বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ কালিগঙ্গা নদী। একসময় এই নদী ছিল প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের নিদর্শন। এর স্বচ্ছ জল, সবুজ তীর, নানা প্রজাতির মাছ এবং পাখি দিয়ে এই নদী ছিল প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক আকর্ষণের কেন্দ্র।
কালিগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অনেক গ্রাম। নদীর তীরে গাছপালা, ফুল ফোটা, পাখির কলকাকলি – সব মিলে এক অপরূপ সৌন্দর্যের ছবি তৈরি হতো। নদীতে নৌকা চালানো, মাছ ধরা, স্নান করা – এসব গ্রামবাসীদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
কিন্তু কালিগঙ্গা নদীর এই সৌন্দর্য ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। নদী দূষণ, অবৈধ দখল, এবং পানির অভাবের কারণে নদীটির স্বরূপ বদলে গেছে। নদীর জল আর আগের মতো স্বচ্ছ নয়। নদীর তীরের সবুজ ঘাস আর নেই, তার জায়গায় জন্মেছে লতাপাতা। নদীতে মাছের সংখ্যা কমে গেছে।
কালিগঙ্গা নদীর এই দুরাবস্থার জন্য দায়ী অনেকগুলো কারণ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
নদী দূষণ: শিল্প কারখানা থেকে বের হওয়া বিষাক্ত পদার্থ, ঘরবাড়ি থেকে বের হওয়া নোংরা পানি, এবং কৃষিক্ষেত থেকে বের হওয়া রাসায়নিক সার নদীকে দূষিত করছে।
অবৈধ দখল: অনেকেই নদীর জমি দখল করে বাড়িঘর তৈরি করেছে বা অন্য ব্যবহারে লাগিয়েছে।
পানির অভাব: বর্ষার সময় নদীতে পানি বেড়ে যায় এবং শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে যায়। এর ফলে নদীর তলদেশে বালি জমে যায় এবং নদীটি আগের মতো গভীর থাকে না।
কালিগঙ্গা নদীর এই দুরাবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সরকার এবং স্থানীয় জনগণকে একযোগে কাজ করতে হবে। এর জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
নদী দূষণ রোধ: শিল্প কারখানাগুলোকে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন করতে হবে।
অবৈধ দখল বন্ধ: নদীর জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
নদী পরিষ্কার করার কার্যক্রম: নিয়মিতভাবে নদী পরিষ্কার করার কার্যক্রম হাতে নিতে হবে।
চারা রোপণ: নদীর তীরে বৃক্ষরোপণ করে পরিবেশকে সুরক্ষিত করতে হবে।
সচেতনতা সৃষ্টি: জনগণকে নদী দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।
Follow me on social :
FB ID https://www.facebook.com/marufTST
FB PAGE https://www.facebook.com/marufstoryteller/
INSTA https://www.instagram.com/marufulhasan4891?fbclid=IwAR3kA6hQake8V2yW6ShEjm63rYW1WwniBFgBf0PxSQkhz1WEhxtDK_6CHPU
https://www.linkedin.com/in/marufstoryteller/