Bangla New Waz by Abu Taha Muhammad Adnan. abu toha muhammad adnan is a popular islamic scholar in our country. Watch Bangla Waz mahfil, Bangla new waz and get any kind of life solution from islamic lecture . You will know important information from the Bangla Waz. Keep watching our channel.
#tawhaatv #ramadan #ramadan2025
রামাদান বা রমযান মাসের ফযীলত, ইবাদত, লাইলাতুল কাদরের গুরুত্ব, ইবাদত ইত্যাদি কুরআন ও সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। তবে এক্ষেত্রেও জালিয়াতগণ তাদের মেধা ব্যয় করেছেন। সহীহ হাদীসের পাশাপাশি অনেক জাল হাদীস তারা বানিয়েছেন। সহীহ হাদীসের মধ্যে কিছু জাল কথা ঢুকিয়েও তারা প্রচার করেছেন। যেহেতু মূল ফযীলত প্রমাণিত, সেহেতু এ সকল জাল হাদীসের বিস্তারিত আলোচনা করছি না। প্রচলিত কয়েকটি ভিত্তিহীন কথার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে রামাদান প্রসঙ্গ শেষ করতে চাই।
১. আল্লাহর রহমতের দৃষ্টি ও আযাব-মুক্তি
রামাদান, সিয়াম, সাহরী খাওয়া, ইফতার করা ইত্যাদির গুরুত্ব, মর্যাদা, সাওয়াব ও বরকতের বিষয়ে অগণিত সহীহ হাদীস রয়েছে। তা সত্ত্বেও এগুলোর বদলে অনেক আজগুবি বাতিল, ভিত্তিহীন ও জাল হাদীস আমাদের সমাজে প্রচলিত। একটি জাল হাদীসে বলা হয়েছে:
إِذَا كَانَ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ نَظَرَ اللهُ إِلَى خَلْقِهِ الصُّيَّامِ، وَإِذَا نَظَرَ إِلَى عَبْدٍ لَمْ يُعَذِّبْهُ
‘‘যখন রমজান মাসের প্রথম রাত্রি উপস্থিত হয়, তখন আল্লাহ তা‘আলা মাখলুকাতের (তাঁর সিয়াম পালনকারী সৃষ্টির) প্রতি রহমতের দৃষ্টিপাত করেন, আর আল্লাহ তা‘আলার রহমতের দৃষ্টি যাহার উপর পতিত হয়, সে কোন সময় শাস্তি ভোগ করিবে না।’’[1]
মুহাদ্দিসগণ উল্লেখ করেছেন যে, হাদীসটি জাল।[2]
২. সাহরীর ফযীলত ও সাহরী ত্যাগের পরিণাম
সাহরী খাওয়ার উৎসাহ প্রদান করে একাধিক সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। অন্তত এক চুমুক পানি পান করে হলেও সাহরী খেতে উৎসাহ দেয়া হয়েছে। সাহরীকে বরকতময় আহার বলা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, ইহূদী ও খৃস্টানদের সিয়ামের সাথে আমাদের সিয়ামের পার্থক্য সাহরী।
কিন্তু এ সকল সহীহ বা হাসান হাদীসের পাশাপাশি কিছু অতিরঞ্জিত বানোয়াট হাদীসও প্রচলিত হয়েছে। যেমন: ‘‘রাসূলুল্লাহ ﷺ ফরমাইয়াছেন .. ছেহেরীর আহারের প্রতি লোকমার পরিবর্তে আল্লাহ তা‘আলা এক বৎসরের ইবাদতের সাওয়াব দান করিবেন।... যে সেহরী খাইয়া রোজা রাখিবে সে ইহূদীদের সংখ্যানুপাতে সাওয়াব লাভ করিবে।... তোমাদের মধ্য হইতে যে ব্যক্তি সেহরী খাওয়া হইতে বিরত থাকিবে, তাহার স্বভাব চরিত্র ইহূদীদের ন্যায় হইয়া যাইবে।...’’[3] এ সকল কথা সবই বানোয়াট কথা বলে প্রতীয়মান।
৩. লাইলাতুল কাদ্র বনাম ২৭ রমযান
কুরআন-হাদীসে ‘লাইলাতুল কাদরের’ মর্যাদা ঘোষণা করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ‘লাইলাতুল কাদ্র’কে নির্দিষ্ট করে দেন নি। রামাদান মাসের শেষ দশ রাত এবং বিশেষ করে শেষ দশ রাতের মধ্যে বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কাদ্র সন্ধান করার নির্দেশ দিয়েছেন। সাহাবী-তাবিয়ীগণের কেউ কেউ ২৭ রামাদান লাইলাতুল কাদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে উল্লেখ করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু বর্ণিত হয় নি। কাজেই ‘২৭ রমযানের’ ফযীলতে যা কিছু বলা হয় সবই বানোয়াট বা বিকৃত।
এরূপ কিছু বাতিল কথা: ‘‘হাদীসে আছে,- যে ব্যক্তি রমযানের ২৭ তারিখের রাত্রিতে জাগিয়া এবাদত বন্দেগী করিবে। আল্লাহ তাআলা তাহার আমল নামায় এক হাজার বৎসরের এবাদতের ছওয়াব লিখিয়া দিবেন। আর বেহেশতে তাহার জন্য অসংখ্য ঘর নির্মাণ করাইবেন। ... আবূ বকর ছিদ্দীকের প্রশ্নের উত্তরে রাছূল ﷺ বলিয়াছিলেন: রমযানের ২৭ তারিখেই শবে কদর জানিও।...রমযান মাসের ২৭ তারিখের সূর্যাস্ত যাইবার সময় নিম্নলিখিত দোওয়া ৪০ বার পাঠ করলে ৪০ বৎসরের ছগীরা গুনাহ মার্জিত হইবে।’’[4]
অনুরূপ বানোয়াট কথা: ‘‘হযরত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করিয়াছেন, যেই ব্যক্তি রমজান মসের ২৭ তারিখের রজনীকে জীবিত রাখিবে, তাহার আমলনামায় আল্লাহ ২৭ হাজার বৎসরের ইবাদতের তুল্য সাওয়াব প্রদান করিবেন এবং বেহেশতের মধ্যে অসংখ্য মনোরম বালাখানা নির্মাণ করিবেন যাহার সংখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেহই অবগত নন।[5]