নিজেকে উচ্চ মর্যাদাপূর্ণ করার পাওয়ারফুল আমল সূরা - মুযাম্লিল
#quran_tilawat #quran #quran_recitation
পবিত্র কোরআনের ৭৩ নম্বর সুরা মুজ্জাম্মিল। এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এর আয়াত সংখ্যা ২০। রুকু দুটি।
প্রথম আয়াতের মুজ্জাম্মিল শব্দ থেকে এটির নাম দেওয়া হয়েছে। সুরাটির প্রথম রুকুতে রাসুল (সা.)-কে রাতের একটি অংশে তাহাজ্জুদ নামাজ বাধ্যতামূলককরণ, কোরআন তিলাওয়াত ও কাফিরদের শারীরিক ও মানসিক জুলুম-নির্যাতনে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় রুকুতে তাহাজ্জুদ নামাজের বিধান শিথিল করা হয়েছে। এ সুরার সংক্ষিপ্ত আলোচনা নিচে দেওয়া হলো—
সুরা মুজ্জাম্মিলের শানে নুজুল
মক্কার কাফিরদের নানা বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে ইসলাম প্রচার করেছেন রাসুল (সা.)।
এ সুরার প্রথমাংশ নাজিল হয় (যাতে তাহাজ্জুদ ফরজ হয়) তখন সাহাবায়ে কেরাম এত দীর্ঘ তাহাজ্জুদ পড়তেন যে তাঁদের পা ফুলে যেত। আর এ সুরার শেষাংশ ১২ মাস পর্যন্ত আসমানে আটকে থাকে। ১২ মাস পর যখন এর শেষাংশ নাজিল হয়, তখন তাহাজ্জুদ নফল হয়ে যায়। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩৪২)
শরিফ আহমাদ
অ +
অ -
পবিত্র কোরআনের ৭৩ নম্বর সুরা মুজ্জাম্মিল। এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এর আয়াত সংখ্যা ২০। রুকু দুটি।
প্রথম আয়াতের মুজ্জাম্মিল শব্দ থেকে এটির নাম দেওয়া হয়েছে। সুরাটির প্রথম রুকুতে রাসুল (সা.)-কে রাতের একটি অংশে তাহাজ্জুদ নামাজ বাধ্যতামূলককরণ, কোরআন তিলাওয়াত ও কাফিরদের শারীরিক ও মানসিক জুলুম-নির্যাতনে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় রুকুতে তাহাজ্জুদ নামাজের বিধান শিথিল করা হয়েছে। এ সুরার সংক্ষিপ্ত আলোচনা নিচে দেওয়া হলো—
সুরা মুজ্জাম্মিলের শানে নুজুল
মক্কার কাফিরদের নানা বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে ইসলাম প্রচার করেছেন রাসুল (সা.)।
এতে কাফিররা তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে। তারা দারুন নাদওয়া সংসদে বসে একের পর এক ষড়যন্ত্রের জাল বোনে। জাবের (রা.) বলেন, একদিন তারা একত্র হয়ে পরস্পর বলাবলি করতে লাগল, মুহাম্মাদ (সা.)-এর এমন একটি নাম নির্বাচন করা হোক, যা শুনে বহিরাগত লোক তাঁর কাছে না ভিড়ে। এই প্রস্তাবের সমর্থনে তাদের কেউ কেউ গণক, পাগল, জাদুকর ইত্যাদি প্রস্তাব পেশ করে।এতে অন্যরা প্রতিবাদ করে। এভাবে তারা বিভক্ত হয়ে পড়ে। শেষমেশ বৈঠক এখানে সমাপ্ত হয়। এ সংবাদ শুনে রাসুল (সা.) ভারাক্রান্ত মনে চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়েন। ওই সময় সুরাটির প্রথম রুকু অবতীর্ণ হয়।
জিবরাইল (আ.) এসে বলেন, হে বস্ত্রাবৃত! রাত জাগরণ করুন কিছু অংশ ছাড়া। অর্ধরাত কিংবা তদপেক্ষা কিছু কম। অথবা তদপেক্ষা বেশি...। প্রথম রুকু অবতীর্ণ হওয়ার দীর্ঘ এক বছর পরে দ্বিতীয় রুকু অবতীর্ণ হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সুরা মুজ্জাম্মিলের প্রথমাংশ অবতীর্ণ হওয়ার পর সাহাবারা রোজার মাসের মতো রাত জেগে নামাজ আদায় করতেন। অতঃপর উক্ত সুরার শেষাংশ অবতীর্ণ হয় এবং সুরা মুজ্জাম্মিলে প্রথম ও শেষাংশের অবতীর্ণ হওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিল এক বছর। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩০৫)
তাহাজ্জুদ নামাজের বিধান
প্রাথমিক পর্যায়ে রাসুল (সা.)-এর ওপর তাহাজ্জুদ নামাজ ফরজ ছিল। পরে ফরজের বিধান রহিত করা হয়। তবু তিনি সারা জীবন গুরুত্বের সঙ্গে তাহাজ্জুদের বিধান পালন করে গেছেন। আম্মাজান আয়েশা (রা.) বলেন, যখন এ সুরার প্রথমাংশ নাজিল হয় (যাতে তাহাজ্জুদ ফরজ হয়) তখন সাহাবায়ে কেরাম এত দীর্ঘ তাহাজ্জুদ পড়তেন যে তাঁদের পা ফুলে যেত। আর এ সুরার শেষাংশ ১২ মাস পর্যন্ত আসমানে আটকে থাকে। ১২ মাস পর যখন এর শেষাংশ নাজিল হয়, তখন তাহাজ্জুদ নফল হয়ে যায়। (আবু দাউদ, হাদিস : (১৩৪২)
Wedside created https://sites.google.com/view/copyrightfreequran
Video Created
https://youtu.be/IBdNfyOuhv8