MENU

Fun & Interesting

ইসলামে বিড়ি/ সিগারেট খাওয়া হালাল এবং জায়েজ, চ্যালেঞ্জ..... এভাবে দলিল প্রমাণ দিয়ে আগে কেউ বলেনি।

SHA ALAM KAZI 319 1 month ago
Video Not Working? Fix It Now

১। যেমনটি ইরশাদ হয়েছে, يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقْرَبُوا الصَّلَاةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى ‘হে মুমিনগণ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তোমরা নামাজের নিকটবর্তী হয়ো না।’ (সূরা নিসা, আয়াত: ৪৩) ২।আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নেশাদার দ্রব্য পান করবে আল্লাহ তার ৪০ দিন ছালাত কবুল করবেন না। যদি এ অবস্থায় মারা যায় তাহ’লে জাহান্নামে যাবে। যদি তওবাহ করে তাহলে আল্লাহ তার তওবাহ কবুল করবেন। আবার নেশাদার দ্রব্য পান করলে আল্লাহ তার ৪০ দিন ছালাত কবুল করবেন না। যদি এ অবস্থায় মারা যায় তাহ’লে জাহান্নামে যাবে। আর যদি তওবাহ করে তবে আল্লাহ তার তওবাহ কবুল করবেন। আবার যদি নেশাদার দ্রব্য পান করে আল্লাহ তার ৪০ দিন ছালাত কবুল করবেন না। এ অবস্থায় মারা গেলে জাহান্নামে যাবে। তওবাহ করলে আল্লাহ তার তওবাহ কবুল করবেন। লোকটি যদি চতুর্থবার মদ পান করে আল্লাহ তাকে ক্বিয়ামাতের দিন ‘রাদাগাতুল খাবাল’ পান করাবেন। সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ‘রাদাগাতে খাবাল’ কী? রাসূল (ছাঃ) বললেন, ‘আগুনের তাপে জাহান্নামীদের শরীর হতে গলে পড়া রক্তপূজ মিশ্রিত গরম তরল পদার্থ’ (ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/ ২৭৩৮, হাদীছ ছহীহ) ৩।জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে বস্ত্ত বেশী পরিমাণ খেলে বিবেকের ক্ষতি হয়, তার কমও হারাম’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৩৯৩)। ৪।ইসলামী আইনজ্ঞরা যেসব নীতির মাধ্যমে নেশাদ্রব্য হারাম করেছেন, তার কিছু নীতি হলো— ক) এতে আছে অনর্থক অর্থ অপচয়। আর ইসলামে অপচয় হারাম। (সুরা : আল-ইসরা, আয়াত : ২৭) খ) এতে আছে স্বাস্থ্যগত ক্ষতি। আর যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, ইসলামে তা হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নিজেদের ধ্বংসের দিকে নিক্ষেপ করো না।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৯৫) ৫।জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা রয়েছে- নেশাদার দ্রব্য পানকারীদের আল্লাহ ‘‘ত্বিনাতে খাবাল’’ পান করাবেন। জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! ‘ত্বিনাতে খাবাল’ কি জিনিস? রাসূল (ছাঃ) বললেন, জাহান্নামীদের শরীর হতে গলে পড়া রক্তপুজ মিশ্রিত অত্যন্ত গরম তরল পদার্থ’ (মুসলিম ২/১৬৭ পৃঃ)। ৬।রাসুল (সা.) বলেছেন, যা বেশি সেবন করলে নেশার সৃষ্টি হয় তা কম সেবন করাও হারাম। (তিরমিজি, হাদিস : ১৮৬৫; আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৮১) ৭। আবু দারদা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘সর্বদা নেশাদার দ্রব্য পানকারী জান্নাতে যাবে না’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৩৭৬, হাদীছ ছহীহ)। ৮। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, সব ধরনের নেশাদার দ্রব্য হারাম’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৩৮৮)। ৯।আবু দারদা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘সর্বদা নেশাদার দ্রব্য পানকারী জান্নাতে যাবে না’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৩৭৬, হাদীছ ছহীহ)। ১০। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘সর্বদা নেশাদার দ্রব্য পান কারী মূর্তিপূজকের ন্যায় অপরাধী’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৩৭৫, হাদীছ ছহীহ)। ১১।‌ জাবির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, «مَن أَكلَ ثوماً أو بصَلاً فليعتَزِلْنا، أو قالَ: فليَعتزلْ مسجدَنا، وليقعُدْ في بيتهِ، وفي روايةٍ: فلا يَغشانا في مساجدِنا». “যে ব্যক্তি রসুন কিংবা পেঁয়াজ খাবে, সে যেন আমাদের থেকে দূরে থাকে। অথবা তিনি বলেছেন, সে যেন আমাদের মসজিদ থেকে দূরে থাকে এবং নিজ বাড়ীতে বসে থাকে”। সহীহ বুখারী; সহীহ মুসলিম; মিশকাত, হাদীস নং ৪১৭৯। ১২।নেশাদ্রব্যে আছে দুর্গন্ধ। এতে অন্যরা কষ্ট পায়। ইসলামে অন্যকে কষ্ট দেওয়া জায়েজ নেই। রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে সম্মান করে। (বুখারি, হাদিস : ৫৬৭৩, মুসলিম, হাদিস : ১৮২) ১৩।ওছমান (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা নেশাদার দ্রব্য থেকে বেঁচে থাক। কেননা নেশাদার দ্রব্য হচ্ছে অশ্লীল কর্মের মূল। যে ব্যক্তি নেশাদার দ্রব্য থেকে বেঁচে থাকে না তারা আল্লাহ এবং তার রসূলের নাফারমানী করে এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের নাফারমানী করার কারণে সে শাস্তির হক্বদার হয়’। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যারা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের নাফারমানী করে এবং তার সীমালঙ্ঘন করে, আল্লাহ তাকে এমন আগুনে প্রবেশ করাবেন যেখানে সে চিরকাল থাকবে। তার জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি’ (নিসা ১৪; নাসাঈ, হাদীছ ছহীহ)। ১৪।عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ وَكُلُّ خَمْرٍ حَرَامٌ وَمَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فِي الدُّنْيَا وَمَاتَ لَمْ يَتُبْ مِنْهَا وَهُوَ مُدْمِنُهَا لَمْ يَشْرَبْهَا فِي الْآخِرَةِ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘সব নেশাদার দ্রব্য মদ আর সব ধরনের মদ হারাম। যে ব্যক্তি সর্বদা নেশাদার দ্রব্য পান করে তাওবা বিহীন অবস্থায় মারা যাবে সে পরকালে সুস্বাদু পানীয় পান করতে পাবে না’ (মুসলিম ২/১৬৭ পৃষ্ঠা ‘মদ্যপান’ অধ্যায়, ‘সকল নেশাদার দ্রব্য হারাম’ অনুচ্ছেদে, মিশকাত হা/৩৬৩৮; বাংলা ৭ম খন্ড, হা/৩৪৭২ ‘হুদূদ’ অধ্যায়)।

Comment