রেকর্ড ভাঙ্গা-গড়ার খেলা ক্রিকেট হলেও কিছু কিছু রেকর্ড আছে যেগুলো এখনো ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি ক্রিকেটারদের পক্ষে। Golpo Kotha'র প্রচারিত ভিডিও গুলো ভাল লাগলে অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করবেন প্লিজ। Subscribe to our channel: https://goo.gl/IxkDlw
যেমন স্যার ডন ব্রাডম্যানের ব্যাটিং গড় ৯৯.৯৪ রেকর্ডটি । এমনি আরও ৮টি রেকর্ড আছে। তো বন্ধুরা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই রেকর্ডগুলোকেই –
১. ব্র্যাডম্যানের গড় ৯৯.৯৪-
অসাধারণ একটি রেকর্ড। কেউ কখনও স্বপ্নেও ভাববে না রেকর্ডটিকে ভাঙার কথা। প্রথমে অনেক ব্যাটসম্যান এসেই পৃথিবীর বুকে কাপন ধরিয়ে দেয়। শুরুতে দেখা যায় গড় তার কাছাকাছি। কিন্তু বেলা গড়ালে তারাও হারিয়ে যায়। ৭-৮ ম্যাচ গড় ভাল হলেও ১৫-২০ ম্যাচ পর গড় নেমে যেতে থাকে। সাধারণত ৫০-৬০ এর উপরে কারো গড় থাকে না। কিন্তু ৫২ টা ম্যাচ খেলার পরও স্যার ডন ব্র্যাডম্যান এর গড় ছিল ৯৯.৯৪। এই রেকর্ড ভাঙার কথা নিশ্চয়ই কেও চিন্তা করবে না। স্যার ডন ব্র্যাডম্যান ৫২ ম্যাচ খেলে ৮০ ইনিংসে ৬৯৯৬ রান করেন যেখানে তার সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৩৪ আর ব্যাটিং গড় ছিল ৯৯.৯৪ ।
২. শচীনের ১০০ টি শতরান-
শতরানের শতরান। প্রথম সম্ভব করে দেখিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। আর হয়তো কেও করে দেখাতে পারবেন না। অনেকেই আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করবেন। অনেকের ধারণা বিরাট কোহলী এই রেকর্ড ভেঙে ফেলবেন। কিন্তু কথায় আছে,”যত গর্জে, তত বর্ষে না।” যতটা মনে হচ্ছে ততটা সম্ভব না। ৩১ আগস্ট ২০১৮ পর্যন্ত তার সেঞ্চুরি সংখ্যা ৫৮। আরো ৪২ টা সেঞ্চুরি লাগবে। যা অনেক দূরের পথ। সেজন্য সেই হিসেবে বলা চলে, টেন্ডুলকারের রেকর্ড অক্ষতই থাকবে। কারণ, “দিল্লী এখনো অনেক দূর।”
৩. মুরালির উইকেট-
টেস্টে ৮০০, ওয়ানডেতে ৫৩৪, টি-২০ তে ১৩ উইকেট আছে শ্রীলংকার মুরালিধরনের। মোট ১৩৪৭ উইকেট। সংখ্যাটাই অনেক বড়। কতটা পথ পেরোলে মুরালির রেকর্ড ভাঙা যাবে সেটা হয়তো কোন বোলার এখনো জানে না। আর জানার কথাও নয়।
সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক ৫ বোলার-
১. মুত্তিয়া মুরালিধরণ- ১৩৪৭
২. শেন ওয়ার্ন- ১০০১
৩. অনিল কুম্বলে- ৯৫৬
৪. গ্লেন ম্যাকগ্রা- ৯৪৯
৫. ওয়াসিম আকরাম- ৯১৬
সেরা ৫ এর তালিকায় নেই এখনকার কোন বোলার। অবসর নেয়নি এমন বোলার আছে তালিকার ৭ নাম্বারে। তিনি জেমস এন্ডারসন। ৩১ আগস্ট ২০১৮ পর্যন্ত তার উইকেট সংখ্যা ৮৪৪ । মুত্তিয়া মুরালিধরণকে ছুতে যে এন্ডারসনকে বেগ পেতে হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন যে, মুরালির রেকর্ড যে অক্ষতই থাকবে তার পক্ষেই এখনো কথা বলে পরিসংখ্যান।
৪. ব্রায়ান লারার ৪০০* –
একটি টেস্ট ম্যাচে তো অহরহ দ্বিশতক দেখতে পাওয়া যায়। ত্রিশতকও রয়েছে ২৮ টি। কিন্তু চার শতক এর কথা কি কেও চিন্তা করেছিলেন? হ্যা, সেটাই করে দেখিয়েছেন ব্রায়ান লারা। যদিও রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা ক্রিকেট। তবুও লারার এই কীর্তি যে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে তা বোঝাই যাচ্ছে।
ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের ৫টি ইনিংস-
১. ব্রায়ান লারা ৪০০*
২. ম্যাথু হেইডেন ৩৮০
৩. ব্রায়ান লারা ৩৭৫
৪. মাহেলা জয়াবর্ধনে ৩৭৪
৫. গ্যারি সোবার্স ৩৬৫
৫. এক টেস্টে ১৯ উইকেট-
এক টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে ২০টা উইকেট নেয়া যায়। ১৯৫৬ সালে মানচেস্টার টেস্টে অসিদের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের জিম লেকার নিয়েছিলেন ১৯ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৯টা, দ্বিতীয় ইনিংসে দশে দশ। দুটো মিলিয়ে ১৯। আজ পর্যন্ত কেউ পারেননি, হয়তো কেউ পারবেনও না।
৬. গ্রায়েম স্মিথের ১০৯টা টেস্টে নেতৃত্ব দেয়া-
মাত্র আট টেস্ট খেলার পর দেশের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলেন গ্রায়েম স্মিথ। বাঁহাতি ওপেনার এই স্মিথ এর পর দেশকে টানা ১০৮টি টেস্টে নেতৃত্ব দেন। আর একটি টেস্ট আইসিসি একাদশের নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্মিথ খেলেছেন ১১৭টি টেস্ট, নেতৃত্ব দিয়েছেন ১০৯টাতে। এই বিরল রেকর্ড ভাঙা কঠিন।
টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব-
১. গ্রায়েম স্মিথ- ১০৯ ম্যাচ
২. এল্যান বর্ডার- ৯৩ ম্যাচ
৩. স্টিভেন ফ্লেমিং- ৮০ ম্যাচ
৪. রিকি পন্টিং- ৭৭ ম্যাচ
৫. ক্লাভিড লয়েড- ৭৪ ম্যাচ
গ্রায়েম স্মিথের এই রেকর্ড ভাঙতে যে কেও পারবে না তা পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে।
৭. দ্রাবিড়ের ২১০ ক্যাচ-
১৬৪টি টেস্ট খেলে রাহুল দ্রাবিড় ধরেছেন ২১০টি ক্যাচ। টেস্টে প্রতি ইনিংসএ তার ক্যাচ ধরার সংখ্যা ০.৬৯৭টি। কোনো দিন দেশের হয়ে টেস্টে উইকেটকিপিং না করেও এই রেকর্ড করে রাখা দ্রাবিড়কে ভাঙা যাবে না মনে হয়।
টেস্ট ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ক্যাচ-
১. রাহুল দ্রাবিড়- ২১০
২. রিকি পন্টিং- ১৯৬
৩. মাহেলা জয়াবর্ধনে- ১৯৪
৪. জ্যাক ক্যালিস- ১৯৪
৮ নম্বরে গেলে খুজে পাওয়া যাবে রস টেইলর কে। যার ক্যাচ সংখ্যা মাত্র ১৫৭। দ্রাবিড়ের রেকর্ড যে অক্ষত থাকবে তা বোঝাই যাচ্ছে।
৮. গ্রাহাম গুচের এক টেস্টে ৪৫৬ রান-
একটা টেস্ট একজন ব্যাটসম্যান করলেন ৪৫৬ রান। হ্যাঁ, ভারতের বিরুদ্ধে লর্ডসে ১৯৯০ সালে গ্রাহাম গুচ এমন কাণ্ডই ঘটান। গুচ প্রথম ইনিংসে করেন ৩৩৩ রান, দ্বিতীয়টাতে ১২৩ রান। ইংল্যান্ড এই টেস্টে জেতে ২৪৭ রানে। l
এক টেস্টে সর্বোচ্চ রান-
১. গ্রাহাম গুচ- ৪৫৬
২. মার্ক টেইলর- ৪২৬
৩. কুমার সাঙ্গাকারা-৪২৪
৪. ব্রায়ান লারা- ৪০০
৫. গ্যারি চ্যাপেল- ৩৮০
৯. ৫২ বছর বয়সে টেস্ট খেলা-
ক্রিকেট একটি ফিটনেস ভিত্তিক খেলা। বয়স বাড়ার সাথে সাথেই ফিটনেস কমতে থাকে এবং অবসরের কথা শোনা যায়। ৩২, ৩৪ বছরে এসেই আজকাল অবসরের ঘণ্টা বেজে ওঠে। আর উইলফ্রেড রোডস ৫২ বছর বয়সে টেস্ট খেলেন। ৩০ বছর ধরে তিনি ক্রিকেট খেলেন।
লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করে সাথেই থাকুন। দেখতে থাকুন আমাদের প্রোগ্রাম।
Our Goople Plus Page: https://plus.google.com/b/103738961768621441937/
Youtube Channel: https://www.youtube.com/c/GolpoKotha
Twitter: https://twitter.com/caught_camera
Website: http://allbanglanewspaper.today/
Pinterest: https://www.pinterest.com/golpokotha/
For any kinds of issue please contact us at [email protected]