নায়ক আলমগীর আর ইলিয়াস কাঞ্চনের আড্ডা | আলমগীরের জীবন কাহিনী | Actor Alamgir's Biography | Part-1/3 | Bayezid Moral | baizid morol
নায়ক আলমগীর, তিনি আমাদের চলচ্চিত্রে চার দশক ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র বা নায়ক চরিত্রে অভিনয় করে গেছেন এবং এখনও অভিনয়ের সাথেই আছেন। ছোট বেলায় তিনি হতে চেয়েছিলেন গায়ক কিন্তু হয়ে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের নায়ক। তার পৈত্রিক বাড়ী ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার নবী নগরে। তিনি ১৯৫০ সালের ৩রা এপ্রিল জন্মগ্রহন করেন । তাঁর পিতার নাম কলিমুদ্দিন আহমেদ যিনি সেই সময়ের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছিলেন । ‘আমার জন্মভুমি’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে আলমগীর এর বাংলা চলচ্চিত্রে আগমন। এরপর ৭০ দশকের মাঝামাঝি থেকে ৯০ দশকের শেষ পর্যন্ত একের পর এক ব্যবসা সফল ছবি উপহার দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায় । আলমগীর শুধু চলচ্চিত্রে একজন অভিনেতা হিসেবেই থেমে থাকেননি তিনি একাধারে একজন প্রযোজক, পরিচালক ছিলেন। সেই সময় সকল প্রযোজক, পরিচালক এর কাছে আলমগীর ছিলেন সবচেয়ে আস্থাশীল ও নির্ভরশীল একজন অভিনেতা। সামাজিক, পারিবারিক টানাপোড়ন, রোমান্টিক, অ্যাকশন সব ধারাতেই আলমগীর ছিলেন সফল ।
সব ধরনের চরিত্রে আলমগীর ছিলেন মানানসই। কলেজ পড়ুয়া তরুন ছাত্র, পুলিশ অফিসার, মাস্তান, গ্রাম্য যুবক, সহজ সরল বোকা যুবক, ব্যর্থ প্রেমিক, রাজকুমার, বড় ভাই, পিতা সহ সব ধরনের চরিত্রে আলমগীর ছিলেন সফল। চলচ্চিত্রে আলমগীর এমনই আস্থাশীল ছিলেন যে কিছু পরিচালক শুধু আলমগীর ছাড়া তাদের ছবিতে অন্য কাউকে চিন্তা করতে পারতেন না। এছাড়া স্বাধীন পরবর্তী বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে এমন পরিচালক পাওয়া দুঃসাধ্য যার সাথে আলমগীর কাজ করেনি। এ পর্যন্ত তিনি সর্বাধিক সর্বমোট ১০ বার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন । ১৯৮৫ সালে ‘মা ও ছেলে’ ছবির জন্য এরপর অপেক্ষা, ক্ষতিপূরণ, সত্য মিথ্যা, ভাত দে, গরীবের বন্ধু, অন্ধ বিশ্বাস, পিতামাতা সন্তান, মরনের পরে ও দেশপ্রেমিক ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এছাড়া আলমগীর এর উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো – আমার জন্মভুমি, মণিহার, দেনা পাওনা, জিঞ্জির, নানটু ঘোটক, ওস্তাদ সাগরেদ, সবুজ সাথী, প্রতিজ্ঞা, অস্বীকার, ছেলে কার, বৌমা, মায়ের দোয়া, স্ত্রীর স্বপ্ন, অপরাধী, নিস্পাপ, অশান্তি, স্বামী স্ত্রী, সত্য মিথ্যা, বিশ্বাসঘাতক, দোলনা, ন্যায় অন্যায়, রাঙ্গা ভাবী, গরীবের বউ, সান্ত্বনা, বাংলার বধূ, শাসন, স্নেহ, জজ ব্যারিস্টার, রাগ অনুরাগ, বাপের টাকা সহ প্রায় তিন শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেন । আলমগীরের শিল্পীসত্বাকে ধারণ করে তার মেয়ে আঁখি আলমগীর একজন সংগীত শিল্পী। ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ ছবির জন্য আখি শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।আমরা নায়ক আলমগীরের সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করি।
#Actor_Alamgir_Biography #নায়ক_আলমগীর #Ilias_Kanchon
-~-~~-~~~-~~-~-
Please watch: "নতুন আইডিয়া, ছেলের স্কুলে ফলেরহাটে গিয়ে যা যা দেখলাম | Ideal international school & college"
https://www.youtube.com/watch?v=XGpDXYv5ewc
-~-~~-~~~-~~-~-