শাস্ত্রে আমাদের প্রয়াণকালের গতি সম্পর্কে দুটো যানের কথা বলা হয়েছে। এক হচ্ছে, দেবযান, (অর্থাৎ সূর্য থেকে যে আলোক রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে আসছে) আর একটা হচ্ছে, পিতৃযান। পিতৃযান গতিপথ চন্দ্রলোক পর্য্যন্ত বিস্তৃত। অর্থাৎ পিতৃয়ানের যাত্রী চন্দ্রলোক পর্য্যন্ত যেতে পারেন। সেখানে ভোগাদি শেষ ক'রে, তাকে আবার ফিরে আসতে হয়। আর এই কারনে একে বক্রগতি বলা হয়। অর্থাৎ এই যান চন্দ্রলোক থেকে ঘুরে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসে। আসলে চন্দ্রের নিজস্ব কোনো আলো নেই, তথাপি, আমরা চাঁদের আলো বা জ্যোৎস্নার স্পর্শ অনুভব করে থাকি। এটি আসলে সূর্য্যের আলোর প্রতিফলিত রূপ মাত্র। তো আমাদের পৃথিবীতে তিন ধরনের আলোর অনুভব হয়ে থাকে, এক সূর্য্যের আলো, দুই - চাঁদের আলো , আর একটা ইন্ধন-প্রজ্বলিত অগ্নি। আসলে এই অগ্নিই সমস্ত বস্তুকে তার উৎসে নিয়ে যেতে সক্ষম। তোমাকেও এই অগ্নি একদিন তোমার অর্জ্জিতলোকে নিয়ে যাবে।
ETERNAL PEACE SEEKER - SASANKA SEKHAR PEACE FOUNDATION