প্রেস করুন
💻 যুক্ত হোন:
ফেইসবুক: https://www.facebook.com/Adyopanto
💻 আমাদের ওয়েবসাইট:
https://www.atpoure.com
📌 For Copyright Related Issues, please contact us:
[email protected]