MENU

Fun & Interesting

ময়ূখরঞ্জন এবং রিপাবলিক - একজন সঞ্চালক কীভাবে এইসব বলতে পারেন? | Guruchandali

Guruchandali 2,636 17 hours ago
Video Not Working? Fix It Now

বাংলার কিছু ইতিহাস এতদিন চেপে রাখা হয়েছিল। যেমন, বাংলায় দুগ্গাপুজো করতে দেওয়া হতনা। ইশকুলে সরস্বতীপুজো বন্ধ করে দেওয়া হয়। চারদিকে ছিল কেবল মোল্লারাজ। আপনারা জেনে খুশি হবেন, আর এসব চলবেনা, কারণ এই সমস্ত কিছুর জবাব দিতে এসে গেছে ছাবা সিনেমা, আর তার প্রোমোশনে এসে গেছেন স্বয়ং মেজর ময়ূখরঞ্জন। ইতিহাস পুরো বদলে ফেলতে হবে বলে আস্ত একটা 'জবাব চাই' অনুষ্ঠান করে ফেললেন তিনি, আমি তার খানিকটা দেখেও ফেললাম। উনি বললেন, যে, ইতিহাস বইয়ে চোল, মারাঠা এইসব সাম্রাজ্য নিয়ে কিচ্ছু পড়েননি, শুধু মুঘল আমলের জয়গান পড়েছেন। কোন ইশকুলে পড়েছেন, আর ইতিহাসে কত পেয়েছিলেন, এইটা অবশ্য বলেননি। যা হোক, নামগুলো অন্তত জানেন, এই রক্ষে। এছাড়াও মুঘল স্থাপত্যের ব্যাপারটা উনি জানেন। বললেন, সেই নিয়ে খুব হইচই হয়, কিন্তু সবকটাই তো হিন্দু মন্দিরের উপর বানানো। এইটা কোথা থেকে জানলেন, সে এক রহস্য। উত্তরপ্রদেশে পুরোনো বিল্ডিং দেখলেই তার নিচে লিঙ্গ পাওয়া যায়, কাশী মথুরা তাজমহল এসবের নিচে আছে, এ তো আমরা হোআটস্যাপ ইউনিভার্সিটি থেকেই পড়েছি, কিন্তু তা বলে সব স্থাপত্য? ধরুন, লালকেল্লা, ওই আড়াইশো একর, পুরোটাই হিন্দু মন্দির? হতেও পারে।  এছাড়াও আরও কিছু অজানা তথ্যও জানলাম। শিবাজি বলতে তিনি শুধু বাঘনখ পড়েছেন। যে ইশকুলে পড়াল, তারা আফজল খাঁ পড়াল, বাঘনখ পড়াল, আর আওরঙ্গজেব কিছুতেই মারাঠাদের টাইট দিতে পারেননি, পড়ালনা? আরও বলএন, এই বর্গী ব্যাপারটা সেকু-গ্যাং এর বানানো। একটা 'বর্গী এল দেশে'র মতো ছেলেভুলোনো ছড়া দেখিয়েই এইসব বানানো হয়েছে। আলিবর্দি যে মারাঠাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে বাংলাকে বাঁচিয়েছিলেন, মারাঠারা যে মুঘলদের বন্ধু হয়ে গিয়ে দিল্লি রক্ষা করত একটা সময়, এইসব নিয়ে কিছু বলেননি, নিশ্চয়ই পড়েননি।  এবার, ইশকুলে পড়াশুনো করেননি, এটা বড় কথা নয়। অনেকেই করেনা। কিন্তু কথাটা হল, নিজের না জানাটা এরকম ভাবে উদযাপন করা খুবই নতুন। গলা ফুলিয়ে গুল দিয়ে চলাটাও। আসলে সাম্প্রতিককালে এইসব মিডিয়া শির উঁচিয়ে নির্দ্বিধায় অলীকতম গুল দিয়ে চলেছিল, এবং তাতে করে অকুণ্ঠ মধ্যবিত্তসমর্থন পেয়েছিল, তাতে এদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে, যে, যা খুশি বলা যায়। শ্রোতা তো ওই বুদ্ধিহীন শাইনিংরা। ওদের যা খাওয়াবে, তাই খাবে। তাই এবার খোলাখুলি নিজের অ্যাজেন্ডা নিয়েই গুলবাজি শুরু হয়েছে। মিডিয়া চতুর্থ স্তম্ভ থেকে পরিণত হয়েছে গোবলয়ের আখড়ায়। এখন খুল্লম খুল্লা অ্যাজেন্ডাসহ গুলবাজি চলছে। বলিউডের গুলবাজির প্রোমোশন চলছে। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দিস্তানের জয়ধ্বনি চলছে। সবটাই পরিকল্পিত। ফলে যে তেরোটি লোক মিডিয়ার গুলবাজিতে ভেসে যাননি, তাঁদের আওয়াজ তোলা খুব জরুরি।

Comment