‘পরিব্রাজকের কাছে গন্তব্য নয়, বরং পথটাই লক্ষ্য’
৮ জুলাই, ২০২৩ মুক্ত আলোচনার ১১৭ তম পর্বে একথা বলেন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক, চিকিৎসা নৃ-বিজ্ঞানী ও যুক্তরাজ্যের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক-অধ্যাপক ডা. শাহাদুজ্জামান।
তিনি কলোনিয়ালিজম ও কলোনিয়ালিটি সম্পর্কে কথা বলেন। পশ্চিমারা যখন সশরীরে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল, সেটি কলোনিয়ালিজম। কিন্তু তারা চলে যাওয়ার পরেও যখন মানুষের মনোজগতে প্রভাব বিস্তার করে থাকে, সেটি কলোনিয়ালিটি।
দেশের অনেক মানুষ শারীরিকভাবে দেশে থাকলেও তাদের মন পড়ে থাকে বিদেশে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই ‘আমাদের কী নেই’ এটা দেখতে আমাদেরকে অভ্যস্ত করানো হয়েছে। এখন আমাদেরকে এর বাইরে গিয়ে ভাবতে হবে যে, আমাদের কত কী আছে।
আর আমাদের ‘নেই’-এর তালিকার জন্যে নিজেদের অভিযুক্ত করারও কিছু নেই। কারণ এটা শুধু আমাদের একার দোষে ঘটে নি। পশ্চিমাদের শোষণের ফলে হয়েছে।
তারা শুধু নিজেদের ভালো দিকগুলোই দেখায়। ফলে মানুষ নিজের দেশ ত্যাগ করে কোনোরকমে বেঁচে থাকার জন্যে হলেও উন্নত দেশে চলে যেতে প্রলুব্ধ হয়। অর্থাৎ সরাসরি না হলেও আমাদের মনোজগতে এখনো তারা উপনিবেশ তৈরি করে রেখেছে।
বাস্তবতা হলো, ওসব দেশে সমস্যা কোনো অংশে কম না। ওখানে মানুষ সারা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ সেবন করে। আবার তাদের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিন্তা-ভাবনার বিপদ অনেক। কারণ একজন মানুষের ‘মানুষ’ হয়ে ওঠার পেছনে বহু মানুষের অবদান থাকে, যেটাকে অস্বীকার করে ভালো থাকা যায় না। ইউরোপে বসবাসের সূত্রে তিনি উপলব্ধি করেছেন - একক ব্যক্তির যন্ত্রণা কত বেশি!
পশ্চিমা বিশ্বের অর্জন দেখে হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। তাদের প্রতিটি ইটের পেছনে আছে আমাদের অবদান। আক্ষরিক অর্থেই সারা পৃথিবীকে ৩০০ বছর লুণ্ঠন করে গড়ে উঠেছে আজকের লন্ডন শহর।
আমাদের বুঝতে হবে কতভাবে শোষিত বঞ্চিত হওয়ার পরও আমরা ভালোভাবে বেঁচে আছি; বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাথা উঁচু করে চলছি। নিজেদের এই শক্তিগুলোকে আমাদের উপলব্ধি করতে হবে।
***********************************************
মেডিটেশন বিষয়ক বিশ্বের সমৃদ্ধতম ওয়েবসাইট- কোয়ান্টাম মেথড : https://quantummethod.org.bd/
আমাদের সকল কার্যালয়ের ঠিকানা : https://qm.org.bd/findus
মোবাইল নম্বর: +88 01714 974333
ই-মেইল : [email protected]