সেহরি থেকে ইফতার যে আমল গুলো করবেন || রমজান মাসের আমল || রমজান মাসের জিকির || রমজান মাসের সবচেয়ে দামী আমল কোনটি || রমজান মাসের ফজিলত ও আমল || পবিত্র রমজান মাসের ফজিলত ও ইবাদত || আল্লামা মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী || Mustakunnabi Kasemi waz || new waz 2025
রমজানের করণীয়:
* রোজা : রমযান মাসে রোজা রাখা ফরয। এটা রমজান মাসের বিশেষ আমল। সকল আদব রক্ষা করে পুরো মাস রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য।
* তারাবীর সালাত : রমজানের রাতের বিশেষ আমল হল কিয়ামে রমযান তথা বিশ রাকাত তারাবীহ। এ মাসের অফুরন্ত রহমত ও মাগফিরাত লাভ করার জন্য এবং প্রতিশ্রুত সওয়াব ও পুরস্কার পাওয়ার জন্য তারাবী নামাযের প্রভাব অপরিসীম।
* দান-সদকা করা : দান-সদকা সর্বাবস্থাতেই উৎকৃষ্ট আমল, কিন্তু রমজানে দান-সদকার গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। হাদীস শরীফে এসেছে- ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়ার সকল মানুষ অপেক্ষা অধিক দানশীল ছিলেন। রমযান মাসে তাঁর দানের হস্ত আরো প্রসারিত হত।’ -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০২
* কুরআন মজীদ তেলাওয়াত : রমজান মাস কুরআন অবতরণের মাস। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরাইল আ.-এর সাথে রমজানের প্রত্যেক রাতে কুরআন মজীদ দাওর করতেন।
হাদীস শরীফে এসেছে- ‘হযরত জিবরাইল আ. রমজানের শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক রাতে নবী করিম (সা.)-এর সাথে সাক্ষাত করতেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে কুরআন মজীদ শোনাতেন।’-সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০২
অতএব আমাদের সকলের উচিত রমজানে অধিক পরিমাণে কুরআন তেলাওয়াত করা। অন্তত একবার হলেও কুরআন খতম করা।
* নফল ইবাদত : রমজান মাসে শয়তান শৃংখলাবদ্ধ থাকে। এই সুযোগে অধিক পরিমাণে নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করা যায়।
এ মাসে যে কোনো ইবাদত নিয়মিত করতে তেমন কোনো বেগ পেতে হয় না এবং পরবর্তীতে তা সহজেই অভ্যাসে পরিণত হয়। সুতরাং যিকির-আযকারের সঙ্গে অধিক পরিমাণে নফল নামায আদায় করা উচিত। অন্তত বিভিন্ন সময়ের নফল নামাযগুলো আদায় করা যেমন-ইশরাক, চাশত ও তাহাজ্জুদ ইত্যাদি।
* দুআ করা : এ মাস রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও জান্নাত লাভের মাস। তাই বেশি বেশি আল্লাহ তাআলার শরণাপন্ন হয়ে কান্না-কাটি করে দুআ করা একান্ত কাম্য।
* মাগফিরাত কামনা করা : যে ব্যক্তি রমজান পেয়েও নিজের গুনাহসমূহ ক্ষমা করাতে পারল না তার উপর জিবরাইল আ. ও দয়ার নবী করিম (সা.) অভিসাপ করেছেন।
তাই জীবনের করা সকল গুনাহের কথা স্মরণ করে বেশি বেশি তওবা ইস্তেগফার করা এবং আল্লাহ তাআলার দরবারে ক্ষমা মন্জুর করিয়ে নেওয়ার এটিই উত্তম সময়।
বিশেষ করে ইফতার ও তাহাজ্জুদের সময় আল্লাহ তাআলার দরবারে ক্ষমা চাওয়া এবং দুআ করা। এই সময় দোয়া বেশি কবুল হবার সম্ভাবনা থাকে।
* ই’তিকাফ : শেষ দশকের মাসনূন ই’তিকাফ অত্যন্ত ফযীলতের আমল। হাদীস শরীফে এসেছে- ‘নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের শেষ দশদিন ইতিকাফ করতেন।’ -সহীহ বুখারী, হাদীস ২০২১; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৭১
* শবে কদর অন্বেষণ : ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে রাত্রি জাগরণ করে সহস্র রজনী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ও উত্তম রাত-লাইলাতুল কদর তালাশ করা কর্তব্য। কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে-
‘নিঃসন্দেহে কদরের রাতে আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি। আর আপনি কি জানেন শবে কদর কী? শবে কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
এ রাতে ফেরেশতা ও রুহুল কুদ্স (জিবরাঈল আ.) তাদের পালনকর্তার আদেশক্রমে প্রত্যেক মঙ্গলময় বস্তু নিয়ে (পৃথিবীতে) অবতরণ করে। (এ রাতের) আগাগোড়া শান্তি যা ফজর হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।’ -সূরা কদর
রোজার ফযীলত:
প্রত্যেক নেক আমলের বিভিন্ন ফযীলত ও সওয়াব রয়েছে যা দ্বারা মহান রাব্বুল আলামীন আমলকারীকে পুরস্কৃত করবেন, কিন্তু রোজার বিষয়টি একেবারেই স্বতন্ত্র। কারণ রোজার বহুবিধ প্রতিদান ছাড়াও এ বিষয়ে একটি ঘোষণা রয়েছে। রাসূলে কারীম (সা.) ইরশাদ করেন -
‘মানুষের প্রত্যেকটি আমলকে বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকী (সওয়াব) ১০ গুণ থেকে (ক্ষেত্র বিশেষে) ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন : কিন্তু রোজার ব্যাপারটি ভিন্ন। কারণ রোজা আমার জন্য। সুতরাং তার প্রতিদান আমি নিজেই প্রদান করব।’- সহীহ বুখারী, হাদীস ১৮৯৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৫১/১৬৪
* রোজা কিয়ামতের দিবস সুপারিশ করবে
হাদীস শরীফে এসেছে- ‘রোজা ও কুরআন মজীদ কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে আল্লাহ!আমি তাকে দিনের বেলায় পানাহার ও যৌন সম্ভোগ থেকে পূর্ণ বিরত রেখেছি। কাজেই তাকে ক্ষমা করে দিন এবং পুরস্কৃত করুন এবং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন।
আর কুরআন বলবে, আমি তাকে রাতে নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছি। কাজেই তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কুবল করুন। অতঃপর তাদের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।’ -মুসনাদে আহমদ, হাদীস ৬৫৮৯; তবারানী-মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৩/৫১৯
রোজা জাহান্নামের আগুনের ঢাল ও দুর্গ
হাদীস শরীফে এসেছে- ‘রোজা জাহান্নামের আগুন থেকে পরিত্রাণের জন্য একটি ঢাল এবং দুর্গ।’-মুসনাদে আহমদ, হাদীস ৮৯৭২
#Mufti_Mustakunnabi_Kasemi
#মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_নতুন_বয়ান
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_ওয়াজ
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_সাহেবের_ওয়াজ
#নতুন_ওয়াজ
#বাংলা_ওয়াজ
#মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী
#bangla_waz_2023
#বাংলা_ওয়াজ
#allamah
#মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_2023
#২০২৪
#Waz 2024
#new waz 2024
#mustakunnabi2024
#allama_mufti_mustakunnabi_kasemi2024
#২০২৫
#Waz 2025
#new waz 2025
#mustakunnabi2025
#allama_mufti_Mustakunnabi_kasemi2025