রমজানের শুরুতেই ঝড়: কাবার ৩৬০ মূর্তি নিয়ে মিথ নাকি বাস্তব? ┇মাওলানা মমতাজুল ইসলাম┇Momtazul Islam
ইসলামবিরোধীরা প্রায়ই বলে থাকেন, কাবা শরীফে নাকি একসময় ৩৬০টি মূর্তি ছিল — এবং তারা এটা নিজেদের ধর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এই দাবির ভিত্তি কতটা সত্য? কুরআন ও হাদিসের আলোকে এই প্রশ্নের সঠিক জবাব আমরা খুঁজে বের করব, ইনশাআল্লাহ।
কাবা শরীফের ইতিহাস:
কাবা শরীফ আল্লাহ তাআলার ঘর। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে —
"إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِلْعَالَمِينَ"
অর্থ: "নিশ্চয়ই মানুষের জন্য সর্বপ্রথম যে ঘর নির্মিত হয়েছে, সেটাই বাক্কায় (মক্কায়), যা বরকতময় ও বিশ্বজগতের জন্য পথনির্দেশক।"
📖 (সূরা আলে ইমরান: ৯৬)
কাবার মূর্তির ইতিহাস ও ধ্বংস:
কাবা শরীফের ইতিহাসে সত্যি একসময় মূর্তি ছিল, কিন্তু সেটা ইসলামের আগমনের আগের জাহেলিয়াত যুগে। রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন মক্কা বিজয় করেন, তখন তিনি আল্লাহর নির্দেশে সমস্ত মূর্তি ধ্বংস করেন।
হাদিসে এসেছে:
"রাসুলুল্লাহ (সা.) ফাতহে মক্কার দিন কাবা শরীফের চারপাশে রাখা মূর্তিগুলো লাঠি দিয়ে আঘাত করতে করতে বলেন:
'جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا'
অর্থ: "সত্য এসে গেছে, মিথ্যা বিলীন হয়েছে; নিশ্চয়ই মিথ্যা বিলীন হওয়ারই উপযুক্ত।"
📖 (সহিহ বুখারি: ২৪৭৮, সহিহ মুসলিম: ১৭৮১)
কাবা শরীফ ও তাওহিদের প্রতীক:
ইসলাম কাবাকে তাওহিদের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। কাবা কখনোই মূর্তিপূজার স্থান ছিল না; বরং জাহেলিয়াত যুগের অজ্ঞ মানুষরা কাবাকে বিকৃত করেছিল। আল্লাহর নবী (সা.) তা পরিষ্কার করে একত্ববাদের ঘর হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।
উপসংহার:
"কাবায় ৩৬০ মূর্তি" কথাটি ইতিহাসের অংশ হলেও এটা ইসলামের অংশ নয়। ইসলাম এসেছে মূর্তিপূজা দূর করতে এবং তাওহিদের বানী প্রচার করতে। তাই কুরআন ও হাদিসের স্পষ্ট নির্দেশনার আলোকে বলা যায়, কাবা শরীফ আল্লাহর ঘর, মূর্তিপূজার স্থান নয়।
আপনারা সবাই দয়া করে P.A SOLUA ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন! এখানে আপনি ইসলামিক ভিডিওসহ নানা শিক্ষণীয় বিষয় পাবেন, যা আপনার জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতাকে সমৃদ্ধ করবে। নতুন ভিডিওর নোটিফিকেশন পেতে বেল আইকনটি প্রেস করতে ভুলবেন না।