Hare Krishna Kirtan 3
কেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, দুর্যোধনের রাজভোগ গ্রহণ করলেন না? | কুমারী দীপিকা মহন্ত
বিদুরাণীর প্রদত্ত কলার খোসাতেও তিঁনি সন্তুষ্ট হয়েছিলেন অথচ দুর্যোধনের রাজভোগ তিঁনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন?
#কৃষ্ণ ভক্তির পথ অতীব সরল। ভগবৎ গীতার ৯.২৬ শ্লোকে বলা হয়েছে শুধুমাত্র পত্র, ফুল, ফল ও জল ভক্তি সহকারে অর্পণ করলেই পরম পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সন্তুষ্ট হন। এ থেকে বোঝা যায় ধনী অথবা দরিদ্র যে কেউ ভক্তি করতে পারেন। আমরা ভাগবতম থেকে জানতে পারি দরিদ্র সুদামার কাছ থেকে সামান্য ক্ষুদ পেয়েও ভগবান খুশি হয়েছিলেন। বিদুরাণীর প্রদত্ত কলার খোসাতেও তিঁনি সন্তুষ্ট হয়েছিলেন অথচ দুর্যোধনের রাজভোগ তিঁনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এ থেকে বোঝা যায় ভগবান সারগ্রাহী অর্থাৎ তিনি শুধুমাত্র আমাদের ভক্তিভাব গ্রহণ করেন। কৃষ্ণ ভক্তি যেকেউ করতে পারে এমনকি পশুদেহে থেকেও করা যায়। যেমন গজেন্দ্র হাতির শরীরে থেকেও তিনি মোক্ষ লাভ করেন। হনুমান বাঁদর কূলের অন্তর্ভুক্ত হলেও তিনি ছিলেন ভগবান রামের সর্বাধিক প্রিয় সেবক। ভগবানকে যেকোনো পরিস্থিতিতে স্মরণ করা যায়। যেমন কুন্তী দেবী অত্যন্ত প্রতিকূল সময়েও ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করতেন। ভগবান গীতাতে বলেছেন তিনি জলের স্বাদ তাই জল পান করার সময়েও ভগবান কে স্মরণ করা যায় , সূর্য ও চন্দ্র তাঁর দুই চক্ষু তাই এগুলি দেখামাত্র ভগবান কে স্মরণ করা যায়। চৈতন্য মহাপ্রভু বলেছেন ''নিয়মিত স্মরণে না কালঃ'' অর্থাৎ ভগবান কে স্মরণ করার কোনো নির্দিষ্ট সময় বা নিয়ম নেই। কৃষ্ণভক্তি গৃহে অথবা বনে যেকোনো জায়গায় করা যায়। কৃষ্ণভক্তির জন্য অগাধ পান্ডিত্যের প্রয়োজন নেই।
কুমারী দীপিকা মহন্ত, নওগাঁ, রাজশাহী
kumari Deepika Mohanta
#কৃষ্ণভক্তি