ত্রিকালেশ্বর ত্রৈলঙ্গস্বামী যাঁকে বারাণসীর সচল শিব বলা হয়, তিনি ২৮০ বছর বেঁচেছিলেন। অর্থাৎ তার জন্ম বাংলা ১০১৪ সনের পৌষ মাসে (ইং- ১৬০৭ খ্রিস্টাব্দে) আর এই মরদেহ ত্যাগ করেন, ১২৯৪ বাংলা সনের পৌষ মাসে (ইং ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে)। তো একটা দীর্ঘ জীবনকাল। অন্য কোনো মহাপুরুষ সম্পর্কে এত দীর্ঘ জীবনের কথা শোনা যায় না। বাবা লোকনাথ বেঁচেছিলেন, ১৬০ বছর (১৭৩০-১৮৯০) । শ্রীকৃষ্ণ বেঁচেছিলেন ১২৫ বছর। ভীষ্ম যার ইচ্ছেমৃত্যু বড় ছিল, তিনি বেঁচেছিলেন, ১৮৬ বছর। অবশ্য বাবাজি সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে তাঁর বয়েসের কোনো গাছ পাথর ছিল না। দেখতেও ৩০ বছরের যুবকের মতো লাগতো। আর একজন সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে, যিনি শঙ্করাচার্য্যের গুরু শ্রী গোবিন্দপাদ। এঁর সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে, ইনি স্বয়ং ঋষি পতঞ্জলি, হাজার বছর অপেক্ষা করেছিলেন, নর্মদার তীরে, এক গুহার মধ্যে, শংকরকে দীক্ষা দেবেন বলে। তো স্বামীজীর এই দীর্ঘ জীবন অর্থাৎ ২৮০ বছর থাকার পিছনে রহস্যঃ-টা কী ? প্রকৃতির নিয়মেই আমাদের ব্যাধি-জ্বরা-মৃত্যু এসে থাকে। আবার শরীরকে আপনি যদি পুষ্টিদায়ক অন্ন-জল না দেন, তবে দেহ মৃত্যুমুখে পতিত হবে। এটা প্রকৃতির নিয়ম। এই নিয়ম থেকে সাধারণ মানুষ থেকে মহাপুরুষ অবধি প্রযোজ্য। এমনকি যারা স্বেচ্ছায় মৃত্যু বরণ করে থাকেন, তাদের দেখেছি, মৃত্যুর আগে থেকে অন্ন-জল ত্যাগ করতে। অর্থাৎ শরীরের শক্তিক্ষয় বা বৃদ্ধি স্বাভাবিক ভাবেই কালের নিয়মে হয়ে থাকে। এর ব্যতিক্রম কি ভাবে সম্ভব ? যোগক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরকে সুস্থসবল, এমনকি নীরোগ রাখা সম্ভব হলেও, মৃত্যুকে কে রোধ করতে পারে ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চেষ্টা করবো আমরা। SASANKA SEKHAR PEACE FOUNDATION - ETERNAL PEACE SEEKER