পুরান ঢাকার ১০টি ভ্রমন স্থান যেখানে ১ দিনে ঘুরে আসতে পারেন || Best travel location in Old Dhaka || travel with rd
আমাদের টপ ১০ লিস্টঃ
১০- বাহাদুর শাহ পার্ক
৯- তারা মসজিদ
৮- বলধা গার্ডেন
৭- রোজ গার্ডেন প্রাসাদ
৬- লালবাগের কেল্লা
৫- আর্মেনিয়া
৪- জিনজিরা প্রাসাদ
৩- আহসান মঞ্জিল
২- ঢাকেশ্বরী মন্দির
১- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় - কার্জন হল
ইতিহাস, ঐতিহ্য ও নামকরন:
-------------------------------------------------------------------------
পুরান ঢাকার শত শত বছরের পুরনো স্থাপনাগুলো এখনো মাথা উঁচু করে জানান দিচ্ছে ঢাকাইয়া কৃষ্টি-কালচার ও ঐতিহ্যের। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা, রূপলাল হাউস, আর্মেনীয় গির্জা, বড় কাটরা, ছোট কাটরা, বাহাদুর শাহ পার্ক, শাঁখারীবাজার, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, হোসনি দালান, তারা মসজিদ, শায়েস্তা খাঁ জামে মসজিদ, বেগম বাজার মসজিদ, খান মুহাম্মদ মসজিদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, হিঙ্গা বিবির মসজিদ ও চকবাজার শাহী মসজিদ।
আজকের বাংলাদেশ এককালে শাসন করেছেন জমিদার, রাজা, নবাবরা। কালের বিবর্তনে তারা হারিয়ে গেলেও শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য নিদর্শন ও গৌরবময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে ভরপুর ‘আহসান মঞ্জিল’ নিয়ে এখনো পর্যটকদের আগ্রহের কমতি নেই। স্মরণীয় ঘটনাবলি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্মৃতিবিজড়িত ‘গোলাপি’ এই ভবনটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখর। পুরান ঢাকার ইসলামপুরের কুমারটুলীতে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ১৮৫৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন নওয়াব আবদুল গনি।
মুঘল কিংবা সুলতানি স্থাপত্যের নিদর্শন না হলেও দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে আরমানিটোলার তারা মসজিদ। এটি ঢাকার নান্দনিক মসজিদগুলোর একটি।
মির্জা গোলাম পীর ওরফে মির্জা আহমেদ জান নামে এক ব্যবসায়ী এর নির্মাতা বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোর অন্যতম হলো রূপলাল হাউস। রূপলাল দাস ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। তিনি ছিলেন তার পরিবারের একমাত্র শিক্ষিত ব্যক্তি। প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন এবং সেই সময় স্কলারশিপ পেয়েছিলেন ১০ টাকা। জানা যায়, রূপলাল একজন সংগীত অনুরাগীও ছিলেন। রূপলাল হাউসের এক পাশে সুন্দর বাগান ছিল যা ‘রঘুবাবুর বাগান’ এবং এক পাশে একটি পুল ছিল যার নাম ছিল শ্যামবাজার পুল। কালের বিবর্তনে অযতœ-অবহেলায় এসব নষ্ট হয়ে যায়। এরপর নদীকে ঘিরে বাজার গড়ে ওঠে যার নামকরণ করা হয় শ্যামবাজার। বাড়ির ভিতরের অংশে ইউরোপিয়ান অফিসার এবং ব্যবসায়ীরা থাকার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু ১৯৩০ সালের দিকে নদীর অংশটি ব্যবসা কেন্দ্র হলে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠলে তারাও জায়গাটি ছেড়ে যান। রূপলাল হাউস তার রূপ হারিয়ে ফেলেছে অনেক আগেই আর এখন এর অস্তিত্ব প্রায় বিলুপ্তির পথে। স্থানে স্থানে ভেঙে পড়েছে। মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই। ছাদে কার্নিশে এবং অন্যান্য স্থানে বটগাছ গজিয়েছে। কিন্তু বসবাসকারীরা এখনো নির্বিঘ্নে বসবাস করে যাচ্ছে। চারদিকে অসংখ্য দোকানপাটসহ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। ফলে মূল ভবনকে খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন।
মোগলদের আরেকটি অপূর্ব নিদর্শন হলো লালবাগ কেল্লা। মোগল আমলে স্থাপিত এই দুর্গটির প্রথমে নাম ছিল কেল্লা আওরঙ্গবাদ। ১৮৪৪ সালে ঢাকা কমিটি নামে একটি আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান দুর্গের উন্নয়নে কাজ শুরু করে। সে সময় থেকে দুর্গটি লালবাগ দুর্গ নামে পরিচিতি লাভ করে। অনেকে মনে করেন এটি পুরান ঢাকার লালবাগে অবস্থিত। আর তাই এর নামকরণ করা হয়েছে লালবাগ কেল্লা। এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল। তবে কেল্লার স্থাপনার মধ্যে পরী বিবির সমাধি বেশ উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়াও আছে লালবাগ কেল্লা মসজিদ।
এ ছাড়া হোসনি দালান ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম। মহররম মাস এলে নিদর্শনটির গুরুত্ব বেড়ে যায় কয়েকগুণ। মহররম মাসের ১০ তারিখে অর্থাৎ আশুরার দিন সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়। উপমহাদেশের প্রাচীনতম ইমামবাড়া ঢাকার হোসনি দালান। জানা যায়, এটি নির্মিত হয় ১৬৪২ সালে সুবেদার শাহ সুজার শাসনামলে। শাহ সুজার নৌবহরের এক অধিনায়ক (মীর মুরাদ) এ নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। তার পর পরই নির্মিত হয় হোসনি দালান। এটি নির্মিত হয় মূলত কারবালার শোকাবহ ঘটনার স্মরণে এবং হযরত ইমাম হোসেনের আত্মত্যাগকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যেই। আর বর্তমান কাঠামোটি নির্মাণ করা হয় গত শতকের গোড়ার দিকে ব্রিটিশ সরকারের সময়। এটি নির্মিত হয় প্রায় ছয় বিঘা জমির ওপর। এখানে দেখতে পাওয়া যায় মনোরম একটি দ্বিতল ভবন। এর উত্তরে রয়েছে প্রশস্ত চত্বর, আর দক্ষিণ দিকে পুকুর। পশ্চিমে রয়েছে তাজিয়া ঘর, সামনে দেউড়ি ও দ্বিতল নহবতখানা ইত্যাদি।
--------------------------------
recent top Uploaded Video : দেবতাখুম বান্দরবান Vlog : https://youtu.be/3KkFjq4kv00
--------------------------------
travel page: https://www.facebook.com/travelwithrd11
Facebook: https://www.facebook.com/robindewanrd11
--------------------------------