[শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দির হল ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের অযোধ্যায় নির্মিত একটি হিন্দু মন্দির। এটি রাম জন্মভূমিতে অবস্থিত, যা হিন্দু ধর্মবিশ্বাসীদের মতে হিন্দুধর্মের অন্যতম প্রধান দেবতা রামের জন্মস্থান।[৫][৬]
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরধর্মঅন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্মঈশ্বররাম লালা (রামের শিশু রূপ)উৎসবসমূহরাম নবমী, দিওয়ালি, দশেরাপরিচালনা সংস্থাশ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রঅবস্থানির্মাণাধীনঅবস্থানঅবস্থানরাম জন্মভূমি, অযোধ্যারাজ্যউত্তরপ্রদেশদেশভারত


উত্তর প্রদেশে অবস্থান
স্থানাঙ্ক২৬.৭৯৫৬° উত্তর ৮২.১৯৪৩° পূর্বস্থাপত্যস্থপতিসোমপুরা পরিবার[ক]ধরনহিন্দু মন্দির স্থাপত্যস্থাপত্য শৈলীনগর স্থাপত্য শৈলীসৃষ্টিকারীশ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রভূমি খনন৫ আগস্ট ২০২০; ৪ বছর আগে[৩]সম্পূর্ণ হয়২২ জানুয়ারি ২০২৪; ১১ মাস আগে[৪]বিনির্দেশদৈর্ঘ্য৩৬০ ফুট (১১০ মিটার)প্রস্থ২৩৫ ফুট (৭২ মিটার)উচ্চতা (সর্বোচ্চ)১৬১ ফুট (৪৯ মিটার)স্থানের এলাকা২.৭ একর (১.১ হেক্টর)মন্দিরমন্দির চত্বরে একটি কেন্দ্রীয় মন্দিরের চারপাশে ৬টি সহ মন্দিরওয়েবসাইটsrjbtkshetra.org
মন্দিরটি খ্রিস্টীয় ১৬তম শতাব্দীতে নির্মিত বাবরি মসজিদের স্থানে নির্মিত হয়। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে মসজিদের ভিতর রাম ও সীতার মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল; মসজিদটি ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে আক্রমণ করে ভেঙে ফেলা হয়। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে একটি রায় প্রদান করে। রায়ে বিতর্কিত জমিটি মন্দির নির্মাণের জন্য হিন্দুদের দেওয়া হয় এবং মুসলমানদের মসজিদ নির্মাণের জন্য অন্যত্র জমি প্রদান করা হয়। আদালত ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের একটি প্রতিবেদনকে প্রমাণ হিসাবে উল্লেখ করে, প্রতিবেদনে বলা হয় বাবরি মসজিদের নিচে একটি কাঠামোর উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যেটি কোনও ইসলামি স্থাপনা নয়।[৭]
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২০ সালের ৫ই আগস্ট রাম মন্দির নির্মাণের সূচনার জন্য ভূমি পূজা (ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান) করেন।[৮][৯] মন্দিরটি, বর্তমানে নির্মাণাধীন, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র দ্বারা তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে। ২০২৪ খ্রিস্টাব্দের ২২শে জানুয়ারি রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্টার মাধ্যমে উদ্বোধনের করা হয়।[১০] মন্দির চত্বরে সূর্য, গণেশ, শিব, দুর্গা, বিষ্ণু ও ব্রহ্মার মন্দির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[৯]
ভারতীয় জনতা পার্টির দ্বারা অনুদানের অপব্যবহার, প্রধান আন্দোলন কর্মীদের কোণঠাসা করা এবং রাজনীতিকরণের কারণে মন্দিরটিকে ঘিরে বেশ কয়েকটি বিতর্কের জন্ম হয়েছে।