চ্যানেলের দর্শকবন্ধুদের অনুরোধে ইউটিউবে প্রথমবার - বাংলা ভাষায় শার্লক হোমস – ১৯৫১ সালের ছবি ‘জিঘাংসা’।
হাঃ হাঃ হাঃ, পৈশাচিক অট্টহাসি বেজে ওঠে জলার ধারে, অমাবস্যার রাতে। কে যেন চিৎকার করে ওঠে মৃত্যুযন্ত্রণায়! রত্নগড়ের মহারাজা চন্দ্রকান্ত সিংহরায়ের মৃতদেহ পাওয়া যায় জলার ধারে - আর তার পাশেই দেখা যায় বড় বড় পায়ের ছাপ। এত বড় পায়ের ছাপ মানুষের তো' হতে পারেনা... তবে কে সে? কে সেই হত্যাকারী? কোন অশরীরী অতৃপ্ত আত্মার দুর্জ্ঞেয় প্রতিহিংসা চরিতার্থ হল আজ?
রত্নগড়ের চলতি প্রবাদে জানা যায় চারপুরুষ আগে এক অত্যাচারী রাজা অমাবস্যার রাত্রে কোনও এক সুন্দরী নারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন। নিজের সম্মান রক্ষার্থে সেই নারী প্রাসাদের অলিন্দ থেকে লাফ দিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। লোকের বিশ্বাস আজও সেই রাজার প্রেতাত্মা নরকাগ্নির শিক্ষা বুকে নিয়ে জলায় ঘুরে বেড়ায় প্রতিহিংসার জ্বালায়। আজও সেই নারীর অট্টহাসি অমাবস্যার নিথর রাতকে শিহরিত করে তোলে! তবে কি চন্দ্রকান্ত এই অশরীরীর হাতেই মারা গেলেন?
রাজপরিবারের চিকিৎসক ডঃ পালিতের কাছ থেকে এই কাহিনী শুনতে শুনতে উদগ্রীব হয়ে ওঠেন গোয়েন্দা স্মরজিৎ সেন। চন্দ্ৰকান্তর উত্তরাধিকারী ভ্রাতুষ্পুত্র সূর্যকান্তের সঙ্গে তিনি তার সহকারী বিমলকে পাঠিয়ে দেন রত্নগড়ে।
প্রাসাদের পুরোনো চাকর লক্ষণ গভীর রাত্রে জলায় কাকে যেন দেখায় আলোর সংকেত। সূর্যকান্তকে কোনও এক প্রেতিনী হাতছানি দিয়ে ডেকে জলায় নিয়ে যায়। বুড়ো সঞ্জীববাবুর ধর্মকথার আড়ালে যেন লুকিয়ে থাকে অপরাধের অদৃশ্য ইঙ্গিত। বটানিস্ট আনন্দরাম জানান জলার নতুন এক আগন্তুকের কথা। সব মিলিয়ে বিমল দিশাহারা হয়ে পড়েন।
ইতিমধ্যে প্রেতিনীর আহ্বানে জলায় এসে একরাত্রে মারণ আক্রমণের কবলে পড়ে সূর্যকান্ত। ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে যায়, কিন্তু মারা পড়ে অন্য এক অচেনা ব্যক্তি! সে রাত্রে লক্ষণকে জলায় ঘুরতে দেখা যায় আর দেখা যায় ডঃ পালিতের ল্যান্ডো গাড়িটা। রহস্যের জাল ঘনীভূত হয়ে আসে।
অভিনয়ে: মঞ্জু দে, বিকাশ রায়, কমল মিত্র, কানু বন্দ্যোপাধ্যায়, শিশির বটব্যাল, গৌতম মুখোপাধ্যায়, বীরেন চট্টোপাধ্যায়, প্রমুখ।
সঙ্গীত পরিচালনা: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।
আলোকচিত্রশিল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা: অজয় কর।