শ্রী শ্রী গুরু তত্ত্ব ও মহিমা ৩ // পন্ডিত শ্রীমৎ গোবিন্দ দাস বাবাজী মহারাজ // শ্রী শ্রী রাধাকুন্ড, বৃন্দাবন
#Gobinda_Das_babaji
#Guru_Purnima
# Guru_Puja
#Shyamsundar_Kirtan_Jagat
শ্রী শ্রী চৈতন্য ভাগবত আশ্রম, শ্রীধাম নবদ্বীপ
শুভ গুরু পূর্ণিমা শুভেচ্ছা অভিনন্দন
"ধ্যানমূলং গুরুমূর্তি পূজামূলং গুরু পদম্।
মন্ত্রমূলং গুরুবাক্যং মােক্ষমূলম্ গুরুকৃপা"।।
সর্ব কাজের মূল মূর্তি হলেন শ্রীগুরুদেব । গুরুকৃপা ভিন্ন এই জগত সংসারে কোন কিছুই করতে পারে না।
জীবনে প্রথমত মাতা পিতা এবং শিক্ষকের সান্নিধ্য লাভ হয়ে থাকে । ইনারা প্রত্যেকেই আমাদের মনুষ্য জীবনের প্রথম গুরু। শুধু তাই নয় যার কাছ থেকে আমরা কোন কিছু শিক্ষা লাভ করে থাকি তিনি আমাদের শিক্ষা গুরু।
* গু শব্দে -- অন্ধকার আর রু শব্দে -- আলো ।
গুরু শব্দের তখনই সঠিক অর্থ হল যিনি অজ্ঞান অন্ধকার থেকে মুক্ত করে জ্ঞানের আলো হৃদয়ে বিকাশ করে, তিনি হলেন শ্রীগুরুদেব ।
বৈষ্ণবীয় শাস্ত্রে শ্রী গুরুদেব কৃষ্ণের বিশেষ কৃপা মূর্তি বলা হয়ে থাকে । তাই শ্রীসনাতন গোস্বামী বললেন -----মহিমায় গুরু কৃষ্ণ এক করি জানো ।
গুরু বিনা এই জীব জগত সংসার এই সকল প্রকার কর্ম বৃথা । গুরু কৃপা না হলে এই জগত সংসারে কোন কিছুই সম্ভব নয়। তাই যার কাছ থেকেই কোন কিছু শেখা যায় তিনি হলেন আমাদের শিক্ষা গুরু ।
* আর যিনি মন্ত্র দান করেন অর্থাৎ যিনি মন্ত্র রুপি ভগবানকে হৃদয়ের মধ্যে বসিয়ে দেন তিনি হলেন দীক্ষাগুরু ।
গুরুদেব কে কোন সময় মনুষ্য জ্ঞান করতে হয় না ।
শিষ্যের কাছে গুরুদেব হলেন সাক্ষাৎ শ্রীহরি এবং শ্রীহরি জীবের গুরু । গুরুদেব যাহার উপর সন্তুষ্ট হয় তার উপর ভগবানও সন্তুষ্ট হয়ে থাকেন ।
গুরু পূর্ণিমা কি ?
বৈদিক মতে প্রত্যেক শিষ্যে গুরুদেব কে সম্মান জানাতে গুরু পূর্ণিমা অনুষ্ঠান করে থাকে ।
ভারতের অনেক জায়গায় গুরু পূর্ণিমাকে মহাঋষি বেদব্যাসের আবির্ভাব তিথি বলা হয় । আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতেই জন্ম হয়েছিল ব্যাসের |
বৈষ্ণব মতে এই দিনটি সনাতন গোস্বামী পাদের তিরোভাব মহোৎসব হিসাবে বিশেষভাবে পালন করা হয় ।
শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভু গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের প্রবর্তক তিনি প্রধান আচার্য ও অভীষ্ঠ । গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায় মাধবাচার্য সম্প্রদায়ভুক্ত বলা হলেও, প্রকৃতপক্ষে গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায় একটি স্বতন্ত্র সম্প্রদায় । সেই শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপাদেশ শিরোধার্য করে শ্রীমৎ সনাতন গোস্বামীপাদ শ্রীমৎ রুপ গোস্বামীপাদ শ্রীমৎ জীবাগোস্বামীপাদ প্রভৃতি গৌড়ীয় বৈষ্ণবাচার্য্যবৃন্দ পরবর্তীদের জন্য আচার্য কার্য করছেন, তাই তিথিতে সকলক আচার্য গণকে সম্মান জানানো দরকার ।
এই তিথিতে বিশেষ করে গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায় শ্রীমৎ সনাতন গোস্বামীকে স্মরণ করার জন্য গৌড়ীয় বৈষ্ণব গন মস্তক মুন্ডন করে থাকে।
তাই জন্য গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায় সনাতন গোস্বামী পাদকে বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়ে থাকে এবং সকলেই যে যার গুরুদেব কে অর্চন পূজন করে থাকে।
*গুরু পূর্ণিমা একদিন নয় প্রতিদিন হোক এবং আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকদিন গুরুজনদের কে সম্মান করতে পারলেই সেটা হবে প্রকৃত গুরু পূর্ণিমা ।
বি দ্রঃ : এই মহামারীর মধ্যে যারা গুরু পাঠে যেতে পারছেন না । তারা প্রত্যেকেই গৃহে গুরুদেবের চিত্রপটে অর্চন করুন এবং গুরু পাদপদ্ম কে হৃদয়ে ধারণ করুন সকলে বাড়িতে থাকুন সুস্থ থাকুন ।
জগদগুরু নিতাই চাঁদের চরণে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই । শ্রীমতি জাহ্নবা মাতা ঠাকুরানীর সকল গুরু বর্গকে অসংখ্য কোটি ভূলণ্ঠিত দণ্ডবৎ প্রণাম
জানাই ।
চারি সম্প্রদায় আচার্য বর্গকে অসংখ্য কোটি ভূলুণ্ঠিত দণ্ডবৎ জানাই ।
সকল সম্প্রদায়ের সকল আচার্যকে আমার ভুলুন্ঠিত দণ্ডবৎ প্রণাম জানাই ।
আমার শ্রীগুরুদেব চরণে অসংখ্য কোটি ভূলুণ্ঠিত দণ্ডবৎ এবং সকল মহাপুরুষ গন সকল গুরু বর্গগণ সকল গোস্বামী গণ প্রভুপাদ গন সকল বৈষ্ণবগণের চরণে অসংখ্য কোটি দণ্ডবৎ প্রণাম জানাই ।