১৯৪৭ সালের এপ্রিলেও বোঝা যায়নি আগস্টে দেশভাগ হবে। এপারের মানুষ ওপারে যাবে। ওপারের মানুষ এপারে। মুর্শিদাবাদ, খুলনার মানুষ বিভ্রান্ত হবে—তাদের অংশে ভারত না পাকিস্তানের পতাকা উড়বে। সিলেটের করিমগঞ্জে পাকিস্তানের পতাকা উড়েও নেমে যাবে। প্রাক্তন এক ইংরেজ বিচারক স্যার সেরিল র্যাডক্লিফ যিনি আগে কোনোদিন ভারতবর্ষে আসেননি, ভালো করে ম্যাপ পড়ার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যা (cartographic knowledge) যার নেই, প্রত্যক্ষ কোনো অভিজ্ঞতা নেই এ অঞ্চলের মানুষের জীবন সংস্কৃতি, ভাষা ও আনন্দ-বেদনার—তাকে কিনা দায়িত্ব দেওয়া হলো বাংলাকে বিভক্ত করার বাউন্ডারি কমিশনের। তার আঁকিবুঁকি ও নানা কূটকৌশলের রাজনৈতিক সমীকরণে কোটি কোটি মানুষের জীবনে অনিশ্চয়তা আর বিপর্যয় নেমে আসবে। অনেকের নতুন পরিচয় হবে উদ্বাস্তু। ছেড়ে যেতে হবে সাত পুরুষের বসতি, স্মৃতি ও সংগ্রামের ভূমি, নদী, মাঠ-ঘাট, আশৈশব হেঁটে যাওয়া চেনা পথ, প্রান্তর। পেছনে পড়ে থাকবে ধু ধু স্মৃতির ভূমি,তুলসী মঞ্চ, নিকানো উঠোন, গোলা ভরা ধান, সন্ধ্যা প্রদীপ ,ধনীর দুর্গাধালান,স্বজনের কবর আর শ্মশান। অসহায় অজস্র মানুষের স্থান হবে রিফিউজি ক্যাম্পে।
#viralvideo
#partitionofindia
#biography
#history
#refugees
#indianfreedomfighter
#1947