সুলতানি আমলে প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিলো মুন্সিগঞ্জ তথা বিক্রমপুরের নগরী । পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতি নদীর কল্যাণে সেই সময় এখানে গড়ে উঠেছিলো বিরাট ব্যবসা কেন্দ্র। জমিদারদের পাশাপাশি ধণাঢ্য ব্যবসায়ীরা এখানে সুরম্য অট্টালিকা নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। এই নগর তখন ছিলো এক সমৃদ্ধ নগরী।
সেই সময় প্রশাসনিক কেন্দ্রকে কসবা বলা হতো। যা অনেকটা বর্তমানের থানা বা জেলা’র মতো। সুলতানি আমলের পরে মোগল আমলে এসেও কসবা’র কার্যক্রম থেকে যায়। মোগল আমলে ভারতবর্ষে প্রায় ৩৭টি কসবা ছিলো, এরমধ্যে মুন্সিগঞ্জ তথা বিক্রমপুরের এই নগর কসবা অন্যতম। মোগল আমলের শেষের দিকে এসে এই নগর কসবা গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছিলো। তবে ঔপনিবেশিক আমলে এসে আবারো নতুন করে প্রাণ ফিরে প্রায় এই পুরাতন নগরী।
এই সময়ে এখানে নতুন ভবন নির্মাণের পাশাপাশি সুলতানি আমলের ভবনগুলোর ব্যাপক সংস্কার হয়।
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পরই মূলত হারিয়ে যায় নগর কসবার জৌলুস। এ সময় এখানকার অধিকাংশ পরিবার সুরম্য অট্টালিকা ফেলে কলকাতায় চলে যায়। বাকি যারা ছিলেন, তাদেরও সিংহভাগ ব্যবসা-বাণিজন্য সবকিছু ফেলে ভারতে চলে যান একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়।
Contact Facebook address for Radhika Roy porshi