#Global_Affairs#Bangladesh .
BD VIEWS is one of the best Youtube feature channels in Bangladesh. This channel will provide you Art show Lal golap, Country Profile, and Talk show.
Please don't forget to subscribe to this channel.
#প্রশান্ত মহাসাগরে তলিয়ে গেল বিমান: বেঁচে থাকলেন দুই পাইলট আর তারপর যা হলো
#প্রশান্তমহাসাগর
#ইউরোপ
#আমেরিকা
#বিমান
#সমুদ্রেরসৌন্দর্য
#উদ্ধার
#নাবিক
#পাইলট
#প্রশান্ত মহাসাগরে তলিয়ে গেল উড়োজাহাজ, বেঁচে রইলেন দুই পাইলট। জেলিফিশের কামড়ে জ্ঞান হারিয়েও মারা যাননি তাদের একজন। এবার এলো এক হাঙর। দু’জনের চার পাশে চক্কর দিতে থাকল সেটি। এবারও বেঁচে গেলেন তারা। কিভাবে?
দুই ইঞ্জিনের পাইপার অ্যাপাচি বিমানটি উড়ছিল পোস্টকার্ডের মতো নীল রঙের আকাশের নিচে এবং প্রশান্ত মহাসাগরের পাঁচ হাজার ফুট ওপর দিয়ে। বিমানটি চালাচ্ছিলেন নারী বৈমানিক সিডনি উয়েমেতা (২৩) আর কো-পাইলট ছিলেন ২৬ বছর বয়সী ডেভ ম্যাকমাহন। বলে রাখা ভালো, পাইলট ও কো-পাইলট ওই দিন প্রথম একে অপরকে দেখলেন। বিমান উড়ানোর আগে একটা শর্ট ট্রিপ দিচ্ছিলেন তারা। তাই বিমানে কোনো যাত্রীও ছিল না।
বিমানটি যাচ্ছিল ওয়াহু থেকে হাওয়াই দ্বীপে। হঠাৎ একটা বিদঘুটে শব্দ শুনলেন পাইলট ও কো-পাইলট দু’জনেই। এর পরই বিমানের ইঞ্জিনের যে স্বাভাবিক শব্দ, সেটা পাল্টে গেল। ইঞ্জিনটি কেমন একটা বিদঘুটে ঘটঘট শব্দ করতে থাকল।
বেলা তখন ৩টা। বিদঘুটে শব্দটি শোনার পরপরই কো-পাইলট ম্যাকমাহন বিমানটিকে সমুদ্রপৃষ্ঠের এক হাজার ফুট ওপরে নামিয়ে আনলেন। তাতে মনে হলো, ইঞ্জিনটি এবার যেন একটু ভালোই চলছে। কিন্তু এতে যে তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন সে সময়টুকুও পেলেন না। চোখের পলক ফেলার আগেই ভোজবাজির মতো ডান দিকের ইঞ্জিনটা অচল হয়ে গেল। কী হলো দেখা ও বোঝার আগেই বাম দিকেরটাও। নিঃসীম সমুদ্রের ওপর, নিজেদের ধাতব কম্পার্টমেন্টে বসে সিডনি ও ম্যাকমাহন যা শুনলেন, এ রকম পরিস্থিতিতে সব পাইলটই তা শুনে থাকে : ভয়াল নৈঃশব্দ্য। তারা ভাবলেন, এবার আমরা বুঝি ক্রাশ করতে (বিধ্বস্ত হতে) যাচ্ছি।
এর পরের ক’ মিনিট তারা পাগলের মতো অনেক কিছু করলেন। বিমানটি তখন দ্রুত নিচের দিকে নামছে। দুই পাইলট ফুয়েল পাম্প চেক করলেন, এর হাতল ধরে জোরে টান দিলেন। এভাবে করলে অনেক সময় বন্ধ ইঞ্জিন চালু হয়ে যায়। কিন্তু কিছুতেই কোনো কাজ হলো না।
এরকম জরুরি পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, তার কিছু প্রশিক্ষণ তাদের ছিল। সে অনুযায়ী ম্যাকমাহন উড়োজাহাজটির কন্ট্রোল ছেড়ে দিলেন উয়েমোতোর হাতে। উড়োজাহাজের ভেতরটা তখন গরম বাতাসে ভরে গেছে। তার হাত থেকে বাঁচতে ম্যাকমাহন ককপিটের দরজা খুলে দিলেন। এখন উড়োজাহাজটি সমুদ্রের পানিতে ডুবে গেলেও ওরা আর ওটির ভেতরে আটকে থাকবেন না।
উড়োজাহাজটি যখন সমুদ্রের ৩০০ ফুটের মধ্যে চলে এসেছে, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে তার শেষ বার্তাটি দিলেন উয়েমোতো, ‘আমরা কোনা থেকে ২৫ মাইল উত্তর-পশ্চিম দিকে আছি। আমরা নিচের দিকে নেমে যাচ্ছি।’
উয়েমোতো শক্ত হাতে উড়োজাহাজের কন্ট্রোল চেপে ধরে আছেন। পাইলট স্কুলে তাদের শেখানো হয়েছে সমুদ্রে কিভাবে ফোর্স ল্যান্ডিং করতে হবে। কিন্তু ওসব তো কেতাবি কথা, বাস্তবে যে এর প্রয়োগ করতে হবে, তা কে জানত? উয়েমোতোর বুঝতে বাকি রইল না যে তাদের বাঁচার আশা ক্ষীণ। কী করা যায়!
উয়েমোতো ভাবলেন, যদি উড়োজাহাজটিকে একটু বাঁকিয়ে সরাসরি পানির ওপর ফেলি তবে যে ধাক্কাটা খাবো তাতে আমরা দু’জনই মরব। আর যদি একটা পাখাকে প্রথমে পানির ওপর ধাক্কা দিতে দেই, তাহলে পুরো উড়োজাহাজটিই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে এবং টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।
তাহলে উপায়? উয়েমোতো এবার নিজেই নিজেকে বললেন, ‘এমনভাবে ল্যান্ড করো, যেন তুমি মাটিতে ল্যান্ড করছো’। উড়োজাহাজটি যখন তীব্র গতিতে সমুদ্রের দিকে নামছিল, উয়েমোতো তখন জোর করে কল্পনা করতে থাকলেন, ওখানে পানির ওপর একটি রানওয়ে আছে। প্রবল বাতাস উয়েমোতোর কান দু’টিকে যেন বধির করে দিতে চাইল। সমুদ্র যেন এ সময় তাদের সাথে ‘সাক্ষাতের’ জন্য ফুলে উঠছিল। একেবারে শেষ মুহূর্তে এক কাজ করে বসলেন উয়েমোতো। তিনি উড়োজাহাজের নাকটি একটু খাড়া করে দিলেন।
সব কিছু ঠিকমতোই হলো। প্রচণ্ড গতিতে উড়োজাহাজটি সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ল। বিপুল পানি এসে উইন্ডস্ক্রিনকে ছাপিয়ে দিলো। উয়েমোতো ও ম্যাকমাহন তাদের আসন থেকে ছিটকে পড়লেন।
#bangladesh,#sea,#usa,#pilot,#bdviews,#millionviews,#global_affairs
Lal Golap is one of the best TV programs presented by renowned Journalist Shafik Rehman.
ANTI-PIRACY WARNING
---------------------------------------
This content's Copyright is solely owned by BD Views. Any unauthorized reproduction, redistribution or re-upload is strictly prohibited from this material. Legal action will be taken against those who violate the copyright of the material.