চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম কি? পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও রাজনীতি | BCS & Bank and Job special.
১৮৬০ সালে চট্টগ্রাম জেলা ভেঙে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা গঠিত হয় । প্রথমে এর হেডকোয়ার্টার ছিল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায়। ১৮৬৮ সালে মানে ৮ বছর পর চাকমা রাজা হরিশ্চন্দ্র রাঙ্গুনিয়া থেকে বর্তমান রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার হেডকোয়ার্টার স্থানান্তর করেন। এর আগে রাঙ্গামাটির নাম ছিল কার্পাস মহল।
১৯৮৪ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা ভেঙে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলা গঠিত হয়। বাংলাদেশের ৬১ টি জেলা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে হলেও এই তিন পার্বত্য জেলা ''পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের অধীনে। দেশের বাকিঅংশের ভূমি আইন থেকে এখানকার ভূমি ব্যবস্থাপনা একেবারে ভিন্ন। এখানে ব্যক্তিগত মালিকানা অনুপস্থিত।
এই তিনটি জেলা তিনটি সার্কেলে বিভক্ত। রাঙামাটির বেশিরভাগ চাকমা সার্কেল, খাগড়াছড়ির বেশিরভাগ মং সার্কেল ও বান্দরবান ও রাঙামাটির কিছু অংশ নিয়ে বোমাং সার্কেল গঠিত। এই তিন সার্কেলে উক্ত নামে তিনজন রাজা রয়েছেন। বর্তমান চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। তার পিতা তৎকালীন চাকমা রাজা ও সাংসদ ত্রিদিব রায় মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন না। ত্রিদিব রায় মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের পরিবর্তে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন এবং পাকিস্তানের হয়ে বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রধান ছিলেন। একসময় পাকিস্তানের মন্ত্রীও হন। যদিও রাজা ত্রিদিব রায়ের মাতা বেনিতা রায় মুক্তিযুদ্ধে দেশের পক্ষে ছিলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা। যিনি জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর ভাই জ্যাোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) উপজাতিদের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তিনি বর্তমানে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান।