Screept writer / vocal - Aditya ghosh
Editing / graphics / music - @TM.studio527
G-mail - [email protected]
.
গল্পের নাম - শ্রীকান্ত
চরিত্র -
শ্রীকান্ত - শিক্ষক।
শুভশ্রী - শ্রীকান্ত এর স্ত্রী।
নীলাধ্রী - শ্রীকান্ত এর পুত্র সন্তান।
ধ্রীতীষ - শ্রীকান্ত এর প্রিয় বন্ধু।
অনির্বাণ - শ্রীকান্ত এর বন্ধু।
বলাই দা - চা বিক্রেতা
-----------------------------------------------------------
গল্পের প্রেক্ষাপট -
শিক্ষকতা সাথে সাথে মাঝে মাঝে বেরিয়ে যেতো রহস্য রোমাঞ্চ অনুসন্ধানে শ্রীকান্ত. যতো পরিত্যক্ত জায়গা সে সমস্ত কিছুই তুলে নিয়ে আসতো, ওর লেখার মাধ্যমে. এটা ওর শখ ছিল একদিন বই করে প্রকাশ করবে.
পারিবারিক একটা clash ওকে সবসময়ই বিধ্বস্ত করে রাখত এবং সাথে ছিল স্ত্রী এর অহেতুক সন্দেহ
মাঝে মাঝে ঘর ছাড়া হয়ে যেতো শ্রীকান্ত , নিজের সাথেই নিজে কথা বলত যে বিয়ে টা করাই আমার উচিত হয় নি . বাড়ির অশান্তি একদিন চরমে ওঠায় , ওর জেদ ওকে ঘর ছাড়া করে , ওর সবথেকে কাছে বন্ধু ধ্রীতীষ ওকে খুব বোঝায় , সঙ্গে সেইদিন অনির্বাণ ছিল , রাত্রি ৮ টা 8:30 টা ওরা meet করে বলাই দার চায়ের দোকানে . তিনটি চায়ের ভার , তিনটি ciggerate নিয়ে ,আলোচনায় বসে , শ্রীকান্ত র জেদ তখন চরম পর্যায়ে , ও কারুর সাথেই আর সম্পর্ক রাখবে না ও নিরুদ্দেশ হতে চায় , ধ্রীতীষ সেইদিন শ্রীকান্ত র চোখে অন্য জিনিস দেখেছিল . অনির্বাণ খুব ভয়ে ওকে বলেছিলো , আমন কোনো ডিসিশন নিস না , কিন্তু শ্রীকান্ত শোনে নি ! এটুকু সময়ে conversation এর সাক্ষী ছিল মাত্র দুজন 150 থেকে 200 বছরের পুরোনো বট গাছ আর চায়ের দোকানের বলাই দা .ওটাই ছিল শ্রীকান্ত র ধ্রীতীষ আর অনির্বাণ এর সাথে শেষ দেখা . ওদিকে শুভশ্রী আর নীল অর্থাৎ শ্রীকান্ত স্ত্রী এবং সন্তান , সব জায়গায় খোঁজ নেওয়া শুরু করে 5-6 দিন কেটে যাবার পর , শ্রীকান্ত যেই স্কুল এ পড়তো সেই কর্ম স্থল এ পর্যন্ত চলে যায় এ , এবং ধ্রীতীষ এবং অনির্বাণ এর কাছেও কোনো আপডেট আর পায়ে না .
বেশ কয়েক মাস কেটে যায় প্রায় 5 থেকে 6 মাস বললেই চলে , একদিন 8 টা থেকে সরে 8 টা বলাই দা এর চায়ের দোকান থেকে ধ্রীতীষ চা খেয়ে ফিরছিল , সাইকেল নিয়ে যেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো , তার পাশেই ছিল বহু পুরোনো পচা নোংরা দুর্গন্ধ যুক্ত খাল , সেই জায়গাতে দুর্গন্ধ মেশানো সমস্ত রকম প্রাণীর লাশ সেই জলে পড়ে থাকত , হয়তো অসম্ভব ও হতো না কোনো মানুষের লাশ ও ওখানে পাওয়া .
এই জায়গার বিবরণ টা সকালে লাশের ওপরে ভিড় জমা শকুন , পচা মাংস গুলো খুবলে খাওয়ার জন্য ,আর রাতের অন্ধকারে পাশের যেই সাপে দের জঙ্গল সেখান থেকে বেরিয়ে আসে শিয়ালের দল , রাত যতো বারে আতঙ্ক ততটাই ওই জায়গাটা কে গ্রাস করতে আসে ,
বড় রাস্তা দিয়ে দীর্ঘ সময়ে যাবার থেকে এই রাস্তা খুব shortcut ছিল . এই রাস্তা টা শ্রীকান্ত এর favourite ছিল যেখানে ধ্রীতীষ আর শ্রীকান্ত প্রায়ই আসতো .
আচমকাই ! একটি ক্ষীণ ভান ভনানির আওয়াজ এ কিন্তু ধ্রীতীষ দাঁড়িয়ে যায় . আওয়াজ টা আসছিল সেই বামদিক ঘেঁষে সাপের জঙ্গল দিয়ে , যতো এগোচ্ছিল ততই যেনো পঁচা তীব্র ঝাঝালো গন্ধ তাঁর নাক এ আসতে থাকে . কিছু দূর এগোনোর পরে তাঁর চোখে পড়ে একটি বাঁশের খুঁটি তে ঝোলা লন্ঠনে এর আলো আলোটা এসে পড়েছিলো গরুর লাশ মুখের ওপরে , চোখটা বীভৎস ভাবে খোলা জিভটা বেরিয়ে এসেছিল অনেকটা জিভ দিয়ে বেরিয়ে আসছিল রক্ত আর কষ , আর মাছি গুলো সেই খাবার টাই খাচ্ছিলো .
কোনো রকমে ধ্রীতীষ ব্যাপার টা avoid করে বেরোতে গিয়ে , চেনা একটি গলার আওয়াজ এ দাঁড়িয়ে যায় , {ধ্রীতীষ ভালো আছিস , এত রাত্রির বেলা এদিকে দিয়ে কেনো রে ? } . কোনো কিছু দেখতে না পেয়ে তার চোখ খুঁজতে থাকে সেই চেনা গলার আওয়াজ . ওখান থেকে কোনোরকম বেরোতে যাবে কি ! আচমকা সামনে চলে আসে সেই চেনা মুখ , শ্রীকান্ত . সেই মুহূর্তেই ধ্রীতীষ এর এটাই প্রশ্ন চোখের ভুল নাকি সত্যি ! শ্রীকান্ত যেনো মন পড়তে পারে ! নিস্তবদ্ধতা ভেদ করে শ্রীকান্ত বলে উঠলো -
{ কিরে তোর চোখের ভুল নয় এটা আমি শ্রীকান্ত , কেমন আছিস } 5-6 মাস পর শ্রীকান্ত ওইরকম আচমকা রাতে অন্ধকারে দেখতে পেয়ে , ধ্রীতীষ খুব ভয় পেয়ে গেছিল . সমস্ত প্রশ্নের ঝড় থেমে যায় , কয়েক মিনিট এর আলোচনায় , শিউরে ওঠে চমকে যায় , ধ্রীতীষ ভাবতে থাকে এটা কি করে সম্ভব . শ্রীকান্ত বলা শুরু করে ,
- জানিস তোদের সাথে সেইদিন গল্প করার পর আমি ঝামেলা মেটানোর জন্য বাড়ি যাই, যাওয়ার সময়ে মোড়ের মাথার থেকে গরম বোদে নিয়ে গিয়েছিলাম আমার ছেলেটা খেতে খুব ভালোবাসে , এই খাল পার টা দিয়েই ,
- এমন ভাবেই কথাটা বললোযধ্রীতীষ এর সারা শরীর বরফ হয়ে গেছিল , শ্রীকান্ত আবার বলে , সেদিন আমি আমার স্ত্রী আর ছেলে , খাওয়া দাওয়ার পর আলোচনায় বসি , আমার কথা আমার স্ত্রী শুনতেই চাইছিল নাহ এমনকি মানতে চাইছিল না , বাবু তখন ঘুমিয়ে পড়েছে রাত তখন টা , শুভশ্রী আমাকে divorce দেবার কথা বলে আর ওই বাড়িটা লিখে দেবার কথা বলে , এই কথা চলা কালীন আচমকা , মাথার ওপর দিয়ে কি যেনো একটা চিৎকার করতে করতে বেরিয়ে যায় .
এবং আচমকাই আমার স্ত্রী আমাকে এক আঁশ বটি দিয়ে নিশংস ভাবে কোপায়। এই শোনার পর যা ঘটে তা বিবরণ করা যায় না।