A believer has nothing to fear! - Gurujee
আসসালামু আলাইকুম। আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।
গত ৯ এপ্রিল, ২০২০ বৃহস্পতিবার দেশে পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে একটি বিশেষ আলোচনা - প্রসঙ্গ করোনাভাইরাস : একজন বিশ্বাসীর ভয় পাওয়ার কিছু নাই! - তা থেকেই আমাদের এই ভিডিও।
বছরের পর বছর সাধারণ মানুষ যেভাবে এই রাতটিকে পালন করে এসছেন দলবেঁধে, হৈ হল্লা, মসজিদে মসজিদে ছোটাছুটি, অথবা কবরস্থান থেকে কবরস্থানে জিয়ারতের জন্যে যাওয়া; আর পেশাদার ভিক্ষুকদের ভীড় ঠেলে, হৈ-হল্লা ঠেলে বেরিয়ে আসা- এসবই এবার অনুপস্থিত। এবার হৈ হল্লা নেই। কিন্তু নিরবে-নিভৃতে স্রষ্টার কাছে নিজেদের নিবেদিত করার সুযোগ এসছে চমৎকার।
|| স্রষ্টার বিরাগভাজন হবার ভয় থাকলে কী হবে? ||
আমাদের সারা পৃথিবীব্যাপী সাম্প্রতিক যে ভয়-আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে এবং যে পরিমাণ ভয়-আতঙ্ক কারো কারো মনে বাসা বেঁধেছে তার শতভাগের এক ভাগ যদি স্রষ্টার বিরাগভাজন হওয়ার ভয় কারো মধ্যে থাকত তাহলে যা ঘটছে, যে আতঙ্ক বিস্তার লাভ করেছে তা কোনোভাবেই দানা বাঁধতে পারত না।
প্রশ্ন জাগতে পারে যে, স্রষ্টার বিরাগভাজন হওয়ার ভয় কাজ করলে কী হতো? আসলে স্রষ্টার অপছন্দনীয় কাজ করলেই তিনি অসন্তুষ্ট হন। এবং এই অপছন্দনীয় কাজের একটা বড় বিষয় হচ্ছে অন্যায় করা, জুলুম করা। সেই জুলুম অন্যের ওপরে, সেই জুলুম নিজের ওপরে।
আর যখন একজন মানুষ প্রকৃতিসম্মত কাজ করেন, নিজের যথাযথ যত্ন নেন, অন্যের ওপর কোনো অন্যায় করেন না তখন তার ওপর স্রষ্টা সন্তুষ্ট হন।
|| নিজের ও অন্যের প্রতি জুলুম ডেকে আনে প্রকৃতির শাস্তি ||
স্বাভাবিকভাবেই আপনি প্রশ্ন করতে পারেন যে, নিজের ওপরে আবার জুলুম হয় কীভাবে!আসলে আমরা অধিকাংশ মানুষ নিজের ওপরেই জুলুম করি। যখন আমি প্রকৃতি বিরুদ্ধ কাজ করি।
স্রষ্টা এই দেহটাকে বানিয়েছেন আত্মার বাহন হিসেবে; আত্মার এক স্তর থেকে আরেক স্তরে গমনের বাহন হিসেবে। যখন আমরা এই দেহের যত্ন নিতে ভুলে যাই বা দেহের জন্যে ক্ষতিকর কাজ করি; যেমন সেই কাজ অস্বাস্থ্যকর খাবার হতে পারে; ক্ষতিকর পানীয় হতে পারে; বদ অভ্যাস হতে পারে।অর্থাৎ যখন কেউ নিজের এবং অন্যের জন্যে ক্ষতিকর কাজ করে তখন স্রষ্টা অসন্তুষ্ট হন এবং তখনই একজন মানুষ স্রষ্টার বিরাগভাজন হয়। এবং তখন স্বাভাবিক নিয়মে প্রকৃতির যে শাস্তি এই শাস্তিটা তার ওপর নেমে আসে।
আমরা বালা-মুসিবত, বিপদ-আপদ-গজব এগুলোর জন্যে অন্যকে দোষারোপ করি। কিন্তু আল্লাহতায়ালা সূরা ফজরের (১৭-২০) নম্বর আয়াতে খুব সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে-“না! এ কথা সত্য নয়। আসলে এটা তোমাদের কর্মফল। তোমরা এতিমের প্রতি সম্মানজনক আচরণ কর না, অভাবী অসহায়কে অন্নদানে-পরস্পরকে উৎসাহিত কর না, অন্যের উত্তরাধিকারের সম্পদ নিজেরা আত্মসাৎ কর, আর ধনসম্পত্তির প্রতি তোমাদের আকর্ষণ আসক্তিতে পরিণত হয়েছে।”
আসলে যখন মানুষ নিজেকে সুস্থ রাখার পরিবর্তে, সুস্থ জীবনাচারের পরিবর্তে শুধু ধনসম্পত্তি অর্থবিত্তের পেছনে ছোটে এবং সবকিছু সে নিজের জন্যে আত্মসাৎ করতে যায়, অন্যের দিকে তাকায় না; তখনই আসলে সমাজে-সংসারে বালা-মুসিবত বিপদাপদ-বিপর্যয় নেমে আসে।
|| আসলে একজন বিশ্বাসীর কি মৃত্যু আছে! ||
একজন বিশ্বাসী তো মারা যায় না!
একজন বস্তুবাদী, একজন নাস্তিক তার মৃত্যু আছে। সে মনে করে যে দেহ শেষ সে শেষ। কিন্তু আমরা যারা বিশ্বাসী, আমাদের দেহ শেষ হলেই কি আমি শেষ!
এই দেহ তো আত্মার বাহন। মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আমরা অনন্ত জীবনের পথে যাত্রা শুরু করি। এবং মৃত্যু প্রত্যেকটা প্রাণের জন্যেই অবধারিত। অতএব মৃত্যুকে ভয় পাওয়ার কী আছে!আসলে একজন বিশ্বাসীর- মৃত্যু হচ্ছে তার জন্যে নতুন জীবন এবং মৃত্যু তার শেষ নয়।একজন নাস্তিকের জন্যে/একজন ভোগীর জন্যে/একজন দুর্নীতিবাজের জন্যে/একজন জালেমের জন্যে সে মনে করতে পারে যে মৃত্যুই তার শেষ। অতএব যা পার আগে ভোগ করে নাও।বিশ্বাসে যখন ফিরে আসব, ভয়-আতঙ্ক বলে কিছু থাকবে না। আসলে একজন ভালো মানুষের জন্যে, একজন বিশ্বাসীর জন্যে মৃত্যু তো আসলে তাঁর কাছে ফিরে যাওয়া।
অতএব একজন বিশ্বাসী আতঙ্কিত হয় কীভাবে!
|| নিজের জীবনটাকে পর্যালোচনা করার চমৎকার সুযোগ ||
নিজের জীবনটাকে পর্যালোচনা করতে পারেন যে আপনি আসলে কোন জীবন চান!
বস্তুবাদী জীবন? নাস্তিকের জীবন? যে জীবন বস্তুর সাথে সাথে শেষ হয়ে যায় সেই জীবন!
না অনন্ত জীবন?
ইহকাল এবং পরকাল দুটোই সুন্দর হবে, নিঃশঙ্ক হবে, ভয়মুক্ত হবে, শঙ্কামুক্ত হবে, আতঙ্কমুক্ত হবে। এবং সেটা তখনই সম্ভব যখন স্রষ্টার পছন্দনীয় কাজগুলো আপনি করবেন এবং তাঁর অপছন্দনীয় কাজগুলো থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন।আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলতে পারি যে, একজন নাস্তিকের জীবন দেহের মৃত্যুর সাথে সাথেই শেষ হয়ে যায়।
কিন্তু একজন আস্তিক; একজন বিশ্বাসীর জীবন দেহ অবসানের সাথে সাথে আরেকটি নতুন জীবন অনন্ত জীবন শুরু হয়।এবং যিনি নিজের এবং কল্যাণ করবেন পৃথিবীতে; নিজেরএবং অন্যের যত্ন নেবেন, নিজের এবং অন্যের উপকার করবেন তার ইহকালীন জীবন শেষ হওয়ার সাথে সাথেই অনন্ত জীবন শুরু হবে। কারণ আত্মার মৃত্যু নাই। আমরা ফিরে যাই সেইখানে; যেখান থেকে আমরা আসছি।একজন বিশ্বাসী যখন মারা যায় আরেকজন বিশ্বাসী তখন বলে- “ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন। অর্থাৎ আমরা আল্লাহর। তাঁর কাছ থেকে এসছি এবং তাঁর কাছেই ফিরে যাব।
অতএব একজন বিশ্বাসীর ভয় পাওয়ার কিছু নাই। একজন বিশ্বাসী কোনোকিছুতেই ভয় পায় না।
**************************************
Contact us:
Mobile: +88 01714 974333
E-mail: [email protected]
Find us:
https://qm.org.bd/findus
*This is the Official YouTube Channel managed by Quantum Foundation, Dhaka, Bangladesh.*
#gurujee #quantummethod #corona #meditation #QuantumFoundation