MENU

Fun & Interesting

কুমিল্লা চলে এসেছি আসল মাতৃভাণ্ডারের খোঁজে

Scooter Rider Lima Simu 3,401 4 months ago
Video Not Working? Fix It Now

প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে আমার Znen T10 দি‌য়ে রাইড ক‌রে আরও একটি শর্ট ট্যুর হ‌য়ে গেল: কুমিল্লা। ট্যুরটি মূলত তিন ভাগে বিভক্ত: ১। আবিদপুরের শতবর্ষী তেতুল গাছ, ২। ময়নামতি War Cemetry, ৩। মাতৃ ভান্ডার (আসল)। ১। সকাল ৮টার দিকে বেরিয়ে গেলাম কুমিল্লার উদ্দেশ্যে। দুই ঘন্টার মধ্যে নিমসার পৌছার আগেই হাইওয়েতে আবিদপুর লেখা বাম দিকে একটা রাস্তা দেখতে পেয়ে ঢুকে পড়লাম গ্রামীন সরু রাস্তায়। প্রায় ১০ মিনিট গ্রামীন সরু কিন্তু পাকা রাস্তায় রাইড করার পর চলে এলো উদ্ভুত সুন্দর একটি তেতুল গাছ। গাছটি ঠিক রাস্তার মাঝে; পুরো রাস্তাটি মোটামুটি সরু হলেও ঠিক তেতুল গাছটাকে কেন্দ্রে রেখে দুইপাশে রাস্তাটি খুব চওড়া, খুব সহজে দুই পাশে বাস-ট্রাক চলাচল করতে পারে। প্রচন্ড গরমের মধ্যেও তেতুল গাছটির আশে পাশে খুব শীতল; কোথাও বাতাস নাই, কিন্তু এখানে প্রচুর বাতাস। গ্রামবাসীরা এ গাছের তলায় বিশ্রাম নেন। গ্রামের মুরব্বিদের কাছে জানতে পারলাম এ তেতুল গাছটির বয়স ২০০ বছরের বেশি। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এ গাছটি দেখতে আসেন; উপভোগ করেন এর সৌন্দর্য। ২। আবিদপুরের তেতুল গাছ দর্শন শেষে মাত্র ২০ মিনিটে চলে এলাম ময়নামতি ক্যান্টমেন্টের War Cemetry তে। প্রতিদিন বিনা টিকিটে সকলের জন্য খোলা থাকে। ভাবতেও পারি নি যে জায়গাটি এত্ত সুন্দর, মনে হবে কোন শিল্পীর তুলিতে আকা সবুজ ক্যানভাস আর এর মাঝে আছে লাল রংয়ের বিশাল বিশাল কৃষ্ণচূড়া গাছ। নিঃসন্দেহে এটা কুমিল্লার সব‌চে‌য়ে সুন্দর স্থান। ৩। চান্দিনা বাস স্ট্যান্ড থেকেই মহাসড়কে দুই ধারে অসংখ্য মাতৃ ভান্ডার নজরে আসবে, কিন্তু আসল মাতৃ ভান্ডার চি‌নেন? ? ময়নামতি ক্যান্টন‌মেনট থেকে অল্প সময়ের মধ্যে কুমিল্লা শহরে প্রবেশ করি। এটাই প্রথম বারের মত কুমিল্লা সিটিতে আগমন। শাসনগাছা ফ্লাইওভার পেরিয়ে ঝাউতলা, কান্দিরপাড় পেরিয়ে বাম দিকের রাস্তায় সাত্তার খান কমপ্লেক্স পেরিয়ে মনোহরপুর কালি মন্দির আসলাম, এর বিপরীত পাশেই সেই কাঙ্খিত মাতৃভান্ডার। মাতৃভান্ডার তাদের রসমালাইয়ের জন্য দেশ-বিদেশে বিখ্যাত। ১৯৩০ সাথে প্রতিষ্ঠিত এ মিষ্টির দোকানে ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। এ দোকানের রসমালাইয়ের মান অক্ষুন্ন রাখার জন্য তারা সর্ব পরিচিত। এ দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে প্রস্তুত প্রনালী ভিডিও ধারন করি এবং দোকানের লোকজনের সাথে কথা বলি। বাসার জন্য কয়েক কেজি রসমালাই ক্রয় করি। মনোহরপুর থেকে বেরিয়ে সোজা চলে যাই ধর্মসাগর। ধমর্সাগরে প্রচুর বাতাস উপভোগ করলাম এ তাপ দাহের সময়ও। ধর্সাগার হল কুমিল্লার প্রানকেন্দ্র। সেখানে কিছুক্ষন সময় কাটিয়ে সোজা চলে আসি বাসার উদ্দেশ্যে এবং বিকেল সাড়ে চারটায় বাসায় পৌছে যাই। কিছু কথা: তাপদাহের এ আপদ কালীন সময়ে আমরা উপলব্ধি করছি বেশি করে গাছ লাগানো উচিত। উল্টো আমরা বিভিন্ন উছিলায় অহরহ গাছ কাটছি; বিশেষ করে রাস্তা প্রশস্ত করতে গিয়ে ব্যাপক গাছ নিধন হচ্ছে। এ দিক দিয়ে ব্যাতিক্রম আবিদপুর গ্রামবাসীরা। তারা প্রমান করেছে গাছ না কেটেও রাস্তা চওড়া করা সম্ভব। তারা তেতুল গাছটি কে এতটাই ভালোবাসে যে রাস্তার জন্য নিজেদের জমি ছেড়ে দিয়েছেন, কিন্তু তেতুল গাছটি কাটতে দেন নি। সারা বাংলাদেশের সকল গ্রাম ও শহর আবিদপুরের মত হলে গাছ নিধন এতটা হত না। আবিদপুর গ্রামবাসীগন বৃক্ষ প্রেমের রোল মডেল। আবিদপুরের সকলকে আমার হাজারো সালাম। প্রচন্ড গরম ও সময় স্বল্পতার কারনে কুমিল্লার আরও অনেক জায়গা ঘুরা হয় নি। ইন শা আল্লাহ পরবর্তীতে আবার ঘুরতে আসব কুমিল্লা জেলায়। ওহ ঘুরাঘুরির সময় আমার Youtube channel Lima Simu র জন্য ছবি তুলি, ভিডিও ধারন করি ও ড্রোন উড়াই। Sent 3m ag

Comment