MENU

Fun & Interesting

আধুনিক যুগে রমজানে সতর্কতামূলক সময় মানা কতটুকু হাদিস সম্মত। আমারা কি ইহুদি খ্রিস্টানদের অনুসারী?

SHA ALAM KAZI 488 1 week ago
Video Not Working? Fix It Now

১। আর তোমরা পানাহার কর, যতক্ষণ পর্যন্ত না (রাতের) কালো অন্ধকার থেকে ফজরের সাদা রেখা তোমাদের নিকট স্পষ্ট হয়েছে।’’ (বাকারাহ ১৮৭) রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সাহরি খাও, কারণ সাহরিতে বরকত আছে।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯২৩) "সেহরি খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করবে না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সেহরি কর। কারণ যারা সেহরি খায়, আল্লাহ তাআলা তাদের ওপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া করেন।" (মুসনাদে আহমদ ৩/১২, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৯০১০, সহিহ ইবনে হিব্বান ৩৪৭৬) ইফতার সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করতে বলা হলেও সেহরি কিছুটা দেরিতে করার কথা বলা হয়েছে হাদিসে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তিনটি কাজ নবুয়তের আদর্শের অন্তর্ভুক্ত; জলদি ইফতার করা, দেরি করে (শেষ সময়ে) সেহরি খাওয়া এবং নামাজে ডান হাতকে বাম হাতের উপর রাখা। (তাবারানী, মুজাম, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ২/১০৫) আর মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘ইবনে উম্মে মাকতূমের আযান না দেওয়া পর্যন্ত তোমরা পানাহার কর। কারণ, সে ফজর উদয় না হলে আযান দেয় না।’’ বুখারী১৯১৮, মুসলিম ১০৯২ আমারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে সেহরি খেয়েছি। তারপর তিনি নামাযে গমন করেন। আনাস বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, সেহরি এবং আজানের মাঝে সময়ের ব্যবধান কত ছিল? তিনি বললেন, প্রায় ৫০ আয়াত তেলাওয়াত করার পরিমাণ।” [বুখারি হা/১৯২১] আবূ হুরাইরা কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘যখন তোমাদের কেউ আযান শোনে এবং সেই সময় তার হাতে (পানির) পাত্র থাকে, তখন সে যেন তা থেকে নিজের প্রয়োজন পূর্ণ না করা পর্যন্ত রেখে না দেয়। (আহমাদ, মুসনাদ ২/৪৩২, ৫১০, আবূ দাঊদ ২৩৫০, দারাকুত্বনী, সুনান ২১৬২, হাকেম, মুস্তাদ্রাক ১/২০৩, বাইহাকী, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ১৩৯৪নং) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে সত্বর ইফতার করতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে, তাতে আমাদের মঙ্গল আছে। তিনি বলেন, ‘‘লোকেরা ততক্ষণ মঙ্গলে থাকবে, যতক্ষণ তারা (সূর্য ডোবার পর নামাযের আগে) ইফতার করতে তাড়াতাড়ি করবে। (বুখারী ১৯৫৭, মুসলিম ১০৯৮নং)। যেহেতু ইয়াহুদ ও খ্রিষ্টানরা রোযা রেখে দেরী করে ইফতার করে, তাই তিনি আমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধাচরণ করতে আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘দ্বীন ততকাল বিজয়ী থাকবে, যতকাল লোকেরা ইফতার করতে তাড়াতাড়ি করবে। কারণ, ইয়াহুদ ও খ্রিষ্টানরা দেরী করে ইফতার করে।’ (আবূ দাঊদ, হাকেম, মুস্তাদ্রাক, ইবনে হিববান, সহীহ, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৭৬৮৯নং)। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘রাত যখন এদিক (পূর্ব গগণ) থেকে আগত হবে, দিন যখন এদিক (পশ্চিম গগণ) থেকে বিদায় নেবে এবং সূর্য যখন অস্ত যাবে, তখন রোযাদার ইফতার করবে। (বুখারী ১৯৪১, ১৯৫৪, মুসলিম ১১০০, ১১০১, আবূ দাঊদ ২৩৫১, ২৩৫২, তিরমিযী, দাঃ)। وَقَالَ تَعَالَ، ‏لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَ নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।সূরা আহযাব। আয়াত ২১ وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى. إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُّوٛحَى "সে মনগড়া কথা বলে না। তা তো অহী, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়। (সূরা নাজম ৩-৪) وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا "আর রসূল তোমাদেরকে যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা হতে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তা হতে বিরত থাক। (সূরা হাশর ৭) مَنْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ الله যে রসূলের আনুগত্য করল,সে আসলে আল্লাহরই আনুগত্য করল। (সূরা নিসা ৮০)

Comment