নিউইয়র্ক মেগাসিটি। এখানে বাসা ভাড়া অন্য বড় শহরের সাথে তুলনা করলে বেশ বেশী। তাই যারা মিনিমাম ওয়েজের কাজ করেন তাদের ইচ্ছা থাকে বাড়ী কেনা। বাড়ী কেনার ব্যাপারটা এখানে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ আলাদা। কারণ, বাড়ী কেনা বেচার যেসব ওয়েবসাই আছে যেমন https://www.zillow.com/ এখানে যেকোন বিক্রয়যোগ্য বাড়ীর ইতিহাস দেয়া থাকে। শেষবার কত দামে বিক্রি হয়েছিল, গত কয় মাসে কত টাকা দামের হেরফের হয়েছে এইসব। সবচেয়ে সুবিধার বিষয় বাড়ীর দাম একদম স্পেসিফিক উল্লেখ থাকে ওখানে। বাংলাদেশে বাড়ী ঘর এর মালিকানার আদি ও অকৃত্রিম ঝামেলাগুলা এইখানে নাই। আর সবচেয়ে সবচেয়ে বড় সুবিধা এইখানে যেটা আছে সেটা হচ্ছে মর্টগেজের ব্যাবস্থা। আপনি বাড়িটার দাম সর্বোচ্চ ৩০ বছরে শোধ করতে পারবেন । বাংলাদেশের অনেক ভাড়াটিয়া আছেন যারা এত লম্বা সময় এক বাড়িতে কাটিয়ে দেন যে ওই বাড়িটা তারা দুইবার কিনতে পারতেন। তো আমেরিকা হলে মর্টগেজের মাধ্যমে ওই বাড়িটা তারা কিনে ফেলতে পারতেন। আরেকটা সুবিধা আছে যেটার নাম ডাউন পেমেন্ট এসিস্ট্যান্স। আপনাকে প্রাথমিক যে টাকাটা দিয়ে বাড়িতে উঠতে হবে সেটার বড় অংশদিয়ে সহায়তা করে সরকারের এজেন্সিসমুহ। যে বাড়ির দাম ৫ লাখ ডলার সেটা আপনি হয়তো ৫ হাজার ডলার দিয়েই উঠতে পারবেন তবে আনুষাংগিক অন্য খরচ আছে যেটার নাম ক্লোজিং ফি। তবে এলাকাভেদে আপনি একদম শূন্য ডাউন পেমেন্ট দিয়ে বাড়িতে উঠতে পারবেন শুধুমাত্র ক্লোজিং ফি দিয়ে। বাড়ী কেনা জটিল প্রক্রিয়া । সরকারের সহযোগিতা এটাকে সহজ করেছে। জানতে চাইলে দেখুন, প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে করুন।