গল্পের নাম"অমানুষ"♥️(২য় পর্ব) কি করবে এবার নিরব! প্রমিতি কি পারবে তার আসল কারণ জানতে...
অমানুষ♥️
আমি বাসার বাইরে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালাম। মেইন গেট যেই না খুলতে গেলাম দেখি খুলেনা৷ তার মানে নিরব বাহির থেকে আটকে রেখে গেছে৷ আমার নিরবের প্রতি রাগ হতে লাগে। আসার সময় ফোনটাও আনি নি। এই বাসায় কি কোন ফোন আছে? বা টেলিফোন। খুজতে হবে।
যেই ভাবা সেই কাজ। আমি সারা বাসা আতিপাতি করে খুজলাম। কিন্তু একটা ফোন ও পেলাম। সেই সাথে একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম, বাসাটায় কোন জানালা নেই। আমার কেমন জানি লেগে উঠল। কি হতে চলেছে আমার সাথে! আমি খারাপ কিছুর আভাস পাচ্ছি।
নিরব একটা চেয়ারে বসে হেলান দিয়ে আছে। আজকে খুব ঘুম পাচ্ছে তার। কিছুতেই চোখ খুলে রাখতে পারছে না সে। কিন্তু এখন ঘুমালে চলবে না। একটা জরুরি কাজ আছে। সেটা আগে করতে হবে। জরুরি কাজ কথা ভাবতেই নিরব আবারো ভাবতে লাগে এই জীবনে বেচে থাকার তাগিদে কতো পেশায় নামতে হয়েছে। একটা সময় তো চুরিও করেছে৷ এর পর ড্রাগস সাপ্লাই। মাদকদ্রব্য চালান করা। রাজনীতি......
এমন কোন খারাপ কাজ নাই যেটা নিরব করেনি। খুন-খারাবি বাদে।
নিরব একটা হাই তুলে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ালো। একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে যেতে হবে যাওয়ার আগে চুল গুলো একটু গুছিয়ে নিল। সামনে পা বাড়াতে লাগলো। সে ছোটোবেলায় অনেক কস্ট করেছে। একবার তো টানা চারদিন না খেয়েই ছিল। তাই বাধ্য হয়ে এক লোকের পকেট থেকে মানিব্যাগ চুরি করে খাবার কিনে খায়। আজো সেসব কথা ভাবলে আত্মা কেপে উঠে।
নিরব মিটিং শেষ বাসা যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা হলো। গাড়িতে উঠে বসল।।তার ভাবতেই অবাক লাগে যে তার এখন নিজের গাড়ি-বাড়ি সব আছে৷ অথচ এই তো কিছু দিন আগেই না আসলে কিছু দিন না প্রায় পনের বছর আগে সে খিদার কস্টে মানুষের কাছে পাতাতো এক মুঠো অন্নর আশায় । অসুস্থ হলে বাবা-মা সেবা করত না বরং মানুষ-জন দূর দূর করে তাড়িয়ে দিত। তখনই বুঝে গেছে জীবনটা কতো নিষ্ঠুর! মানুষ কতো নির্দয়!
নিরব ড্রাইভারকে বলল, চিটাগং পৌছাতে কতক্ষন লাগবে?
--ভোরের মধ্যে পৌছায়া যামু।
নিরব চোখ বন্ধ করল। সে এখন ঘুমাবে। নিশ্চিত মনে ঘুমাবে। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো তার ঘুম আসছেনা। মাথায় অনেক পুরোনো স্মৃতি ঘুরপাক খাচ্ছে। তার চোখের সামনে ভাসতে লাগেঃ