হাওড়া থেকে জয়পুর জঙ্গল ভ্রমণ একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা হতে পারে। জয়পুর জঙ্গল পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলায় অবস্থিত, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বন্যপ্রাণীর জন্য পরিচিত।
কিভাবে যাবেন:
ট্রেনে: হাওড়া স্টেশন থেকে বাঁকুড়াগামী ট্রেনে করে বিষ্ণুপুর স্টেশনে নামতে পারেন। সেখান থেকে টোটো বা গাড়ি ভাড়া করে জয়পুর জঙ্গল পৌঁছানো যায়। বিষ্ণুপুর থেকে জয়পুর জঙ্গলের দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার।
গাড়িতে: হাওড়া থেকে গাড়ি নিয়ে ডানকুনি, আরামবাগ হয়ে বাঁকুড়ার দিকে যেতে পারেন। এই পথে জয়পুর জঙ্গল পড়বে। কলকাতা থেকে জয়পুর জঙ্গলের দূরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার, যা গাড়িতে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টায় অতিক্রম করা যায়।
কি দেখবেন:
জঙ্গলের সৌন্দর্য: শাল, সেগুন, মহুয়া প্রভৃতি গাছের সমারোহে জয়পুর জঙ্গল সমৃদ্ধ। এখানে হাতি, চিতল হরিণ, বুনো শুয়োর, ময়ূরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে।
বিষ্ণুপুরের টেরাকোটা মন্দির: জয়পুর জঙ্গল থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিষ্ণুপুর তার টেরাকোটা মন্দিরের জন্য বিখ্যাত। এখানে গিয়ে মন্দিরগুলি দর্শন করতে পারেন।
কোথায় থাকবেন:
জয়পুর জঙ্গলে থাকার জন্য বিভিন্ন রিসোর্ট ও হোটেল রয়েছে। তবে ভ্রমণের আগে অবস্থান ও ঘরের অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে বুকিং করা উচিত।
সতর্কতা:
জঙ্গলের গভীরে একা না যাওয়া ভালো; স্থানীয় গাইড সঙ্গে নেওয়া উচিত।
বর্ষাকালে সাপ ও পোকামাকড় থেকে সাবধান থাকতে হবে।
উপযুক্ত জুতো পরিধান করে জঙ্গলে প্রবেশ করা উচিত।
সপ্তাহান্তে প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটানোর জন্য জয়পুর জঙ্গল একটি আদর্শ স্থান।
…............…..............................
..................==........................
বনলতা রিসোর্ট পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলায় জয়পুর জঙ্গলের পাশে অবস্থিত একটি মনোরম রিসোর্ট। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আরামের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে, যেখানে অতিথিরা শহরের কোলাহল থেকে দূরে শান্তিপূর্ণ সময় কাটাতে পারেন।
অবস্থান: বনলতা রিসোর্ট জয়পুর জঙ্গলের পাশে, বিষ্ণুপুরের নিকটে অবস্থিত। এটি প্রায় ১০০ বিঘা সবুজ ভূমির উপর বিস্তৃত, যেখানে অতিথিরা প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে পারেন।
সুবিধাসমূহ:
আবাসন: রিসোর্টে বিভিন্ন ধরণের কক্ষ রয়েছে, যা অতিথিদের আরামদায়ক থাকার ব্যবস্থা প্রদান করে। কিছু কক্ষ মাটির বাড়ির আদলে নির্মিত, যা গ্রামীণ পরিবেশের অভিজ্ঞতা দেয়।
খাবার: এখানে সুস্বাদু বাঙালি খাবার পরিবেশন করা হয়, যা স্থানীয় উপাদান দিয়ে প্রস্তুত। অতিথিরা বিভিন্ন বাঙালি পদ উপভোগ করতে পারেন।
প্রকৃতি ভ্রমণ: জয়পুর জঙ্গলের সন্নিকটে অবস্থিত হওয়ায়, অতিথিরা জঙ্গলে ভ্রমণ এবং বন্যপ্রাণী পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
রিভিউ: বনলতা রিসোর্ট সম্পর্কে অতিথিদের মতামত মিশ্রিত। কিছু অতিথি রিসোর্টের প্রাকৃতিক পরিবেশ, সুস্বাদু খাবার এবং কর্মীদের আতিথেয়তার প্রশংসা করেছেন। তবে, কিছু অতিথি কক্ষের আকার এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সামগ্রিকভাবে, এটি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য একটি চমৎকার স্থান।
যোগাযোগ: বুকিং বা আরও তথ্যের জন্য বনলতা রিসোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পরিদর্শন করতে পারেন.....................................
............................
জয়পুর জঙ্গল (Joypur Forest) বাঁকুড়ার এক সুন্দর বনাঞ্চল, তবে এটি সরাসরি বিশ্বযুদ্ধের (বিশেষত প্রথম বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের) কোনো বড় ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তবে ব্রিটিশ আমলে এই অঞ্চল এবং তার আশপাশের জঙ্গলগুলি স্বাধীনতা আন্দোলন ও বিভিন্ন সামরিক কৌশলের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।
সম্ভাব্য সংযোগ:
1. ব্রিটিশ শাসনকাল ও স্বাধীনতা আন্দোলন:
বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকার ভারত থেকে প্রচুর সম্পদ ও সৈন্য সংগ্রহ করেছিল। বাঁকুড়ার মতো স্থান, যেখানে প্রাকৃতিক সম্পদ ও জঙ্গল ছিল, তা কিছুটা প্রভাবিত হতে পারে।
কিছু গবেষক মনে করেন যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা ভারতের বিভিন্ন জঙ্গল অঞ্চল নজরদারিতে রাখত, কারণ সেগুলি বিদ্রোহী আন্দোলনের আশ্রয়স্থল হতে পারত।
2. গেরিলা যুদ্ধ ও বনের ভূমিকা:
স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়, বিশেষত ব্রিটিশবিরোধী বিদ্রোহে জঙ্গলগুলি গেরিলা যুদ্ধের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হত।
যদিও জয়পুর জঙ্গলের নির্দিষ্ট কোনো ভূমিকার কথা স্পষ্টভাবে পাওয়া যায় না, তবে ভারতের অন্যান্য জঙ্গলের মতো এটিও স্থানীয় বিদ্রোহীদের লুকিয়ে থাকার জায়গা হতে পারে।
3. জয়পুর জঙ্গলের বর্তমান ঐতিহাসিক মূল্য:
জয়পুর জঙ্গল এখন পর্যটন ও পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য পরিচিত।
এখানে হাতি, হরিণ ও নানা প্রজাতির পশুপাখি দেখা যায়, যা বনাঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশকে গুরুত্ব দেয়।