পূর্বপুরুষ থেকে বাংলাদেশের কৃষকরা পাট আবাদ করলেও তখন তারা শুধু আঁশ ছাড়িয়ে কাঁচাপাট বাজারে বিক্রি করতেন। তাদের উৎপাদিত পাটকাঠি নিজেদের জ্বালানি ও বিভিন্ন গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার করতেন। কয়েক বছর ধরে পাটকাঠি বিভিন্ন কোম্পানিতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যা থেকে বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকার পাটকাঠির বেচাকেনা হয়। অর্থকরী পণ্য হয়ে উঠেছে একসময়ের হেলাফেলার পাটকাঠি। পানের বরজ, পার্টিকেল বোর্ড ও চারকোল কারখানায় পাটখড়ির ব্যাপক চাহিদা। এখন ফরিদপুর ও নড়াইল থেকে বরিশাল, দাউদকান্দি, ভোলাসহ বিভিন্ন পারটেক্স বোর্ড কারখানা ও আকিজ গ্রুপের মতো বড় বড় কোম্পানিতে এ পাটকাঠি ব্যবহৃত হচ্ছে। মূলত গত এক দশক ধরেই এই জ্বালানি বস্তুটির বাজার বাড়ছে।এখন দেশ থেকে পাটকাঠি বা পাটখড়ির ছাই রপ্তানি হচ্ছে। কার্বন পাউডার বা চারকোল এখন কিনে নিচ্ছে চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশ। তারা এই পাটখড়ির কার্বন থেকে কার্বন পেপার, কম্পিউটার ও ফটোকপিয়ারের কালি, আতশবাজি, ফেসওয়াশের উপকরণ, প্রসাধন পণ্য, মোবাইল ব্যাটারি, দাঁত মাজার ওষুধ, খেতের সারসহ অনেক ধরনের পণ্য তৈরি করছে। এক সময়ের ফেলনা পাটকাঠি কি ভাবে পাটের চেয়ে মুল্যবান হয়ে উঠলো? তা জানাবো আজকের এই ভিডিওতে, চলুন শুরু করা যাক…