MENU

Fun & Interesting

বর্ধমানের মা সর্বমঙ্গলা | ইতিহাস ও তথ্য | এ কি সত্যিই সতীপীঠ? | Maa Sarbamangala at Bardhaman | PP 🌷

PUJOR PORIBAR 261 2 weeks ago
Video Not Working? Fix It Now

বর্ধমানের মা সর্বমঙ্গলা | ইতিহাস ও তথ্য | এ কি সত্যিই সতীপীঠ? | Maa Sarbamangala at Bardhaman | PP 🌷 আমাদের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার র্অধিষ্ঠাত্রী দেবী দেবী সর্বমঙ্গলা। তিনি বাংলার লৌকিক দেবতা ও বটে। তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলার সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজিত হন। এই মন্দিরটিকে অনেকে শক্তিপীঠ বলেন। সেই মতে এখানে দেবীর নাভি পরেছিল। দেবী সর্বমঙ্গলা ও ভৈরব শিব/মহাদেব। ১৭০২ সালে মহারাজা কীর্তিচাঁদ দ্বারা সর্বমঙ্গলা মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। বর্ধমানের বাঁকা নদীর উত্তর তীরে রাধানগর পল্লিতে অবস্থিত দেবী সর্বমঙ্গলার মন্দির। এই দেবীর কাছে যে যা প্রার্থনা করেন, তা-ই নাকি পূরণ হয়। এখানকার মন্দির ঘিরে রয়েছে বেশ কিছু কাহিনি। বলা হয়, মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর বয়স প্রায় ২,০০০ বছর। তবে, মন্দিরে পুজো হচ্ছে প্রায় ৩০০ বছর ধরে। অবিভক্ত বাংলার প্রথম এই নবরত্ন মন্দিরে প্রতিবছর দেশ-বিদেশ থেকে আসেন কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থী। কথিত আছে, প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে শহর বর্ধমানের উত্তরাংশে বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ায় বাগদিরা পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে একটি শিলামূর্তি পেয়েছিল। সেটিকে প্রস্তর খণ্ড ভেবে তার উপরে শামুক–গুগলি থেঁতো করতো। সেই সময় দামোদর নদ লাগোয়া চুন তৈরির কারখানার জন্য শামুকের খোলা নেওয়ার সময় শিলামূর্তিটি চলে যায় চুন ভাটায়। তখন শামুকের খোলের সঙ্গে শিলামূর্তিটি পোড়ানো হলেও মূর্তির কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে সেই রাতে স্বপ্নাদেশ পাওয়া মাত্র বর্ধমান মহারাজা সঙ্গম রায় শিলামূর্তিটিকে নিয়ে এসে সর্বমঙ্গলা নামে পুজো শুরু করেন। পরবর্তীকালে ১৭০২ সালে টেরাকোটার নিপুণ কারুকার্য খচিত সর্বমঙ্গলা মন্দির নির্মাণ করেন মহারাজাধিরাজ কীর্তিচাঁদ মহতাব। ক্রমে মূল মন্দিরের আশেপাশে গড়ে ওঠে নাট মন্দির, শ্বেত পাথরের তৈরি রামেশ্বর ও বাণেশ্বর নামে দুটি শিব মন্দির। কালো পাথরে তৈরি হয় মিত্রেশ্বর, চন্দ্রশ্বর ও ইন্দ্রেশ্বর নামে আরও তিনটি শিব মন্দির। সর্বমঙ্গলা মন্দিরের নিত্যপুজো ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে রাজবংশের শেষ যুবরাজ উদয়চাঁদ মহতাব ট্রাস্ট কমিটি গঠন করেন। তাঁর পুজো প্রায় সাড়ে তিনশো বছরেরও বেশি পুরোনো সর্বমঙ্গলার ঘট প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে শারদোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়ে থাকে পূর্ব বর্ধমানে।কুমারি পুজাও হয়। বাদ্যযন্ত্র সহকারে বিশাল শোভাযাত্রায় ঢল নামে পুণ্যার্থীদের। দেবী সর্বমঙ্গলার ঘটপূর্ণ জল নিয়ে ঘোড়ার গাড়ি নানা পথ পরিক্রমা করেন। শোভাযাত্রা সর্বমঙ্গলা মন্দিরে এসে পৌঁছতেই বাদ্যযন্ত্র, শাঁখ, ঘণ্টা, কাঁসি ও হুলুধ্বনির মধ্যে দিয়ে দুর্গাপুজোর ঘট প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই মন্দিরের দুটো প্রবেশদ্বার রয়েছে। তার মধ্যে যেটি পূর্ব দিকে অবস্থিত, সেটা পুরাতন। মন্দিরের দক্ষিণ দিকে আছে প্রধান প্রবেশদ্বার। প্রধান প্রবেশদ্বারের সামনেই রয়েছে দুটি শিবমন্দির। তার একটির নাম চন্দ্রেশ্বর। অপরটির নাম ইন্দ্রেশ্বর। বর্ধমানের রাজা চিত্রসেন রায়ের দুই রানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সর্বমঙ্গলা মন্দিরের সামনে আরও তিনটি উত্তরমুখী শিবের মন্দির আছে। যার নাম রামেশ্বর, কমলেশ্বর। যাদের গায়ে রয়েছে টেরাকোটার কাজ। শিবলিঙ্গ শ্বেতপাথরের। মধ্যে রয়েছে মিত্রেশ্বর শিব মন্দির। যার শিবলিঙ্গ কালো পাথরের। কীভাবে আসবেন? বর্ধমান স্টেশন থেকে সর্বমঙ্গলা মন্দিরের দূরত্ব মাত্র তিন কিলোমিটার। বর্ধমান স্টেশন থেকে টোটো চেপে চলে আসতে পারেন এই মন্দিরে। ভাড়া ২০ টাকা। বর্ধমানের রাজা কৃত্তিচাঁদ রায় এই মন্দির তৈরি করিয়েছিলেন। এখানে সর্বমঙ্গলা মন্দির ছাড়াও রয়েছে পাঁচটি শিব মন্দির। মন্দিরের বাইরে পূর্ব দিকের দরজার পাশে আছে ধনলক্ষ্মী মন্দির। এছাড়াও মন্দিরের বাইরে বাঁকা নদীর তীরে একটি কামান আছে। আড়াই দশক আগেও দুর্গাষ্টমীতে এই কামান থেকে গোলা ছোড়া হত। যার তোপের আওয়াজে শুরু হত বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় দুর্গাষ্টমীর সন্ধিপুজো। সকাল ৬টায় মন্দির খোলা হয়। পুজোয় হয় দুপুর ১২টা পর্যন্ত। ভক্তদের অন্নভোগ খাওয়া হয়ে গেলে দুপুর ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে মন্দির বন্ধ হয়ে যায়। ফের, বিকেল ৪টায় মন্দির খোলা হয়। বন্ধ হয় রাত ৮টার সময়। এখানে মন্দিরে ভোগ খেতে চাইলে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে মন্দিরের অফিস থেকে ৫০ টাকা দিয়ে কুপন সংগ্রহ করতে হয়। ভোগ বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে, তার মূল্য লাগে ৬০ টাকা। সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে কুপন সংগ্রহ করতে না-পারলে, মন্দিরের প্রধান গেটের সামনে পুজোর দোকান থেকেও অনেক সময় কুপন পাওয়া যায়। ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে ওই বিক্রেতা অল্প কিছু কুপন সংগ্রহ করে রেখে দেন। তাঁর দোকান থেকে পুজোর সামগ্রী কিনলে, ন্যায্য মূল্যে কুপনও পাওয়া যায়। #maadurga #maasarbamangala #sarbamangala #bardhaman #purbabardhaman #history #historyoftemple #bengaliculture #culture #utsav #festival #temple #hindutemple #westbengal #pujorporibar

Comment