লিপস্টিক বিহীন ওষ্ঠদ্বয় অনবরত কেঁপে কেঁপে উঠছে,আবেশ ঘোরে চলে গেছে,হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দিলো..
তাহলি তোমার মামীর কী হবে।' বৃদ্ধা হেসে বলল। আবেশ নিজেও হেসে মাথা ঝাকালো।
মাধুর্য বেশ উপভোগ করছে। বৃদ্ধার সাথে কথা শেষ হওয়ার,পূর্বেই সার্ভেন্ট বিরিয়ানি সার্ভ করতেই আবেশ তার হাত ধরে একটা বাশের বানানো টেবিলে বসিয়ে প্লেট থেকে বিরিয়ানি নিয়ে মুখের সামনে ধরে বলল,' খাও।'
' আমি হাত দিয়ে খেতে পারবো।'
' তোমাকে বলতে বলেছি?' আবেশ সরু চোখে তাকিয়ে বলল। মাধুর্য কী বলবে ভেবে পেলো না। আবেশ আবারো ধমক দিয়ে বলল,' হা করো।না হলে আমাকে খাইয়ে দাও।'
আবেশের কথা শুনে চটজলদি হা করলো মাধুর্য। আবেশ হাসছে। সেই হাসি যেন প্রাণবন্ত। মাধুর্য চুপিসারে সেই হাসি দেখে নিজেও হাসলো। ভুবন সেজেছে নিজ রুপে,তবে মাধুর্য আজ চিনেছে অন্য এক আবেশকে। যার মনে ভালোবাসার এক সমুদ্র আছে।
_____________
এহসান বাড়ির পরিবেশ আজ ঠান্ডা। চিন্তিত মুখ গুলো হাঁসফাঁস করছে। কাল রাতে এতো সুন্দর অনুভূতি সংরক্ষণ করার পর সকালে ওঠে সব এক নিমিষেই বিষিয়ে গেলো মাধুর্যের। মাহফুজা কাঁদছেন। নজরুল নির্বাক হয়ে বসে আছেন। নাজিফা ঢুকরে কেঁদে উঠলো আবার।
ফয়েজ ফোন হাতে ব্যস্তভাবে বিভিন্ন জায়গায় ফোন দিচ্ছে। ইরা সবার জন্য পানি নিয়ে এলো।
মাধুর্য নাজিফার কাছে বসে চুপ করে আছে। সামনে তাকিয়ে দেখলো,মাহমুদের লাল হয়ে যাওয়া মুখ। চোখ মুখ অসম্ভব লাল হয়ে আছে। হয়তো কেঁদেছে!
' মাহমুদ ভাই,' আবেশ বাসায় ঢুকতে ঢুকতে জোরে ডেকে বলল। সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ হলো তার দিকে। সেইদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে মাহমুদকে বলল,' আপার চিঠিটা কোথায়?'
মাহমুদের চোখ বেয়ে পানি গড়ানোর আগেই পাঞ্জাবির হাতা দিয়ে মুছে বলল,' তোমার আপা কী করে পারলো আমাকে রেখে চলে যেতে।'
' দুলাভাই ভেঙ্গে পড়বেন না। আপাকে আমরা খুজে বের করবোই।'
ইরা বলতেই ফয়েজ বলল,' চিঠিটা দিন দুলাভাই।'
মাহমুদ হাতের মুঠোয় থেকে মুচড়ানো এক সাদা রঙের কাগজ বের করে আবেশের হাতে দিলো। আবেশ চিঠিটা নিয়ে ভাজ খুললো,সবাই উৎসুক চোখে তাকিয়ে আছে। আবেশ বিষাদের চোখে চোখ বুলালো চিঠিতে। সেখানে স্পষ্ট ভাবে