হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু বলেছেন, মুমিন নারী-পুরুষের ওপর সময় সময় বিপদ ও পরীক্ষা এসে থাকে। কখনও সরাসরি তার ওপর বিপদ আসে। কখনও তার সন্তান মৃত্যুবরণ করে। আবর কখনও তার ধন-সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যায়। সে এ সব মুসিবতে ধৈর্যধারণ করার ফলে তার অন্তর পরিষ্কার হতে থাকে এবং পাপ পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত হতে থাকে। অবশেষে সে নিষ্পাপ আমলনামা নিয়ে আল্লাহ তাআলার সঙ্গে মিলিত হয়।' (তিরমিজি)
ধৈর্যধারণ করা এ কারণে বীরত্বপূর্ণ কাজ যে, যারা এ গুণের অধিকারী হয় তাদের জীবনে অনেক কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। যারা এর বাইরে গিয়ে রুক্ষ ও বদমেজাজি হয়, যাদের ভাষা হয় কর্কশ, তারা জীবনে সফল হয় না।
ধৈর্য বলতে আমরা কী বুঝি?ধৈর্য একটি মহৎগুণ। মানুষের মেজাজের ভারসাম্যতা রক্ষা করা, আত্মসংযম অবলম্বন করা, বিপদে ভেঙে না পড়ে অটল-অবিচল থাকা, ত্বরিতগতিতে ফল লাভের আশা না করার নামই ধৈর্য।