মুক্তা চাষঃ নদীমাতৃক বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ স্বাদুপানির জলরাশিতে মাছের সাথে মুক্তা চাষ করা সম্ভব। সাথী ফসল হিসেবে বাড়তি আয় করা সম্ভব, যা অত্যন্ত লাভজনক। তাছাড়া বাংলাদেশের জলবায়ু (উষ্ণ আবহাওয়া) যা মুক্তা চাষের উপযোগী। ঝিনুক চাষে সম্পূরক খাদ্যের প্রয়োজন হয় না। নিয়মিত চুন ও সার ব্যবহার করলেই চলে। স্বর্ণের দাম বেড়ে যাচ্ছে তাই আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে মুক্তাকে ইমিটেশনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া বেকারত্ব দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে মুক্তা চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ইমেজ অপারেশন পদ্ধতিঃ
বিশ্বে মুক্তা চাষের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশের জন্য ইমেজ বা ডিজাইন মুক্তা একটি সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক শিল্প হতে পারে যা স্বল্প সময়ে মাত্র ৭-৮ মাসের মধ্যেই মুক্তা উৎপাদন সম্ভব। এই পদ্ধতির মাধ্যমে মুক্তা ইমেজ আকারে তৈরি করা সম্ভব। একটি জীবিত ঝিনুকের খোলস ৮-১০ মিমি ফাঁকা করে এর ম্যান্টল টিস্যু ও খোলসের মাঝে ইমেজ প্রতিস্থাপন করা হয়। ইমেজ বিভিন্ন রকমের হতে পারে যেমন- মানুষ, পশু-পাখি বা যে কোন বস্তুর প্রতিকৃতি হতে পারে। ইমেজের মাধ্যমে যেকোন ডিজাইনের আকর্ষণীয় মুক্তা তৈরী করা সম্ভব; যা দিয়ে কানের দুল, লকেট, আংটি, ব্যাচ, বাটনসহ কাঙ্ক্ষিত অলংকার তৈরি করা যাবে।
মুক্তা চাষ সংক্রান্ত যে কোন তথ্য, পরামর্শ ও প্রশিক্ষণের জন্য অথবা উন্নতমানের ইমেজ/ নিউক্লিয়াস-সহ যেকোন ধরণের মুক্তার অলঙ্কারের জন্য যোগাযোগ করুন- রাইয়ান পার্ল হারবার, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ। মোবাইলঃ ০১৭১২-৫৪৩৬৮২; ০১৯১১-১৭৯৭৮৮।
Sustainable Development by Information, Education, Entertainment as well as Awareness buildup.