হযরত ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর জন্ম একটি অলৌকিক ঘটনা। ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, তিনি পিতা ছাড়া only মা হযরত মরিয়ম (আঃ)-এর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
জন্মের ঘটনা (কুরআনের আলোকে)
কুরআনের সূরা মারইয়াম (১৯:১৬-৩৬)-এ বর্ণিত আছে যে, আল্লাহর আদেশে ফেরেশতা জিবরাইল (আঃ) মরিয়ম (আঃ)-এর কাছে এসে তাঁকে ঈসা (আঃ)-এর জন্মের সুসংবাদ দেন। মরিয়ম (আঃ) তখন একজন কুমারী ছিলেন এবং বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করেন, "কীভাবে আমার সন্তান হবে, যখন কোনো পুরুষ আমাকে স্পর্শ করেনি?"
আল্লাহ বলেন, "এটা আমার জন্য সহজ, আমি শুধু বলি 'হও', আর তা হয়ে যায়।"
এরপর তিনি গর্ভবতী হন এবং একা এক মরুপ্রান্তরে একটি খেজুর গাছের নিচে গিয়ে সন্তান জন্ম দেন। আল্লাহর হুকুমে সেই খেজুর গাছ থেকে ফল ঝরে পড়ে এবং নিচে একটি ঝর্ণা প্রবাহিত হয়, যা মরিয়ম (আঃ)-এর কষ্ট লাঘব করে।
জন্মস্থান ও সময়কাল
ঐতিহাসিকভাবে, হযরত ঈসা (আঃ)-এর জন্মস্থান বেথলেহেম (বর্তমান ফিলিস্তিন) হিসেবে ধরা হয়। তবে তাঁর জন্মের নির্দিষ্ট সাল নিয়ে মতভেদ রয়েছে। সাধারণভাবে অনুমান করা হয় যে, তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৪ থেকে ৬ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
ইসলামের দৃষ্টিতে হযরত ঈসা (আঃ)
তিনি আল্লাহর একজন নবী ও রাসূল।
তাঁকে কোনোভাবেই আল্লাহর পুত্র বলা যায় না (সূরা আল-ইখলাস ১১২:৩)।
তিনি অলৌকিক ক্ষমতা পেয়েছিলেন, যেমন মাটির পাখিকে প্রাণ দেওয়া, জন্মান্ধকে চক্ষুদান, কুষ্ঠরোগীকে আরোগ্য করা, মৃতকে জীবিত করা (সূরা আলে ইমরান ৩:৪৯)।
তাঁকে হত্যা বা ক্রুশবিদ্ধ করা হয়নি; বরং আল্লাহ তাঁকে নিজের কাছে তুলে নিয়েছেন (সূরা আন-নিসা ৪:১৫৭-১৫৮)।
এই হলো সংক্ষেপে হযরত ঈসা (আঃ)-এর জন্মের কাহিনী ইসলামের আলোকে।