মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন অয়েল কত কিলোমিটার পর পর পরিবর্তন করবেন তা নিয়ে আমার করা ভিডিওটি নিচের লিঙ্ক থেকে দেখে নিতে পারেন।
https://youtu.be/cJ3rXwfmb_Q
আপনি চাইলে ১০০ কিলোমিটার চালিয়েও ইঞ্জিন অয়েল ফেলে দিতে পারেন সেটা আপনার একান্তই ব্যাক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু প্রত্যেকটা বাইকের(cbu/ckd) ইউজার ম্যানুয়াল বই যদি দেখেন সেখানে স্পস্ট ভাবে লিখা আছে আপনার বাইকের জন্য কোন গ্রেডের অয়েল এবং কত কিলোমিটারে অয়েল পরিবর্তন অথবা রিফিল করবেন। সেটা আপনার বাইকের ইউজার ম্যানুয়াল বই এর Preodic Maintainance Time Cart পাতায় লিখা আছে। যা আমি প্রমান সহকারে আরেকটি ভিডিওতে বলেছি। যার লিংক https://youtu.be/cJ3rXwfmb_Q
এবং সিন্থেটিক সেমিসিন্থেটিক এসব অয়েল গুলা শুধুমাত্র একটু খানি রেডি পিকাপের জন্য ব্যাবোরিত হয়। যেখানে সব অয়েলের ই পরিবর্তন করার সময় সেইম ই হয়ে থাকবে। সব অয়েল দিয়েই সমান দুরত্ত আপনি অতিক্রম করতে পারবেন৷
আমার ভিডিওটার যদি কোন অংশ আপনার কাছে ভুল মনে হয় তবে উপজুক্ত প্রমান সহকারে কমেন্ট করবেন। না জেনে অযথা কমেন্ট করবেন না। উপযুক্ত প্রমান ছাড়া আপনার কমেন্ট অগ্রহণযোগ্য বলে ধরা হবে৷
বাংলাদেশের যত মেকানিক্স আছে এরা ওস্তাদ থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাকেই বাস্তবে সবাইকে দিয়ে থাকে।
আপনি এসব ওস্তাদ শিশ্যদের কথা গায়ে লাগানোর আগে অনুগ্রহ করে আপনার বাইকের মাদার ম্যানুফ্যাকচার ইঞ্জিনিয়ার দের প্রদত্ত তথ্যকে আগে পড়বেন। সেই তথ্য গুলি আপনার বাইকের ইউজার ম্যনুয়াল বই তে লিখা আছে স্পট ভাবে।
আমি ভিডিওতে বলেই দিয়েছি আপনি আপনার ইচ্ছা মত সময়ে ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করতে পারেন।
তবে আপনার টাকার সঠিক মুল্য পেতে হলে অনুগ্রহ করে আপনার বাইকের ইউজার ম্যানুয়াল বই টি আগে পড়ে নিবেন। সেখানে সব কিছু পরিস্কার ভাবে লিখা আছে।
ধন্যবাদ।
👇👇👇👇👇👇
বাজারে প্রত্যেকটি ইঞ্জিন অয়েল ব্রান্ডের সিন্থেটিক, সেমি সিন্থেটিক, টেকনো সিন্থেটিক, মিনারেল, পিওর মিনারেল, এরকম বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিন অয়েল পাওয়া যায়।
এত এত ভাগ হওয়ার কারণে আমরা নিজেরাই ব্যাপক আকারে বিভ্রান্তির ভিতরে পড়ে থাকি আমাদের বাইকের জন্য কোনটি ভাল হবে এবং বেশি দাম দিয়ে সিন্থেটিক অয়েল ক্রয় করলে আমরা কি বেশি কিলোমিটার চালাতে পারবো কিনা।
আসলে আপনি সকল ধরনের অয়েল দিয়েই একটি নির্দিষ্ট কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবেন।
আপনি মিনারেল দিয়ে যত কিলোমিটার যেতে পারবেন সিন্থেটিক দিয়েও ঠিক ততো কিলোমিটার যেতে পারবেন।
এক্ষেত্রে ব্যবধান হচ্ছে মিনারেল অয়েল কে ইনস্ট্যান্ট রেডি পিকআপটি কম থাকে। অবশ্য এটিকে কম বললে ভুল হবে। মিনারেল দেওয়ার পরে যে রেডি পিকআপটি আপনি পাবেন সেটি হচ্ছে আপনার বাইকের মূল রেডি পিকআপ।
কিন্তু আপনি যদি সিন্থেটিক ব্যবহার করেন তাহলে রেডি পিকআপটি একটু বেশি পাবেন স্পিড একটু দ্রুত বাড়বে।
মূলত যারা পাল্লা দেন অথবা রেস করেন তারা এই সিন্থেটিক অয়েল টি ব্যবহার করতে পারেন।
প্রথম 300 বা 500 কিলোমিটার পর্যন্ত সিন্থেটিক অয়েল যে রেডি পিকআপ দিয়ে থাকবে 500 কিলোমিটার অতিক্রান্ত হওয়ার পরে আবার সেটি সেই মিনারেল এর মত ফিডব্যাক দিতে থাকবে।
বাজারের প্রচলিত সকল ধরনের বাইকেই কোম্পানি মিনারেল দেওয়ার কথা বলে থাকে।
বিশেষ করে ইঞ্জিন অয়েল কোম্পানির কিছু টাউট-বাটপার বদমাশ মার্কেটিং লোক এবং দোকানদার মিলে কাস্টমারকে অনেক ভালো বলে সিন্থেটিক সেমি সিন্থেটিক টেকনো সিন্থেটিক এই ধরনের গুলো ধরিয়ে দেয়। আসলে সেগুলো ভালো। তবে কেন একজন মানুষ সিন্থেটিক বা সেমি সিন্থেটিক ব্যবহার করবে সেটির কারণটি কেউ জানে না।
সব সময় আপনার বাইকের ইউজার ম্যানুয়াল বইটি ফলো করবেন। সেখানে আপনি কোন গ্রেডের অয়েল ব্যবহার করবেন এবং কত কিলোমিটার পর অয়েল পরিবর্তন বা ইনস্পেকশন করবেন তা স্পষ্টভাবে চারট করে লেখা আছে।
তাই আপনার যদি 1000 কিলোমিটার ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করার প্রবণতা থেকে থাকে তাহলে আপনি যে ওএলটি ব্যবহার করবেন সেটি 1000 কিলোমিটার এ ফেলে দিবেন। প্রকৃতপক্ষে একটি অয়েল দিয়ে চার থেকে ছয় হাজার কিলোমিটার চালানো যায় যা এই ডেসক্রিপশন বক্স এর উপরের লিংকে ভিডিওতে দেখতে পারবেন।
তাই সিনথেটিক সেমি সিনথেটিক টেকনো সিনথেটিক মিনারেল যে ব্যক্তি যে অয়েল ক্রয় করেন না কেন তার লঙ্গিবিলিটি সেইমি থাকবে
আশাকরি ভিডিওটি ভাল লেগেছে ভিডিওটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করে বেল বাজিয়ে আমাদের পাশেই থাকবেন
মটরসাইকেলে সিন্থেটিক,সেমি সিন্থেটিক, মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল দিয়ে কত কিলোমিটার পর্যন্ত চালানো যায়??