মজার কথা হল যাঁর বলার কথা জয় গোরখনাথ, তিনি বলেন জয় শ্রী রাম, যাঁর বলার কথা জয় শ্রীকৃষ্ণ, তিনিও বলেন জয় শ্রী রাম। কাজেই সুর মিলে গেছে, এনারা যে একই গোত্রের, এনারা যে একই উদ্দেশ্যে মাঠে নেমেছেন, এনারা যে একে অন্যের পরিপূরক তা নিশ্চই বলে দিতে হবে না। আসলে মৌলবাদ একইভাবে কাজ করে, সে সংখ্যাগুরুর মৌলবাদী চিন্তা হোক বা সংখ্যালঘুর মৌলবাদী বক্তৃতা হো, দেখবেন কোথাও তারা এসে একই পারপাস সার্ভ করছে। আদিত্য নাথ যোগী মাত্র গতকাল বলেছেন, তিনি গিয়েছিলেন অযোধ্যাতে, রামায়ণ মেলার উদ্বোধন করতে, সেখানে বললেন, পাশের বাংলাদেশে শত্রুরা কীরকম কাজ করছে দেখতে পাচ্ছেন, এখানেও এরকম লোকজন আছে। মনে রাখবেন পাঁচশ বছর আগে বাবরের এক সেনাপতি অযোধ্যায় যা করেছে, সম্ভলে যা করেছে আর যে কাজ আজ বাংলাদেশে করছে, তিন জনের প্রকৃতি আর ডি এন এ এক। যে কোনও সুস্থ মানুষ, শিক্ষিত মানুষ জানে অযোধ্যাতে কী হয়েছিল, সম্ভলে কী হচ্ছে, কারা কী করছে। আজ ৬ ডিসেম্বার, আজকের দিনে ১৯৯২ সালে এতক্ষণে বাবরি মসজিদ ভাঙা কেবল হয়নি জায়গাটাকে সমান করে দিয়েছিল ঐ হিন্দু জাতীয়তাবাদী আর এস এস বিজেপির করসেবকেরা।