MENU

Fun & Interesting

সৈয়দ কালু শাহ্ ফকিরের ৮ টি সুপার হিট বাউল গান । শিল্পীঃ সৈয়দ শাহজাহান শাহ্ এরং মিজান শাহ্

Aryan Mizan 57,529 lượt xem 3 years ago
Video Not Working? Fix It Now

মহান সাধক সৈয়দ কালু শাহ ফকির
ঈশ্বর প্রেমে প্রেমিক হয়ে অনেক মানুষ সন্যাসী হয়ে ঈশ্বরকে খুঁজে ফেরে। এমনই এক অাধ্যাত্বিক সিদ্ধি পুরুষ সৈয়দ কালু শাহ ফকির। ১৮০৯ কিংবা ১৮১০ ইং সালে
তৎকালীন পাবনা জেলা বর্তমান
সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া
উপজেলার কালিগঞ্জ গ্রামে জন্ম
গ্রহণ করেন এই মহান সাধক কালু শাহ ফকির। পিতা নিতাই ব্যাপারী, মা নুরজাহান বেগম। জন্মের পর তার নাম রাখা হয়েছিল অছিমদ্দিন।
শিশুকালে মা তাকে আদর করে
গায়ের রং কালো থাকার কারণে
কালু বলে ডাকতেন। এই কালুই মহান সাধক সৈয়দ কালু শাহ ফকির। পিতা নিতাই ব্যাপারী ছিলেন এক জন ব্যবসায়ী মানুষ। ব্যবসা-বানিজ্যের কারণে প্রায়ই কালিগঞ্জ ছেড়ে দুর- দূরান্তে যেতে হতো তাকে। কালু শাহ ফকিরের বয়স যখন ১০ বছর সেই সময়
নিতাই ব্যাপারী সস্ত্রীক বেড়াতে
যান শ্বশুরালয়ে। অর্থাৎ তৎকালীন
ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জ
সাটুরিয়ার কাউন্নারা গ্রামে।
সঙ্গে ছিলেন বালক কালু শাহ এবং
তার বোন শাবানী। স্ত্রী পুত্র
কন্যাকে রেখে নিতাই ব্যাপারী
ব্যবসার কাজে বাড়ীর বের হন। এর পর তিনি ফিরে এসে ছিলেন কিনা
তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে
তখন থেকেই কালু শাহ ফকির তার
মায়ের সঙ্গে কাউন্নারা গ্রামে
মামার বাড়ীতেই থাকতেন। নানা
কোরবান আলী সরদার ছিলেন সে
সময়ের প্রভাবশালী লাঠিয়াল
দলের নেতা। মামা জামাল সরদার
এবং কামাল সরদারের ইচ্ছা ছিল
তাদের ভাগ্নে তাদের মতোই
লাঠিয়াল হবে। কিন্তু মায়ের
একান্ত ইচ্ছায় তাকে কাউন্নারা
হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি
করানো হয়। বাল্যকাল থেকেই কালু শাহ ফকিরের স্মরণ শক্তির এবং মেধা ছিল অসাধারণ। ফলে অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি কোরআন শরিফ মুখস্থ করে ”হাফেজ” এর সন্মানে ভুষিত হন। পরবর্তিতে তিনি কাউন্নারা মসজিদে ”ইমামতী” দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অল্প দিনেই গ্রাম সহ এলাকার জন সাধারনের নিকট শ্রদ্ধার পাত্র হিসাবে গন্য হন তিনি। আধ্যাত্বিককতার চিন্তা তার মনের মধ্যে কাজ করতে শুরু করে। গভীর রাত পর্যন্ত মহান আল্লাহতালার সৃষ্টি রহস্য নিয়ে চিন্তা ও সাধনা করতেন। সাধনার এক পর্যায়ে তিনি বুঝতে পারলেন, অাধ্যাত্বিকতার সাধনার জন্য একজন পথ প্রদর্শক পীরের প্রয়োজন এবং সেই থেকে তিনি একজন কামেল পীরের
খোঁজ করতে লাগলেন। পীরের
সন্ধ্যান পান তিনি। তিনি হচ্ছেন
হযরত সৈয়দ শাহ আতাউর রহমান আল কাদেরী। এক সময় সৈয়দ শাহ আতাউর রহমান ঢাকাতে আসেন এবং স্বপ্নে।পাওয়া আদেশ অনুসারে ধামরাইতে হাজী-গাজী-পীর এর মাজারে আসন স্থাপন করেন। বর্তমানে সৈয়দ আতাউর রহমানের মাজার ধামরাইয়ে হাজী-গাজী
মাজারের পার্শ্বে অবস্থিত। এখানে তিনি সৈয়দ শাহ নামেই পরিচিত । কালু শাহ ফকির তার মুরীদ
হন। পীর সাহেব কালু শাহ ফকিরকে
দেখে তার রুহানী শক্তি এবং
চিন্তা ধারা সম্পর্কে বুঝতে পেরে
ছিলেন এবং কালু শাহ ফকির ও একজন কামেল সিদ্ধ পুরুষকে পীর হিসাবে পেয়ে আধ্যাত্বিকতার পথের অনেকখানি এগিয়ে গেলেন। সারা রাত জেগে জেগে সাধনা করতেন। কখনো তিনি গভীর পানির নিচে।দীর্ঘ সময় চিন্তায় বিভোর হয়ে।থাকতেন। কখনো কয়েক দিন এক টানা ক্ষুধা তৃষ্ণা এবং ঘুম ভুলে গিয়ে সৃষ্টি রহস্যের চিন্তায় ডুবে যেতেন। এমনকি তিনি ৪১ দিন মাটির নিচে কবরের মধ্যে থেকেও সাধনা করেছেন। পীরের নির্দেশের একাধিক্রমে গভীর জঙ্গলে ৭ দিন সাধনা করে ছিলেন।
সাধনায় তিনি দিব্য দৃষ্টি লাভ করে
ছিলেন এবং কয়েক মাইল দুরে
কোথায় কি ঘটছে, তিনি অবিকল
বলে দিতে পারতেন। সাটুরিয়া
বাজার সংলগ্ন নদী পারের
আস্ততানায় তিনি বসতেন সেই
স্থানটি এখনো সংরক্ষিত রয়েছে।
দূর-দূরান্ত থেকে অগনিত ভক্ত এসে তাকে ঘিরে থাকতো। তিনি
সবাইকে ইহলৌকিক ও পরলৌকিক
মুক্তি এবং শান্তির পথ নির্দেশ
করতেন। অধিকাংশ সময়ে তিনি
গানের মাধ্যমে ভক্তদের
প্রয়োজনীয় উপদেশ ও পরামর্শ
দিতেন। এই গান গুলিই আজও হাজার হাজার ভক্ত, ফকির ,বাউলের মুখে মুখে ফিরছে। নিরিক দর্শন মারিফতি দেহতত্ব এবং ঈশ্বর প্রেম বিষয়ক দু হাজারের ও বেশী গান সাড়া দেশে ছড়িয়ে আছে তার
অগনিত ভক্তদের মাঝে। সৈয়দ কালু শাহ ফকিরের গানের আধ্যাত্বিক বক্তব্য গুলোই প্রমাণ দেয় তিনি কত বড়।সাধক কামেল ছিলেন। তিনি ১৯০৫
ইং সালে ( বাংলা ১১ ই
অগ্রহায়ণ, ১৩১২ সাল ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলে সাটুরিয়ার এই কাউন্নারা গ্রামেই তাকে সমাধিস্থ করা হয়। ......//https://youtu.be/JEdgE6_gJ7Y

Comment