আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আজকের ভিডিওটি গরু মোটাতাজাকরণের ভিটামিন সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা এই ভিডিওটি দেখে ভিটামিন গুলো প্রয়োগ করবেন ইনশাআল্লাহ মোটাতাজা হবে।
কৃমি দমন : কৃমি ছাগলের মারাত্মক সমস্যা। বয়স্ক ছাগল ও বাচ্চার কৃমি দমনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, শুধু পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ ও উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই আশানুরূপ উৎপাদন পাওয়া যায় না। কৃমির জন্য উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। কাজেই কাছের প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল থেকে ছাগলের মল পরীক্ষা করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ছাগলকে নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গবেষণা করে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ২, ৩ বা ৪টি ছাগল পালন করলে বছরে গড়ে যথাক্রমে ৩১৫০, ৪১৫০ বা ৫৩৭৩ টাকা আয় করা যায়। আমাদের দেশের দরিদ্র খামারি ও দুস্থ মহিলারা এ নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে ছাগল পালন করলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার যেমন সুযোগ রয়েছে, তেমনি রয়েছে নিজের অবস্থার উন্নয়নের উজ্জ্বল সম্ভাবনা। কম সময়ে দ্রুত আয়ের জন্য ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন পারিবারিকভাবে নতুন পথের সন্ধান দিতে পারে। অল্প কিংবা বেশি ছাগলের খামার প্রতিষ্ঠা করে বহুমুখী আয়ের পথ সুগম করা যায়। এখানে পুঁজিও তুলনামূলকভাবে কম লাগে। আর পারিবারিকভাবে সবাই অংশগ্রহণ করে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন করতে পারে। প্রান্তিক, ক্ষুদ্র, মাঝারি কৃষকের জন্য এটি একটি দারুণ লাভজনক আয়ের পথ-কৌশল হতে পারে। এ ব্যাপারে যে কোনো সুপরামর্শের জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত ও পরিমিত যোগাযোগ নতুন দিগন্তের সূচনা করতে পারে
ছাগলের রোগ : ছাগল নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যেসব রোগ দেখা যায় তার মধ্যে আছে সংক্রামক রোগ, পরজীবীজনিত রোগ, অসংক্রামক রোগ, অপুষ্টিজনিত রোগ, বিপাকীয় রোগ। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকারক রোগ হলো পিপিআর, গোট পক্স, একথাইমা, নিউমোনিয়া, ক্রিমি এসব। তাছাড়া আছে তাড়কা ওলান প্রদাহ, ধনুস্টংকার, গর্ভপাত, ক্ষুরা রোগ, জলাতংক, মাইকোপ্লাজমোডিসিস, পায়ের ক্ষত রোগ, পেটের পীড়া, সালমোনেলাসিস এসব। ছাগলকে রোগমুক্ত রাখতে না পারলে ছাগল পালন করে লাভবান হওয়া সম্ভব নয়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাই রোগবালাই থেকেমুক্ত রাখার প্রধান উপায়। ছাগলকে রোগমুক্ত রাখতে হলে যেসব বিষয়গুলোর প্রতি অবশ্যই যতœবান হতে হবে সেগুলো হলো-
ছাগলের ঘর নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। ঘর যাতে ভেজা স্যাঁতসেঁতে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে;
ছাগলের খাবার ও পানিতে যাতে রোগজীবাণু না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে;
নতুন ছাগল কেনার পর অন্তত ৭ দিন আলাদা করে রাখতে হবে। যেসব রোগের টিকা পাওয়া যায় সেসব টিকা দিতে হবে;
কোনো রোগের লক্ষণ দেখা দেয়া মাত্র রোগাক্রান্ত ছাগলকে আলাদা করে রাখতে হবে। রোগাক্রান্ত ছাগলকে দ্রুত কাছের পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে এবং চিকিৎসা প্রদান করতে হবে;
রোগের কারণে মৃত ছাগলগুলোকে মাটিতে পুঁতে অথবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে;
নিয়মিত ও পরিমিত ছাগলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে;
মনে রাখতে হবে চিকিৎসার চেয়ে নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অধিক গ্রহণযোগ্য। তাই নিয়মিত টিকা দিতে হবে।৷
# গরু_মোটাতাজাকরন