MENU

Fun & Interesting

ওয়াসওয়াসা রোগ : লক্ষণ ও প্রতিকার

Ruqyah Support BD 35,034 lượt xem 4 years ago
Video Not Working? Fix It Now

ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষন
-----------
১. কারণে-অকারণে সর্বদা চিন্তিত থাকা। মাথায় বিক্ষিপ্ত চিন্তা ঘোরাঘুরি করার কারণে দৈনন্দিন কাজ, সালাত, ইবাদত, যিকির, তিলাওয়াত ইত্যাদিতে মনোযোগ দিতে না পারা।
২. হঠাৎ আচার-আচরণ পরিবর্তন হওয়া, এক ধরনের উদাস ভাব চলে আসা, কোন কিছুই ভালো না লাগা।
৩. ওযু-গোসল অথবা নামাজের বিশুদ্ধতা নিয়ে বেশি দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকা। বারবার মনে হওয়া, আমার ওযু ঠিকমতো হচ্ছে না, গোসল ভালোমত হয়নি। কিংবা নামাজের দোয়া-কালাম ঠিকমত হচ্ছে না।
৪. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অথবা পরনের কাপড় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করা।
৫. টয়লেট বা গোসলখানায় অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা।
৬. ওযু-গোসল বা শৌচকর্মে সময় এক অঙ্গ বারবার ধোয়া, এরপরেও তৃপ্ত হতে না পারা।
৭. বারবার মনে হওয়া ওযু ভেঙ্গে যাচ্ছে, অথবা প্রসাবের ফোঁটা পড়ছে, অথবা সবসময় মনে হওয়া বায়ু বের হয়ে যাচ্ছে। বিশেষতঃ নামাজের সময় এই অনুভূতি হওয়া, কিন্তু নিশ্চিত হতে না পারা।
৮. মুরব্বি, উস্তায বা বয়োজ্যেষ্ঠদের সামনে বসলে অথবা বড়দের সাথে কথা বলতে লাগলে মনে হওয়া যে, ভেতর থেকে কেউ বেয়াদবির জন্য উস্কে দিচ্ছে।
৯. আল্লাহ তা’আলা, রাসুল ﷺ অথবা ইসলামের ব্যাপারে বারবার মাথায় অবমাননাকর চিন্তা আসা।
১০. এরকম মনে হওয়া যে, কানের কাছে কেউ ফিসফিস করেছে “আপনি কুফরি করছেন বা কাফির হয়ে যাচ্ছেন”।
১১. মাঝেমাঝে কোন অদ্ভুত শব্দ বা কণ্ঠ শুনতে পাওয়া, কারো সাথে এটা নিয়ে আলোচনা করলে ভাবে, আপনি প্যারানয়েড বা পাগল হয়ে যাচ্ছেন!
১২. নামাজের রাকাত ভুলে যাওয়া, কিংবা অন্য আরকানগুলোর ব্যাপারে দ্বিধায় ভোগা। যেমন, সাজদাহ একটা দিয়েছেন না দুইটা দিয়েছেন সন্দেহ লাগা। আর এমন প্রায়শই ঘটতে থাকা।
১৩. রুকু সাজদা দীর্ঘায়িত করতে না পারা, জলদি উঠে যাওয়া। অবস্থা গুরুতর হলে নামাজে রুকু-সাজদা সময় মনের মধ্যে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি কিংবা দেবদেবীর মুর্তি ভেসে ওঠে।
১৪. প্রিয় মানুষদের নিয়ে বাজে স্বপ্ন দেখা।
১৫. স্বপ্নে নোংরা, ময়লা, পায়খানা ইত্যাদি দেখা।

ওয়াসওয়াসা সমস্যা বেশিদিন পুরনো হয়ে গেলে বা বেড়ে গেলে এটা বিভিন্ন মানসিক অথবা শারীরিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হয়। যার মাঝে প্রসাবের ইনফেকশন এবং শুচিবায়ু বা অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার (OCD) অন্যতম।
--------

সংক্ষিপ্ত পরামর্শ (বিস্তারিত ভিডিওর মাঝে আলোচনা হয়েছে)
--------
ওয়াসওয়াসা রোগের জন্য রুকইয়া:

১. এই দোয়াটি বেশি বেশি পড়া। প্রতি নামাজের আগে-পরে, অন্যন্য ইবাদতের সময়, কোন গুনাহের জন্য ওয়াসওয়াসা অনুভব করলে এটা পড়া -
. أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ، مِنْ غَضَبِهٖ وَعِقَابِهِ، وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ، وَأَنْ يَّحْضُرُوْنِ .

2. ঈমান নিয়ে সংশয় উদিত হলে পড়া (সুরা হাদীদ, আয়াত নং ৩)
هُوَ الْأَوَّلُ وَالْآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ ۖ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْم

[এছাড়া "আমানতু বিল্লাহ বলা" এবং "সুরা ইখলাস পড়ার" কথাও বর্ণিত হয়েছে] .

3. আয়াতুল হারক (আযাব এবং জাহান্নাম সংক্রান্ত আয়াত) বেশি বেশি তিলাওয়াত করা অথবা প্রতিদিন এসবের তিলাওয়াত শোনা। ( অডিও ডাউনলোড লিংক www.ruqyahbd.org/download । পিডিএফ ডাউনলোড লিংক www.ruqyahbd.org/pdf ) .

4. নাপাক থেকে বেচে থাকা, বিশেষত প্রসাবের ছিটা থেকে বাচা। যথাসম্ভব সর্বদা ওযু অবস্থায় থাকা। .

5. পুরুষ হলে জামাআতের সাথে নামাজ পড়া, মুত্তাকী লোকদের সাথে উঠাবসা করা। .

6. সকাল-সন্ধ্যায় ও ঘুমের আগের আমলগুলো গুরুত্বের সাথে করা। টয়লেটে প্রবেশের দোয়া পড়া। .

7. আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকা। যথাসম্ভবত ওয়াসওয়াসা পাত্তা না দেয়া; ইগনোর করা, এমনকি মুখে বিরক্তির ভাবও প্রকাশ না করা। .

8. নামাজে ওয়াসওয়াসা হলে বামে হালকা করে ৩বার থুতু ফালানো। (মিসিং পয়েন্ট) আর রাকাত ভুলে গেলে- মনে থাকা কম সংখ্যাটা ধরে, এরপর প্রতি রাকাতে আত্তাহিয়্যাতু পড়া, আর নামাজের শেষে সাহু সাজদা দেয়া। .

9. সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, ইখলাস, ফালাক, নাস - ৩বার করে। এরপর শুধু সুরা নাস অনেক বার (৭বার/৩৩বার/আরও বেশি) পড়ে পানি আর অলিভ অয়েলে ফুঁ দেয়া। এরপর সুস্থতার নিয়াতে প্রতিদিন ২-৩ বেলা এই পানি পান করা। মাথায় এবং বুকে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা .

১০. বদনজর বা জিনের সমস্যা থাকলে সে অনুযায়ী রুকইয়াহ করা।

------------------
Related Tags:
জাদুমন্ত্র, শয়তান, শুচিবাই, ওসিডি, Obsessive Compulsive Disorder, OCD, ডিপ্রেশন, ইলুমিনাতি, ফ্রিম্যাসন, ওয়াসওয়াসা, রাকাত ভুলে গেলে, ওযু নিয়ে সন্দেহ, নামাজের সমস্যা, নাস্তিকদের জবাব, খারাপ স্বপ্ন দেখলে, জ্বিনের আসর, বাতাস লাগা, চিকিৎসা, শয়তান পুজা, অভিশাপ, আত্মা।

Comment