MENU

Fun & Interesting

রমজান মাসের প্রস্তুতি।। রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত।। abdul hi muhammad saifullah ।। bangla new waz

ABC WAZ 231 lượt xem 1 week ago
Video Not Working? Fix It Now

রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত
১. এ মাসেই মানুষ ও জিন জাতির মুক্তির সনদ পুরো কুরআন মাজীদ একত্রে লাওহে মাহফূয থেকে প্রথম আসমানে বাইতুল ইযযতে অবতীর্ণ হয় এবং রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট সর্বপ্রথম এ মাসেই ওহী অবতীর্ণ হয়। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে-

شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِیْۤ اُنْزِلَ فِیْهِ الْقُرْاٰنُ هُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الْهُدٰی وَ الْفُرْقَانِ...

রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কুরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়াত এবং সত্যপথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ। -সূরা বাকারা (২) : ১৮৫

২. এ মাসে রহমতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। হাদীস শরীফে এসেছে-

إِذَا كَانَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الرّحْمَةِ.

রমযান মাস শুরু হলেই রহমতের দরজা খুলে দেওয়া হয়। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১০৭৯/২

৩. অন্য এক হাদীসে এ মাসের ফযীলত বর্ণিত হয়েছে-

إِذَا دَخَلَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الجَنّةِ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنّمَ، وَسُلْسِلَتِ الشّيَاطِينُ.

যখন রমযান মাসের শুভাগমন হয়, জান্নাতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৩২৭৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১০৭৯/১

৪. এ মাস জাহান্নাম থেকে নাজাত লাভের মাস। সুতরাং বেশি বেশি ইবাদত ও ইস্তেগফারের মাধ্যমে মুক্তির পরওয়ানা লাভ করার এটিই সুবর্ণ সুযোগ। হাদীস শরীফে এসেছে-

إِنّ لِلهِ عِنْدَ كُلِّ فِطْرٍ عُتَقَاءَ.

আল্লাহ তাআলা প্রত্যহ ইফতারের সময় অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। -মুসনাদে আহমদ হাদীস ২২২০২

৫. ব্যবসায়ী মহলের একটি বিশেষ মৌসুম থাকে, যখন তাদের ব্যবসা হয় খুব জমজমাট ও লাভজনক। সে মৌসুমে বছরের অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি আয় হয়। আখেরাতের ব্যবসায়ীদের জন্য আখেরাতের সওদা করার উত্তম মৌসুম হল এই রমযান মাস। কেননা এ মাসে প্রতিটি আমলের ছওয়াব অনেক গুণ বেশি লাভ হয়। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

عُمْرَةٌ فِي رَمَضَانَ تَعْدِلُ حَجّةً.

রমযানের ওমরা হজ্ব সমতুল্য। -জামে তিরমিযী, হাদীস ৯৩৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৯৮৬

অন্য এক বর্ণনায় (যা সনদের দিক থেকে দুর্বল) এসেছে-

مَنْ تَقَرّبَ فِيهِ بِخَصْلَةٍ مِنَ الْخَيْرِ كَانَ كَمَنْ أَدّى فَرِيضَةً فِيمَا سِوَاهُ، وَمَنْ أَدّى فَرِيضَةً فِيهِ كَانَ كَمَنْ أَدّى سَبْعِينَ فَرِيضَةً فِيمَا سِوَاهُ.

রমযান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করল সে যেন অন্য মাসে একটি ফরয আদায় করল। আর যে এ মাসে একটি ফরয আদায় করল সে যেন অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করল। -শুআবুল ঈমান, বায়হাকী ৩/৩০৫-৩০৬

অর্থাৎ এ মাসে নফল আদায় করলে অন্য মাসের ফরযের ন্যায় ছওয়াব হয়। আর এ মাসের এক ফরযে অন্য মাসের ৭০ ফরযের সমান ছওয়াব হয়।

এ তো হল রোযা ছাড়া এ মাসের অন্যান্য আমলের ছওয়াব। আর রোযার ছওয়াব সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা নিজেই ইরশাদ করেন-

إِنّ الصّوْمَ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ.

নিশ্চয় রোযা আমার জন্য, আর এর প্রতিদান স্বয়ং আমিই দিব। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৫১/১৬৫

এ ছওয়াবের পরিমাণ যে কত তা একমাত্র তিনিই জানেন। এ প্রসঙ্গে ‘রোযার ফযীলত’ শিরোনামে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

রমযান মাস রহমত, বরকত, মাগফিরাত, জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভের মাস। তাই এ মাস পেয়েও যে ব্যক্তি স্বীয় গুনাহ মাফ করাতে পারল না তার জন্য স্বয়ং জিবরাঈল আ. বদদুআ করেছেন এবং নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাহমাতুল্লিল আলামীন হয়েও আমীন বলে সমর্থন জানিয়েছেন। হাদীস শরীফে এসেছে-

أَنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ رَقَى الْمِنْبَرَ فَقَالَ: آمِينَ، آمِينَ، آمِينَ، قِيلَ لَهُ: يَا رَسُولَ اللهِ، مَا كُنْتَ تَصْنَعُ هَذَا؟ فَقَالَ: قَالَ لِي جِبْرِيلُ: رَغِمَ أَنْفُ عَبْدٍ أَدْرَكَ أَبَوَيْهِ أَوْ أَحَدَهُمَا لَمْ يُدْخِلْهُ الْجَنّةَ، قُلْتُ: آمِينَ. ثُمّ قَالَ: رَغِمَ أَنْفُ عَبْدٍ دَخَلَ عَلَيْهِ رَمَضَانُ لَمْ يُغْفَرْ لَهُ، فَقُلْتُ: آمِينَ. ثُمّ قَالَ: رَغِمَ أَنْفُ امْرِئٍ ذُكِرْتَ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْكَ، فَقُلْتُ: آمِينَ.

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে উঠে আমীন, আমীন, আমীন বললেন। তাঁকে বলা হল, হে রাসূল! আপনি তো এরূপ করতেন না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, জিবরাঈল আমাকে বললেন, ঐ ব্যক্তি ধ্বংস হোক, যে পিতা-মাতা উভয়কে অথবা একজনকে পেয়েও (তাদের খেদমত করে) জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না। তখন আমি বললাম, আমীন। অতপর তিনি বললেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক, যে রমযান পেয়েও নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারল না। আমি বললাম, আমীন। জিবরাঈল আবার বললেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক, যার নিকট আমার নাম আলোচিত হল অথচ সে আমার উপর দরূদ পড়ল না। আমি বললাম, আমীন। -আলআদাবুল মুফরাদ, হাদীস ৬৪৬; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৯০৮

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে রমযানের হক আদায় করার তওফীক দান করুন এবং নবীজীর অভিসম্পাৎ থেকে রক্ষা করুন। আমীন
abdul hi muhammad saifullah_আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ_আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ ওয়াজ_
abdul hi muhammad saifullah 2024_abdul hi muhammad saifullah new waz 2024_abdul hi muhammad saifullah bangla waz 2024_abdul hi muhammad saifullah waz_আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ ওয়াজ_আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ_abdul hai muhammad saifullah_আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ_abdul hi saifullah_আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ নতুন ওয়াজ

#আব্দুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ
#abdul hi muhammad saifullah
#abdull hai muhammad saifullah new waz
#abdull hai muhammad saifullah new waz 2025
# abdull hai muhammad saifullah new waz 2024

Comment