plz subscribe my channel @farukraz বান্ধবীর মাধ্যমে পরিচয় প্রথমে মোবাইলে বন্ধুত্বের সম্পর্ক পরে গভীর প্রেমের সম্পর্ক চলছে এক বছর যাবৎ। সমাজ যাই বলুক দুজনই এখন একসাথে থাকতে চাই দুজনেই আবার মেয়ে। একজনের বাড়ি সিলেট গোয়ানঘাট এলাকায় অন্য জনের বাড়ি সাতক্ষীরার কলারোয়ায়। সিলেট থেকে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় গিয়ে রুবিনা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূকে বিয়ে করে ঢাকায় নিয়ে যেতে চাই মহিমা খাতুন (২৩) নামের এক অবিবাহিত মেয়ে। এমন ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া সহ এলাকায় বিষয়টি বেশ সমালোচিত হচ্ছে।
বুধবার ( ৩ জানুয়ারি ) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সাতক্ষীরা কলারোয়ার হেলাতলা ইউনিয়নের ব্রজবাকসা জামালের মোড় এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলারোয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম।
মহিমা খাতুন (২৩) সিলেট গোয়েনঘাট এলাকার মুনছুর আলীর মেয়ে। রুবিনা খাতুন (২৫) সাতক্ষীরা কলারোয়ার হেলাতলা ইউনিয়নের ব্রজবাকসা জামালের এলাকার আনিছুর রহমানের মেয়ে ও কলারোয়া পৌর সদরের তুলশিডাঙ্গা গ্রামের আরমান হোসেনের স্ত্রী।
সিলেট থেকে আসা মহিমা খাতুন বলেন, এক বছর যাবত তাদের গভীর প্রেমের সম্পর্ক চলছে এখন এতটাই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক যে একজন আরেকজনকে ছাড়া থাকতে পারবে না। যে কারণে তিনি গৃহবধূর রুবিনা খাতুনকে তার সঙ্গে নিয়ে যেতে কলারো এসেছেন।
#bd #2024
গৃহবধূ রুবিনা খাতুন বলেন, প্রেমের সম্পর্ক এতটাই গভীর তারা দুজন ঢাকায় গিয়ে দেখা করেছেন এমনকি সেখানে অনেক সময় কাটিয়েছেন। এই ঘটনা তার স্বামী ও পরিবার জানেন। সমাজ বা আইন যাই বলুক এখন স্বামীকে ত্যাগ করলেও মহিমাকে তিনি ত্যাগ করতে পারবেন না।
তরুণ সমাজ সেবক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোতে সমকামিতার বৈধতা থাকলেও ৯৭ ভাগ মুসলিম এ রাষ্ট্র বাংলাদেশ সংবিধান বৈধতা দেয়নি । এজন্য এ ধরনের জঘন্য কাজ রুখতে অবশ্যই জরুরিভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত । তা না হলে সমাজে এমন কর্মকাণ্ড ঘটতে থাকলে অবশ্যই যুব সমাজের অবক্ষয় ঘটবে।
কলারোয়ার হেলাতলা ইউনিয়নের ব্রজবাকসা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসিমা খাতুন বলেন, তারা দুজন মেয়ে মেয়ে কখনো বিয়ে হতে পারে না বা বাংলাদেশে কখনো হয় না এটা তাদেরকে অনেক বোঝানো হয়েছে। কিন্তু তারা এমন জঘন্য সম্পর্কেই থাকতে চাই এদের জন্য কঠিন শাস্তিসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত তা না হলে আগামী প্রজন্ম আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। সমাজে দুই মেয়ের এমন নোংরা পদক্ষেপ বন্ধ করতে কলারোয়া থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
কলারোয়া থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ইতিমধ্যে জনপ্রতিনিধি ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছেন। মেয়েদের পরিবার ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।