MENU

Fun & Interesting

সূরা ইখলাসের ফজিলত || আল্লামা মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী || Mustakunnabi Kasemi

Mcb Media 9,821 lượt xem 20 hours ago
Video Not Working? Fix It Now

সূরা ইখলাসের ফজিলত || সুরা ইখলাসের ফজিলত ও বরকত || সূরা ইখলাস পড়লে কি হয়? || সূরা ইখলাস পড়ার ফজিলত কি? || সূরা ইখলাস ১০০ বার পড়লে কি হয়?
|| আল্লামা মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী || Mustakunnabi Kasemi waz || new waz 2025

সুরা ইখলাসকে কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান বলা হয়। ইখলাস অর্থ গভীর অনুরাগ, একনিষ্ঠতা, নিরেট বিশ্বাস, খাঁটি আনুগত্য। শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তওহিদ বা এক আল্লাহর ওপর খাঁটি ও নিরেট বিশ্বাসী হওয়াকে ইখলাস বলা হয়।

সুরা ইখলাসের ফজিলত অনেক। সুরা ইখলাস যিনি ভালোবাসবেন তিনি জান্নাতে যাবেন। হাদিসে এসেছে এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে আরজ করলেন, আমি এই সুরাকে ভালোবাসি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন সুরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে দাখিল করবে।

সুরাটি কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান। হাদিসে এসেছে একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘তোমরা সবাই একত্র হয়ে যাও আমি তোমাদের কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ শোনাব। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুরা ইখলাস পাঠ করলেন।

হাদিসের অন্য এক বর্ণনায় আছে, সুরা ইখলাস তিনবার পাঠ করলে এক খতম কোরআন তেলাওয়াতের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়। হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, এক যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে আমির বা নেতা নিযুক্ত করে দেন। তিনি নামাজে ইমামতিকালে সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা শেষে প্রতি রাকাতেই সুরা ইখলাস পাঠ করতেন।

সুরা ইখলাম পাঠে গুনাহ মাফ হয়ে যায়। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি প্রতিদিন ২০০ বার সুরা ইখলাস পড়বে তার ৫০ বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে তবে ঋণ থাকলে তা মাফ হবে না।

সুরা ইখলাস বিপদ-আপদে উপকারী। হাদিসে এসেছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পাঠ করে তাকে বালা-মুসিবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তা যথেষ্ট হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুমানোর আগে কুল হুয়াল্লাহু আহাদ..., কুল আউজু বি-রাব্বিল ফালাক..., কুল আউজু বিরাব্বিন নাস... পড়ার কথা বলেন।

হজরত আয়েশা রাদিয়া্লাহু আনহা বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বিছানায় ঘুমানোর জন্য যেতেন তখন তিনি তাঁর দুই হাতের তালু একত্র করতেন তারপর সেখানে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। এরপর দুই হাতের তালু দিয়ে শরীরে যতটুকু সম্ভব হাত বুলিয়ে দিতেন। এভাবে তিনবার করতেন।

সুরা ইখলাস দারিদ্র্যতা দূর করে দেয়। হজরত সাহল ইবন সাদ সায়েদি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে দারিদ্র্যের অভিযোগ করল নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন যখন তুমি ঘরে যাও তখন সালাম দেবে এবং একবার সুরা ইখলাস পড়বে। এ আমল করার ফলে কিছুদিনের মধ্যে তার দারিদ্র্য দূর হয়ে যায়।

১. যে ব্যাক্তি একবার সুরা ইখলাস পাঠ করলো, সে কোরআন কারিমের এক তৃতীয়াংশ পাঠ করার সওয়াব লাভ করলো ।

২. যে ব্যাক্তি সুরা ইখলাস ১০ বার পাঠ করলো, আল্লাহ তাআলা নিজ কুদরতি হাতে জান্নাতের মধ্যে তার জন্য বিশেষ মর্যাদাশীল মহল তৈরি করবে।

৩. যে ব্যাক্তি অধিক পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দেবেন।

৪. যে ব্যাক্তি অধিক পরিমাণে সুরা ইখলাস পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য লাশ বহন করার জন্য হজরত জিবরিল আলাইহিস সালামের সাথে ৭০ হাজার ফেরেশতা প্রেরণ করবেন। ফেরেশতারারা তার লাশ বহন ও জানায়াই শরিক হবেন।

সুরা ইখলাস

قُلۡ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ اَللّٰهُ الصَّمَدُ لَمۡ یَلِدۡ وَ لَمۡ یُوۡلَدۡ وَ لَمۡ یَکُنۡ لَّهٗ کُفُوًا اَحَدٌ

অর্থ: ‘বলুন, তিনি আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়। আল্লাহ কারও ওপর মুখাপেক্ষী নন বরং সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী। তাঁর কোনো সন্তান নেই এবং তিনি কারও সন্তানও নন এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।’


#Mufti_Mustakunnabi_Kasemi
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_নতুন_বয়ান
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_ওয়াজ
#মুফতি_মুস্তাকুন্নবী_সাহেবের_ওয়াজ
#নতুন_ওয়াজ
#বাংলা_ওয়াজ
#মুফতী_মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী
#bangla_waz_2023
#বাংলা_ওয়াজ
#allamah
#মুস্তাকুন্নবী_কাসেমী_2023
#Waz 2024
#new waz 2024
#mustakunnabi2024
#২০২৫
#Waz 2025
#new waz 2025
#mustakunnabi2025
#allama_mufti_Mustakunnabi_kasemi2025

Comment