ঠিক যে টোনে, যে উচ্চস্বরে আমরা প্রশ্ন তুলি যে পাকিস্তান কেন মাসুদ আজহার? কেন পাকিস্তান সরকার ঐ দেশ থেকে ভারতবর্ষের আইনে এক অপরাধীকে আশ্রয় কেবল দেয় নি, তাকে তার রাজনৈতিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে দিচ্ছে, ঠিক একইভাবে প্রশ্ন তো তোলাই যায় যে শেখ হাসিনা এদেশে কেন? কদিন আগে এক ভারতীয় আমলা বিক্রম মিশ্রি গেলেন বাংলাদেশে, ভারত সরকার জানিয়েছে তাঁরা বাংলাদেশে হিন্দুদের নির্যাতন নিয়ে চিন্তিত, তিনি এসে বললেন যে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সুস্থ স্বাভাবিক সম্পর্ক চাই। এদিকে এই দেশে বসে বাংলাদেশের দূর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের ভাষায় ৮০ হাজার কোটি তাকা তছরুপ, সেদেশে পুলিশি অত্যাচারে মানুষ কে গুমখুনের অভিযোগে অভিযুক্ত শেখ হাসিনা জার্মানিতে তাঁর সমর্থকদের কাছে এদেশে বসেই ভার্চুয়াল সভায় হাজিরা দিয়ে রাজনৈতিক প্রচার করছেন। ব্যাপারটা কী? এরকম দুই পথে চলার কারণ কী? একটু বুঝিয়ে বলা যাক, আমাদের দেশের বিদেশ নীতি তে সাফ জানানো হয়েছে আমরা কোনও দেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে নাক গলাবো না, কাউকে গলাতেও দেবো না। আমাদের বিদেশনীতি বলছে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য যদি কোনও দেশের, মানে বিদেশের মাটি ব্যবহার করা হয় তাহলে আমরা তার বিরোধিতা করবো। এই তত্ত্ব মেনেই ভারতবর্ষ কানাডাতে খলিস্থান পন্থীদের বিরোধিতা করেছে, সেদেশের সঙ্গে তো বিরোধিতার এটাই মূল কারণ। যে কানাডার ভূমিকে ব্যবহার করে ভারত বিরোধী কাজকর্ম হচ্ছে। বারবার কানাডা সরকারকে এ নিয়ে চিঠি লেখা হচ্ছে, বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি জারি করছেন। ধরুন পাকিস্থান, তাঁদের আশ্রয়ে থেকে কাশ্মীরি টেররিস্টরা ভারত বিরোধী কাজকর্ম করছে, এ অভিযোগ তো নতুন নয়, ভারতবর্ষ লিস্ট দিয়ে জানিয়েছেন কাদের কাদের প্রত্যররপণ তারা চায়, জানিয়েছে আপনাদের দেশে মাসুদ আজহার সমেত এই এই লোকজন ভারত বিরোধী কাজ করছেন, তাদের নামে আমাদের এখানে মামলা চলছে, বহু মামলাতে তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, আমাদের সেই সব লোকজনদের ফেরত দিন, আমরা আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী তাদের বিচার করবো, শাস্তি দেবো। এবং এই দাবি তো সঠিক দাবী। আমেরিকা এই দাবীর ভিত্তিতেই লাদেন কে খুন করে, কেউ একটা কথাও বলেনি, ইজরায়েল এই অপরাধের ভিত্তিতেই আর্জেন্টিনা থেকে অ্যা ডলফ আইখম্যানকে তুলে নিয়ে এসেছিল। তাহলে গুড ব্যাড আগলি যাই হোক না কেন, বাংলাদেশে ঘোষিত এক অপরাধী আমাদের দেশের মাটিকে ব্যবহার করছে কেন?